এমপি হয়েই ‘বাজিমাত’ করলেন যারা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ জানুয়ারি ২০১৯, ১৮:৩৪ আপডেট : ০৭ জানুয়ারি ২০১৯, ১৮:৪০
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকারের নতুন মন্ত্রিসভায় ২৪ জন পূর্ণ মন্ত্রীর ৯ জনই নতুন মুখ। যারা এর আগে কখনো মন্ত্রিত্ব পাননি। এ কারণে এই মন্ত্রিসভাকে সরকারের একটি চমক হিসেবে বলা হচ্ছে। এ ছাড়া বাঘা বাঘা বেশ কয়েকজন মন্ত্রীকে বাদও দেওয়া হয়েছে।
৪৭ জনের মন্ত্রিসভায় প্রথমবার এসে পূর্ণ মন্ত্রী হলেন যারা-
কুমিল্লা-৯ আসনের সাংসদ মো. তাজুল ইসলাম (স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়), সিলেট-১ আসনের সাংসদ ও গত সরকারের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের ছোট ভাই এ কে আবদুল মোমেন (পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়), নরসিংদী-৪ আসনের সাংসদ নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন (শিল্প মন্ত্রণালয়), নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ গোলাম দস্তগীর গাজী (বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়), নওগাঁ-১ আসনের সাধন চন্দ্র মজুমদার (খাদ্য মন্ত্রণালয়), রংপুর-৪ আসনের সাংসদ টিপু মুনশি (বাণিজ্য মন্ত্রণালয়), পিরোজপুর-১ আসনের সাংসদ শ ম রেজাউল করিম (গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়), পঞ্চগড়-২ আসনের সাংসদ নুরুল ইসলাম সুজন (রেলপথ মন্ত্রণালয়) ও মৌলভীবাজার-১ আসনের সাংসদ মো. শাহাব উদ্দিন (পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়)।
এদিকে ২৪ জন পূর্ণ মন্ত্রী আজ সোমবার শপথ নিয়েছেন। তারা হলেন আ ক ম মোজাম্মেল হক (মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক) , ওবায়দুল কাদের (সড়ক পরিবহন ও সেতু), আব্দুর রাজ্জাক (কৃষি), আসাদুজ্জামান খান কামাল (স্বরাষ্ট্র), হাছান মাহমুদ (তথ্য), আনিসুল হক (আইন), আ হ ম মুস্তফা কামাল (অর্থ), তাজুল ইসলাম (স্থানীয় সরকার), দীপু মনি (শিক্ষা), এ কে আবদুল মোমেন (পররাষ্ট্র), এম এ মান্নান (পরিকল্পনা), নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন (শিল্প), গোলাম দস্তগীর গাজী (বস্ত্র ও পাট), জাহিদ মালেক (স্বাস্থ্য), সাধন চন্দ্র মজুমদার (খাদ্য), টিপু মুনশি (বাণিজ্য), নুরুজ্জামান আহমেদ (সমাজকল্যাণ), শ ম রেজাউল করিম (গণপূর্ত), মো. শাহাব উদ্দিন (পরিবেশ ও বন), বীর বাহাদুর ঊশৈ সিং (পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক), সাইফুজ্জামান চৌধুরী (ভূমি), নুরুল ইসলাম সুজন (রেলপথ), ইয়াফেস ওসমান—টেকনোক্র্যাট (বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি), মোস্তাফা জব্বার—টেকনোক্র্যাট (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি)।
১৯ জন প্রতিমন্ত্রী হচ্ছেন—কামাল আহমেদ মজুমদার (শিল্প), ইমরান আহমেদ (প্রবাসীকল্যাণ), জাহিদ আহসান রাসেল (যুব ও ক্রীড়া), নসরুল হামিদ (বিদ্যুৎ ও জ্বালানি), আশরাফ আলী খান খসরু (মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ), মন্নুজান সুফিয়ান (শ্রম), খালিদ মাহমুদ চৌধুরী (নৌপরিবহন), জাকির হোসেন (প্রাথমিক ও গণশিক্ষা), শাহরিয়ার আলম (পররাষ্ট্র), জুনায়েদ আহমেদ পলক (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি), ফরহাদ হোসেন (জনপ্রশাসন), স্বপন ভট্টাচার্য (স্থানীয় সরকার), জাহিদ ফারুক (পানিসম্পদ), মো. মুরাদ হাসান (স্বাস্থ্য), শরীফ আহমেদ (সমাজকল্যাণ), কে এম খালিদ (সংস্কৃতি), এনামুর রহমান (দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ), মাহবুব আলী (বিমান), শেখ মো. আবদুল্লাহ—টেকনোক্র্যাট (ধর্ম)।
৩ উপমন্ত্রী হচ্ছেন—হাবিবুন নাহার (পরিবেশ), এ কে এম এনামুল হক শামীম (পানিসম্পদ), মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল (শিক্ষা)।
এছাড়া বাদ পড়েছেন যেসব হেভিওয়েট প্রার্থী— আবুল মাল আবদুল মুহিত, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরী, নুরুল ইসলাম নাহিদ, মোহাম্মদ নাসিম, মুজিবুল হক, আসাদুজ্জামান নুর, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, শাজাহান খান, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, আবুল হাসান মাহমুদ আলী, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ।
আরএ