ঢাকা, রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

৭ ওভারেই ম্যাচ জিতে এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন ভারত

  ক্রীড়া ডেস্ক

প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৮:৩৬  
আপডেট :
 ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২০:০১

৭ ওভারেই ম্যাচ জিতে এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন ভারত
শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন ভারত । ছবি: সংগৃহীত

এশিয়া কাপের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ডিপেন্ডডিং চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কাকে ১০ উইকেটে হারিয়ে এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন ভারত। ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ সিরাজের রেকর্ড গড়া বোলিংয়ে মাত্র ১৫.২ ওভারে ৫০ রানেই গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। ৫১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে গুভমন গিল ও ইশান কিশানের ব্যাটে চড়ে ২৬৩ বল হাতে রেখে ১০ উইকেটের রেকর্ড জয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। এই জয়ে অষ্টমবারের মতো এশিয়া কাপের শিরোপা নিজেদের ঘরে তুলল ভারত।

রোববার কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। কিন্তু টসের পরেই বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। খেলা ঠিক সময়ে শুরু করা যায়নি। ৪০ মিনিট পরে শুরু হয় খেলা। সেই বৃষ্টিই কাল হল শ্রীলঙ্কার জন্য।

বৃষ্টি শেষে ফাইনাল ম্যাচ মাঠে গড়ায়। তবে এদিন শুরু থেকেই পেসারদের সাহায্য পেয়ে যায় টিম ইন্ডিয়া। শ্রীলঙ্কার সমর্থকদের জন্য টিভি বন্ধ করার ব্যবস্থা সিরাজ করে দিয়েছিলেন ম্যাচের চতুর্থ ওভারেই। সেই ওভারেই চার উইকেট তুলে নেন তিনি। প্রথম ওভারে যশপ্রীত বুমরা একটি উইকেট নিয়েছিলেন। পরের ওভারে কোনও রান দেননি সিরাজ। শুরুটা ভাল হয়েছিল ভারতের। সেটাকে আরও ভাল করে দিলেন সিরাজ।

চতুর্থ ওভারের প্রথম বলেই সিরাজ ফেরান পাথুম নিসঙ্ককে। অফস্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট চালিয়েছিলেন তিনি। কভারের দিকে তার মারা শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ধরেন রবীন্দ্র জাদেজা। এরপর তৃতীয় বলে আসে দ্বিতীয় উইকেট। সিরাজের বল ভিতর দিকে ঢুকে এসেছিল। বলের লাইন ফসকেছিলেন সাদিরা সমরবিক্রম। বল লাগে প্যাডে। আঙুল তুলতে একটুও সময় নেননি আম্পায়ার। পরের বলেই আউট চরিথ আসালঙ্ক। বাঁহাতি ব্যাটারকে অফস্টাম্পের বাইরে বল করেন সিরাজ। সেই বলে ব্যাট চালিয়ে সহজ ক্যাচ দেন আসালঙ্ক। কভারে ক্যাচ নেন ঈশান কিশন। ওভারের শেষ বলে ধনঞ্জয় ডি’সিলভার উইকেট নেন সিরাজ। আউটসুইং বল ছিল অফস্টাম্পের বাইরে। প্রলোভিত হয়ে কভার দিয়ে ড্রাইভ করে চার মারতে গিয়েছিলেন ধনঞ্জয়। বল জমা পড়ে উইকেটকিপার কেএল রাহুলের হাতে।

সিরাজের ওই এক ওভারেই সব শেষ হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। বাকিটা ছিল সময়ের অপেক্ষা। সেই কাজে সিরাজকে সাহায্য করেন হার্দিক পান্ডিয়া। তিনি নেন ৩ উইকেট। ১২ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর দুসন হেমন্ত এবং কুশল মেন্ডিস চেষ্টা করেছিলেন ম্যাচ ধরার। কিন্তু সেটাও হতে দেননি সিরাজ। তার বলে বোল্ড হন মেন্ডিস। শেষ তিনটি উইকেট নেন হার্দিক। দুনিত ওয়েল্লালাগে ক্যাচ দেন উইকেটরক্ষকের হাতে। ১৬তম ওভারে প্রান্ত বদলে বল করতে আসেন হার্দিক। প্রথম ২ বলেই দু’টি উইকেট তুলে নেন তিনি। ৫০ ওভারে শেষ হয়ে যায় শ্রীলঙ্কার গোট ইনিংস।

এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন হতে ৫১ রানের ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারতের দুই ওপেনারের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা। সুযোগ পেয়ে গুভমন গিল ও ইশান কিশান উদ্বোধনী জুটিতে কোনও তাড়াহুড়ো করেননি। জয় নিশ্চিত ছিল। তাই আয়েশ করে ব্যাট করলেন দু’জনে। তরুণ দুই ওপেনার খেললেন নিজের ছন্দে। ০ উইকেট হাতে রেখে মাত্র ৬.১ ওভারে ম্যাচ জিতে নিল ভারত। এই জয়ে অষ্টমবারের মতো এশিয়া কাপের শিরোপা নিজেদের ঘরে তুলল টিম ইন্ডিয়া।

এদিকে, সিরাজ ৬ উইকেট নিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালের ইতিহাসে যুগ্মভাবে এক ম্যাচে সবচেয়ে উইকেট নেয়ার কীর্তি গড়েছেন। এর আগে ২০০৮ সালের এশিয়া কাপের ফাইনালে অজন্তা মেন্ডিস ১৩ রানে ৬ উইকেট শিকার করেছিলেন, যা ছিল এই টুর্নামেন্টের সেরা বোলিং ফিগার। ১৫ বছর পর কলম্বোতে সেই রেকর্ডে ভাগ বসালেন সিরাজ। সেই সঙ্গে আরো একাধিক কীর্তি গড়েছেন তিনি।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত