ঢাকা, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১ আপডেট : ৫ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

টানা সাত জয় রংপুরের

  ক্রীড়া ডেস্ক

প্রকাশ : ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২২:৪৭

টানা সাত জয় রংপুরের
সুযোগ হারাল খুলনা, টানা সাত জয় রংপুরের । ছবি: সংগৃহীত

রংপুর রাইডার্সের জয়রথ থামাতে পারল না খুলনা টাইগার্স। ১২ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে জেতা ম্যাচ হাত ফসকে গেছে তাদের। এতে ৮ রানে ম্যাচ জিতে বিপিএলের চলতি আসরে টানা সপ্তম জয়ের দেখা পেল রংপুর রাইডার্স।

নুরুল হাসান সোহানদের দেওয়া ১৮৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মন্দ হয়নি খুলনার। মোহাম্মদ নাঈমের ৪১ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৫৮ ও অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের ২৪ বলে ৩ চার ও ২ ছয়ে ৩৯ রানের ইনিংস দুটিতে কক্ষপথেই ছিল দলটি।

চারে নেমে সমান দুটি করে চার-ছক্কায় ২৯ রান করেন আফিফ হোসেন। তবে মাহেদি হাসানের বলে আফিফ লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়তেই শুরু হয় ধস। ৩ উইকেটে ১৬৫ থেকে খুলনা মুহূর্তেই পরিণত হয় ৯ উইকেটে ১৭৭-এ। আর তাতেই হার নিশ্চিত হয়ে যায় মিরাজদের।

রংপুরের পক্ষে সবচেয়ে কার্যকরী বোলার পাকিস্তানের আকিফ জাভেদ। ৪ ওভারে ২৯ রান খরচায় ৩ উইকেট শিকার করেন তিনি। দুটি করে উইকেট পান মাহেদি ও সাইফউদ্দিন।

এই জয়ে টানা সাত জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে প্লে অফ প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে রংপুর। ৫ ম্যাচে ৩ হারে ধুঁকছে খুলনা।

১৮৭ রানের লক্ষ্যে নেমে জুতসই শুরুর আভাস দিয়ে নিভেছেন দারবিশ রাসুলি। ১৫ বলে ১৭ রান করে তিনি বোল্ড হন আকিফ জাভেদের বলে।

দ্বিতীয় উইকেটে নাঈম শেখের সঙ্গে ৬১ রানের জুটি গড়েন মেহেদী আসান মিরাজ। জুটির পথে দুজনেই পেয়েছেন একাধিক জীবন। অধিনায়ক মিরাজ ২৪ বলে ৩৯ করে শেষ পর্যন্ত আউট হন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের বলে।

নাঈম টিকে রান বাড়াচ্ছিলেন, দলের সমীকরণ সহজ হচ্ছিলো তার ব্যাটে। তবে এই বাঁহাতি ফিফটি পেরিয়ে অসময়ে থামান দৌঁড়। শেখ মেহেদীর সোজা বলে বোলারের হাতেই তুলে দেন ক্যাচ। ৪১ বলে ৭ চার, ২ ছক্কায় ফেরেন ৫৮ রান করে। এরপর আফিফ দলকে রেখেছিলেন জেতার পথে, কিন্তু শেষ দিকে সমীকরণ আচমকা ধসে মেলাতে পারেনি তারা।

টস জিতে ব্যাটিং বেছে শুরুটা ভালো হয়নি রংপুরের। পাওয়ার প্লের মধ্যেই তারা হারায় দুই উইকেট। তবে ওপেনার তৌফিক খান তুষার এক পাশে টিকেছিলেন, খুব বেশি আগ্রাসী হতে পারেননি এই ডানহাতি। ৩০ বলে ৩৬ করে তিনি যখন আউট হন তখন পেরিয়ে গেছে দশ ওভার, স্কোর বোর্ডে কেবল ৭০ রান।

ওই পরিস্থিতিতে রানের চাকায় গতি আনেন দুই পাকিস্তানি ইফতেখার ও খুশদিল। নাসুম আহমেদকে টানা চার ছক্কায় রান বাড়ান খুশদিল।

পঞ্চম উইকেট জুটিতে আসে ১১৫ রান। একদম শেষ ওভারে গিয়ে ভাঙে ওই জুটি। ইফতেখার ৩৬ বলে করেন ৪৩ রান। মাত্র ৩৫ বলে ৪ বাউন্ডারি, ৬ ছক্কায় ৭৩ করেন খুশদিল। তিনিই হন ম্যাচ সেরা।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনবি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত