ঢাকা, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ আপডেট : ৫ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

শেষ ওভারে ৩০ রান নিয়ে রংপুরের ছয়ে ছয়

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭:২৩  
আপডেট :
 ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭:৪২

শেষ ওভারে ৩০ রান নিয়ে রংপুরের ছয়ে ছয়
ছবি: সংগৃহীত

বিপিএলের শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ফরচুন বরিশালকে হারিয়ে টানা ছয় জয় তুলে নিয়েছে রংপুর রাইডার্স।

শেষ ওভারে জয়ের জন্য রংপুর রাইডার্সের প্রয়োজন ছিল ২৬ রান। কাইল মেয়ার্সের করা ২০তম ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা মেরে রাইডার্সদের স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেন নুরুল হাসান সোহান। পরের চার বলে আরো চার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সমীকরণ সহজ করেন তিনি। তাতে সমীকরণ দাঁড়ায় ১ বলে ২ রানে।

৭ বলে ৩২ রানে দুর্দান্ত ইনিংস খেলে ইনিংসের শেষ ওভারে গিয়ে দারুণ ছক্কায় দলকে জেতান অধিনায়ক সোহান। এটি আসরে তাদের টানা ষষ্ঠ জয়। এখন পর্যন্ত চলতি বিপিএলে অপরাজিত রাইডার্সরা।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৭ রান সংগ্রহ করে ফরচুন বরিশাল। জবাবে ৩ উইকেটে জয় পেয়েছে রংপুর।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় রংপুর। ৩ বলে ১ রানে করে সাজঘরে ফেরেন অ্যালেক্স হেলস। তবে সাইফ হাসানকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন তৌফিক খান। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি কেউই। ১৯ বলে ২২ রান করে সাইফ এবং ২৮ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলে আউট হন তৌফিক।

এরপর রংপুরের শিবিরের হাল ধরেন দুই পাকিস্তানি ক্রিকেটার ইফতেখার আহমেদ ও খুশদিল শাহ। দুজনের ব্যাটে ভর করে ১০০ রানের কোটা পার করে বসুন্ধরা গ্রুপের দলটি। ২৪ বলে রংপুরের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫৫ রান। ১৮তম ওভারে মাত্র ৩ রান দিয়ে ইফতেখারকে আউট করে বরিশালকে খেলা ফেলায় ফেরান শাহিন আফ্রিদি। ৩৬ বলে ৪৮ রান করেন ইফতেখার।

১২ বলে রংপুরের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৯ রান। ১৯তম ওভারের প্রথম ২ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে খুশদিল শাহ আশা জাগালেও তৃতীয় বলে ক্যাচ আউট তিনি। ২৪ বলে ৪৮ রান করেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। পরের দুই বলে ডাক আউট হন শেখ মাহেদী ও সাইফউদ্দিন।

শেষ ওভারে রংপুরের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৬ রান। বলে বলে বাউন্ডারি মেরে রংপুরকে এগিয়ে নেয় সোহান। শেষ বলে জয়ে জন্য লাগে ২ রান। কিন্তু ৬ মেরে জয় তুলে নেন রংপুর অধিনায়ক।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বরিশালকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন তামিম ইকবাল ও ফরচুন বরিশাল। দুজনের ব্যাটে ভর করে পাওয়ার প্লেতে ৪৬ রান তোলে বরিশাল। তবে ফিফটি তুলতে পারেনি দুজনেরই কেউই।

১১তম ওভারে কামরুল হাসানের হাতে বল তুলে দেন সোহান। আর প্রথম বলে শান্তকে ক্যাচ আউট করে অধিনায়কের বিশ্বাসের প্রতিদান দেন কামরুল। ৩০ বলে ৪১ রান করে শান্ত। একই ওভারের শেষ বলে তামিমকেও তুলে নেন কামরুল। ৩৪ বলে ৪০ রান করেন দেশসেরা এই ওপেনার।

এরপর ব্যাট চালিয়ে দ্রুত রান তুলতে থাকেন তাওহীদ হৃদয় এবং কাইল মায়ার্স। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি হৃদয়। ১৮ বলে ২৩ রান করে বাউন্ডারি লাইনে কাটা পড়েন এই ডান হাতি ব্যাটার। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। ২ বলে ৪ রান করে সাইফউদ্দিনের করা স্লো ডেলিভারিকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ হন তিনি।

ষষ্ঠ উইকেটে পিচে এসেই বলে বলে বাউন্ডারি মারতে থাকেন ফাহিম আশরাফ। তবে ৬ বলে ২০ রান করে রান আউট হন এই পাক অলরাউন্ডার। কিন্তু অপর প্রান্ত আগলে রেখে ২৭ বলে ফিফটি তুলে নেন মায়ার্স। শেষ পর্যন্ত মায়ার্সের ২৯ বলের অপরাজিত ৬০ রানে ভর করে ১৯৭ রানের বড় পুঁজি পেয়েছিল বরিশাল।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনবি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত