অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে বিচারবহির্ভূত হত্যা দুর্ভাগ্যজনক: ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮:৩৩
কুমিল্লায় নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতে যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে এ ধরনের বিচারবহির্ভূত হত্যা দুর্ভাগ্যজনক। এই নির্মমতা আওয়ামী ফ্যাসিবাদী আমলকেই মনে করিয়ে দেয়।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক মুহম্মদ মুনির হোসেনের সই করা এক বিবৃতিতে এসকব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, কুমিল্লা সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলামকে সাদা পোশাকধারী লোকেরা বাসা থেকে তুলে নেয়ার পর নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়ে হত্যা করেছে।
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনার জোর আহ্বান জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে এ ধরনের বিচারবহির্ভূত হত্যা দুর্ভাগ্যজনক। এই নির্মমতা আওয়ামী ফ্যাসিবাদী আমলকেই মনে করিয়ে দেয়।
তিনি বলেন, ড. ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্যতম অঙ্গীকার হলো- গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যা থেকে জাতিকে মুক্তি দেয়া। রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের ভয়ভীতি থেকে দেশবাসীকে নিরাপদ রাখা। কিন্তু আওয়ামী ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের যদি পুনরাবৃত্তি হয়, তাহলে আবারও দেশে নৈরাজ্যের অন্ধকার নেমে আসবে। মানুষ এক অজানা আশঙ্কায় দিনাতিপাত করবে।
ফখরুল বলেন, তৌহিদুল হত্যাকাণ্ডের ঘটনা জনমনে নতুন আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। এ ধরনের বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনায় দেশবাসী হতবাক হয়েছে। সরকার ও প্রশাসনে আওয়ামী দোসররা ঘাপটি মেরে থেকে রক্তাক্ত ঘটনা ঘটাচ্ছে কি না সেটি নিয়ে গভীর অনুসন্ধান জরুরি।
তিনি বলেন, কোনো সরকারি বাহিনীই আইন হাতে তুলে নিতে পারে না। অপরাধ সংঘটনকারী যতই শক্তিশালী হোক, তাকে আইনের আওতায় নিয়ে এসে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া আইনের শাসনের অন্যতম শর্ত। কিন্তু কখনোই বিচারবহির্ভূতভাবে নির্যাতন করে হত্যা করার কোনো অধিকার সরকারি বাহিনীগুলোর নেই। আমি তৌহিদুল ইসলামকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যার তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাই।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বেআইনি হত্যা করে কখনোই সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করা যায় না, এতে আইনের শাসনকে চরমভাবে অবজ্ঞা করা হয় এবং দেশকে ঠেলে দেওয়া হয় আদিম অন্ধকারের দিকে।
তৌহিদুল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনার জোর আহ্বান জানিয়ে নিহতের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনাসহ তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিনি।
বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি