এবার শেষ হচ্ছে সালাহউদ্দিনের আধিপত্য?
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৮:০৩
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) বয়স ৪৮ বছর। তবে এই ফেডারেশনের প্রথম ৩৬ বছরের তুলনায় বেশি আলোচনায় সর্বশেষ ১২ বছর। এই এই এক যুগের আলোচিত সময়ে যাকে ঘিরে সকল আলোচনা হয়েছে তার নাম কাজী মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। তবে মাঠে যতোটা সুনাম কামিয়েছেন, ক্ষমতার আসনে বসে কি ঠিক ততোটা কামাতে পেরেছেন? কিংবা ধরে রাখতে পেরেছেন নিজের সুনাম? টানা চতুর্থবার বাফুফে সভাপতি হতে যিনি ইতোমধ্যে পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েই মাঠে নেমেছেন।
প্রতিবারই নির্বাচন ঘনিয়ে এলে আশ্বাসবাণী নিয়ে হাজির হন কাজী সালাহউদ্দিন। এবারও বললেন, ৪র্থ দফায় নির্বাচিত হলে নিজের অসম্পূর্ণ কাজগুলো শেষ করতে চান তিনি।
বলার অপেক্ষা রাখে না, কাজী সালাহউদ্দিন ক্ষমতায় আসার পর থেকে বাংলাদেশের ফুটবলে শুধু অধঃপতনই হয়েছে। ফিফা র্যাংকিংয়ে ১৯৭ তম স্থানে নেমেছে তার অধীনেই। এই ১২ বছরেই প্রথমবারের মতো ভূটানের কাছে পরাজয়ের স্বাদ পেয়েছে লাল সবুজের বাংলাদেশ। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপেও বাংলাদেশ হারিয়েছে তার আগের সৌন্দর্য। ৬ বারের মধ্যে একটিবার পৌছাতে পেরেছে সেমিতে। বাকি ৫ বার বিদায় নিতে হয়েছে গ্রুপপর্ব থেকেই।
এছাড়াও বোর্ডের বিরুদ্ধে কতশত অভিযোগ, দুর্নীতির কালিমা, সাবেক ফুটবলারদের অসন্তোষ ইত্যাদি মিলিয়ে সালাহউদ্দিন এখন ফুটবল অঙ্গনের ‘খলনায়ক’!
এখন পর্যন্ত টানা তিনবার সভাপতির আসনে সালাহউদ্দিন। শুরুতে ২০০৮ সালে তার ভোটের লড়াইটা ছিল এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তার বিপক্ষে। ২০১২ সালে নির্বাচনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না সাবেক এই ফুটবল তারকার বিপক্ষে। ফলে হেসেখেলে পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। সর্বশেষ ২০১৬ সালে সালাহউদ্দিনকে হারাতে হয় নরসিংদী-২ আসনের সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খানকে। এই নির্বাচনে প্রথমবারের মতো শতভাগ ভোট কাস্টিং হয়। ৩৩ ভোটের ব্যবধানে (সালাউদ্দিন ৮৩ ভোট, পোটন ৫০ ভোট, বাতিল ১ টি) টানা তৃতীয়বারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হন।
তবে আগের তিন নির্বাচনকে ছাপিয়ে এবারের নির্বাচনে সবথেকে বড় প্রতিযোগিতার সম্মুখীন সালাহউদ্দিন। এবার তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নির্বাচনে দাড়ালেন বাদল রায় ও শফিকুল ইসলাম মানিক। সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে আব্দুস সালাম মুর্শেদীর বিপক্ষে লড়বেন আরেক সাবেক তারকা শেখ মোহাম্মদ আসলাম।
সহ-সভাপতি পদের প্রার্থীরা হলেন- মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, তাবিথ আউয়াল, শেখ মুহাম্মদ মারুফ হাসান, এসএম আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ, কাজী নাবিল আহমেদ, আমিরুল ইসলাম বাবু, আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক ও ইমরুল হাসান।
আর কার্যনিবাহী সদস্যের জন্য ১৫ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ৩৬ জন।