ঢাকা, মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১৭ আশ্বিন ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

মাশরাফির বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে যে ব্যাখ্যা দিলো সিলেট স্ট্রাইকার্স

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৪৭

মাশরাফির বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে যে ব্যাখ্যা দিলো সিলেট স্ট্রাইকার্স
মাশরাফির বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে যে ব্যাখ্যা দিলো সিলেট স্ট্রাইকার্স । ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দল সিলেট স্ট্রাইকার্সের মালিকানা ইস্যুতে হঠাৎ তোলপাড় দেশের ক্রীড়াঙ্গনে। ফ্র্যাঞ্চাইজিটির মালিকানা জোরপূর্বক দখলের অভিযোগে গতকাল সোমবার রাজধানীর পল্লবী থানায় মামলা হয়েছে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মোর্ত্তজার বিরুদ্ধে।

সিলেট স্ট্রাইকার্সের সাবেক মালিক গোলাম সারোয়ার চৌধুরী অভিযোগ করেন, তার কাছ থেকে জোর করে মালিকানা লিখে নিয়েছেন মাশরাফি। এছাড়া মাশরাফির বিরুদ্ধে তাকে হত্যার হুমকি ও ফ্র্যাঞ্চাইজির স্বত্ব কেনার টাকা বাকি রাখার অভিযোগ তোলেন সারোয়ার।

মাশরাফির বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগের জবাব দিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। গতকাল সোমবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভেরিফয়েড পেজে এক দীর্ঘ পোস্টে সিলেটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ফ্র্যাঞ্চাইজিটির কোনো অংশের মালিকানাই নেই মাশরাফির নামে।

সিলেটের দেয়া সে পোস্টের শুরুতে বলা হয়েছে, ‘সিলেট স্ট্রাইকার্সের এক শতাংশের মালিকানাও মাশরাফি বিন মোর্ত্তজার কখনো ছিল না। এখনও নেই। জোর করে মালিকানা লিখে নেয়ার প্রশ্নই আসে না। ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানার যে কাগজপত্র বিসিবির কাছে আছে, সেখানেও মাশরাফির নাম নেই।’

ফ্র্যাঞ্চাইজিটির মালিকানার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তারা আরও লিখেছে, ‘বিপিএলের প্রথম আসরে অংশ নিয়েই সাড়া জাগিয়েছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। মাশরাফির নেতৃত্বে আমরা রানার্স আপ হয়েছিলাম। মাঠের ভেতরে-বাইরে আমাদের পেশাদারিত্ব, সিলেট সর্বস্তরের মানুষ থেকে শুরু করে সারা দেশের সমর্থকদের সম্পৃক্ত করতে পারা, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আমাদের উপস্থাপনা, সবকিছুই ছিল দারুণ প্রশংসিত। তার পরও দ্বিতীয় মৌসুমে আমাদের দল গঠন প্রক্রিয়ায় কেন ধস নামে?’

সিলেট যোগ করেছে, ‘শুরুতে সিলেট স্ট্রাইকার্সের ৬০ শতাংশের মালিকানা ছিল সারোয়ার গোলাম চৌধুরীর। সহ-স্বত্বাধিকারীদের সঙ্গে সক্রিয় হয়ে তিনি কাজ করছিলেন। কিন্তু যখন ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক থেকে শুরু করে অন্যান্য খরচের পালা আসে, ক্রমে তাকে পিছু হটতে দেখা যায়। অনেক ক্রিকেটার ও ম্যানেজমেন্টের কয়েকজন সদস্যের পারিশ্রমিক, পরিচালন খরচ ও আরও বিভিন্ন খাতে তার অংশের কয়েক কোটি টাকা বাকি রেখেই তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান। তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বারবার আশ্বাস দেয়ার পরও কোনো পদক্ষেপ তিনি নেননি।’

ফ্র্যাঞ্চাইজিটির ক্রিকেটার, কোচ, ম্যানেজমেন্টের অন্যান্য সদস্য ও সংশ্লিষ্ট অনেকেই বিষয়টি নিয়ে অবগত উল্লেখ করে সে পোস্টে আরও লেখা হয়েছে, ‘শেষ পর্যন্ত পাওনা টাকা শোধ করতে না পেরে গত বছরের আগস্টে তিনি নিজ থেকেই অন্যান্য স্বত্বাধিকারীর ওপর মালিকানা ছেড়ে দেন। বিসিবিকেও তিনি ই-মেইল দিয়ে নিজের সরে যাওয়ার কথা জানান। ’

নতুন মালিকানায় শুরুতেই ধাক্কা খায় সিলেট। বিশেষ করে পুরোনো ধার দেনা শোধ করতেই হিমশিম খেতে হয় স্বত্বাধিকারীদের বলে উল্লেখ করা হয় পোস্টে। আর সে কারণেই গত মৌসুমে ভালো দল গড়তে পারেনি বলে জানানো হয়েছে পোস্টে। যার প্রভাব পরেছে পারফরম্যান্সে।

স্ট্যাটাসের শেষ অংশে সিলেট লিখেছে, ‘এখন সাম্প্রতিক পালাবদলের পর দেশ যখন নতুন যুগের সন্ধিক্ষণে, তখন পরিস্থিতির ফায়দা নিয়ে কেউ কেউ ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য হাসিল করার চেষ্টা করছে। তাই সিলেট স্ট্রাইকার্সের ভক্ত-সমর্থক ও দেশের ক্রিকেট অনুসারীদের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে আমরা আমাদের অবস্থান তুলে ধরলাম। আইনি ব্যাপার আমরা আইনগতভাবেই মোকাবেলা করব।’

বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত