ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ আপডেট : ৩ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

সালমান এফ রহমান ও পরিবারের ২৫০ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২১:৪০

সালমান এফ রহমান ও পরিবারের ২৫০ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ
বাঁ থেকে উপরে সালমান এফ রহমান, সোহাইল এফ রহমান এবং নিচে শায়ান ফজলুর রহমান ও শাহরিয়ার রহমান। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা প্রায় ২৫০ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ করার কথা জানিয়েছে পুলিশর অপরাধ ও তদন্ত বিভাগ-সিআইডি।

সিআইডির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার জজ আদালত সম্প্রতি ওইসব সম্পত্তি ক্রোক করার আদেশ দেয়।

রপ্তানি বাণিজ্যের আড়ালে মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে ১৭টি মামলা করে সিআইডি।

সালমানের ভাই বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান সোহাইল এফ রহমান, সালমানের ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান এবং সোহাইলের ছেলে আহমেদ শাহরিয়ার রহমানও সেসব মামলার আসামি।

সেসব মামলার তদন্তের স্বার্থে সালমান এফ রহমান ও তার পরিবারের নামে থাকা সম্পদ ক্রোকের আবেদন করেছিল সিআইডি, আদালত তা মঞ্জুর করে।

কী কী সম্পদ ক্রোক করা হয়েছে, তার একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা জেলার দোহার থানা এলাকায় থাকা প্রায় দুই হাজার শতাংশ জমি এবং ভূমির উপর নির্মিত স্থাপনা, গুলশানের দ্য এনভয় নামের ভবন, আহমেদ শাহরিয়ার রহমানের নামে ৬ হাজার ১৮৯ দশমিক ৫৪ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট এবং গুলশান আবাসিক এলাকার ৬৮/এ নম্বর সড়কের ৩১নম্বর প্লটের ওপর নির্মিত ট্রিপ্লেটস নামের ছয় তলা ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় (ডুপ্লেক্স) ২ হাজার ৭১৩ দশমিক ১০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট আদালতের আদেশে ক্রোক করা হয়েছে।

ক্রোক হওয়া এসব সম্পত্তির বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ২৫০ কোটি টাকা বলে সিআইডির ভাষ্য।

মামলার বিবরণ দিয়ে সিআইডি বলেছে, সালমান এফ রহমান ২০২০ সাল থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে অ্যাপোলো অ্যাপারেল লিমিটেড এবং কাঁচপুর অ্যাপারেল লিমিটেড নামের দুটি কোম্পানির নামে ২১টি এলসির মাধ্যমে দুবাইতে তার ছেলের মালিকানাধীন কোম্পানি আর আর গ্লোবাল ট্রেডিংয়ে ২ কোটি ৬০ লাখ ৯৮৪ ডলারের পণ্য রপ্তানির নামে ‘অর্থ পাচার’ করেন।

“আসামিরা সংঘবদ্ধভাবে বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালে বিদেশে টাকা পাচারের অসৎ উদ্দেশ্যে নিজেদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে পণ্য রপ্তানি করে।"

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ১৩ অগাস্ট সালমান এফ রহমানকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় পুলিশ। তখন থেকেই তিনি কারাগারে আছেন। তবে তার ছেলে, ভাই ও ভাইয়ের ছেলের বিদেশে থাকার খবর সংবাদম্যমে এসেছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনবি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত