রাজশাহীকে ৮০ রানে গুটিয়ে বিশাল জয় চিটাগংয়ের
ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশ : ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ২২:২৩ আপডেট : ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ২২:৩২
ম্যাচ শুরুর দুই ঘণ্টা আগে হঠাৎ দলের অধিনায়ক পরিবর্তনের ঘোষণা দেয় দুর্বার রাজশাহী। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান এনামুল হক বিজয়ের ‘চাপ কমাতে’ তাঁর কাছ থেকে অধিনায়কত্ব নিয়ে নেওয়া হলো, তাঁর বদলে পেসার তাসকিন আহমেদকে অধিনায়ক করা হলেও রাজশাহীর ভাগ্য বদল হয়নি। চিটাগং কিংসের বিপক্ষে আজ ১১১ রানের ব্যবধানে হেরেছে রাজশাহী।
চট্টগ্রামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিকদের দেওয়া ১৯২ রানের লক্ষ্যে নেমে দাঁড়াতেই পারেনি দুর্বার রাজশাহী। চলতি বিপিএলে বিভিন্ন কারণে আলোচনায় থাকা দলটি চিটাগং কিংসের বোলারদের বিপক্ষে নিয়মিত উইকেট বিলিয়ে দেওয়ার দিনে এক শ রানও করতে পারেনি। ৩৪ বল আগেই মাত্র ৮০ রানে থেমে যায় রাজশাহীর ইনিংস। চলতি বিপিএলে এত কম রানে অলআউট হয়নি আর কোনো দল। ১১১ রানের জয়ে টুর্নামেন্টের পঞ্চম জয় পেল চিটাগং।
১৯২ রানের লক্ষ্যে মোহাম্মদ হারিস ও জিসান আলমের ব্যাট থেকে ঝোড়ো শুরুর প্রত্যাশায় থাকা রাজশাহীর সমর্থকরা প্রথম ওভারেই হতাশ হয়েছেন। চিটাগংয়ের শ্রীলঙ্কান পেসার বিনুরা ফার্নান্দোর প্রথম ওভারের শেষ বলে মাত্র ৪ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জিসান আলম।
প্রথম ওভারেই দুবার জীবন পাওয়া মোহাম্মদ হারিস দ্বিতীয় ওভারে ফিরেছেন আরাফাত সানির স্পিনে। বাঁহাতি এই স্পিনারকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ৩০ গজের ভেতরেই উসমান খানের কাছে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মোহাম্মদ হারিস।
দলীয় ১৩ রানে ২ উইকেট হারানো রাজশাহী যেন প্রতি ওভারে আসা-যাওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছিল। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে শরীফুল ইসলামের বলে রাজশাহীর ফর্মে থাকা ইয়াসির রাব্বি বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মাত্র ৫ রান করে।
৩ ওভারের ভেতর ২০ রানে ৩ উইকেট হারানো রাজশাহী তখনই ম্যাচ থেকে ছিটকে গিয়েছিল। এরপর মাঝ ওভারে সদ্য সাবেক অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় চেষ্টা করেছেন আকবর আলীকে নিয়ে ‘চাপ’ কাটিয়ে ওঠার, কিন্তু পারেননি।
পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩৮ রান তোলা রাজশাহী ইনিংসের সপ্তম ওভারেই আরও এক উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে। ক্রিজে নামার পর থেকেই ধুঁকতে থাকা আকবর আলী ১৩ বলে ১০ রান করে শরীফুল ইসলামের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন।
দলীয় ৪০ রানে ৪ উইকেট হারানো রাজশাহীর হার যেন সময়ের ব্যাপার মনে হচ্ছিল। মরার ওপর খাঁড়ার ঘা, রাজশাহীর মিডল অর্ডার ও ডেথ ওভারের স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যান রায়ান বার্ল ফিল্ডিংয়ের সময় চোটে পড়ায় আর ব্যাট করতে নামেননি।
নবম ওভারে এনামুল হক বিজয় ২১ রান করে ফিরে গেলে রাজশাহী পুরো ২০ ওভার খেলার আগেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে। ধারবাহিক বিরতিতে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসা রাজশাহী দশম ওভারে তাঁদের শেষ ব্যাটসম্যান মার্ক দায়ালকেও হারায়। ৬৬ রানে ৬ উইকেট হারানো রাজশাহী এরপর হারের ব্যবধান তেমন কমিয়ে আনতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ১৫তম ওভারে মাত্র ৮০ রানে নবম উইকেট হারানোর মাধ্যমে থেমে যায় দুর্বার রাজশাহীর ইনিংস।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে গ্রাহাম ক্লার্কের ৪৫ ও নাঈম ইসলামের ৫৬ রানের ইনিংসে ভর করে বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় চিটাগং কিংস। শেষদিকে অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনের ৩২ ও হায়দার আলীর ১৪ বলে ২৫ রানের ক্যামিও ইনিংসে ১৯১ রানের সংগ্রহ পায় চিটাগং।
বাংলাদেশ জার্নাল/এনবি