ক্রিস্টিনের সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন জয়
জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশ : ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮:১৬ আপডেট : ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮:৩৮
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, `ক্রিস্টিন এবং আমি আর একসঙ্গে নেই। ক্রিস্টিনের সঙ্গে আমার বিচ্ছেদ হয়ে গেছে।'
গতকাল সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে জয় জানান, তিনি ও তার স্ত্রী ক্রিস্টিন প্রায় তিন বছর আগে আলাদা হয়ে গেছেন।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) জয়ের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি (জয়) ও তার পরিবার আন্তর্জাতিক আর্থিক অপরাধে যুক্ত।
এফবিআইয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, সজীব ওয়াজেদ জয় ও তার মা শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচারের সঙ্গে জড়িত। এই টাকা স্থানান্তরের জন্য কয়েকটি সন্দেহজনক ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ব্যবহার ও অর্থ লেনদেনের অভিযোগ ওঠে। ফেডারেল তদন্তের ফলে এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২২ ডিসেম্বর এই মামলা তদন্ত শুরু করে।
তবে, সজীব ওয়াজেদ জয় এই প্রতিবেদনের তথ্যগুলোকে ভুল ও বিভ্রান্তিকর দাবি করেছেন। তিনি বলেন, রিপোর্টে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে তা অসাবধানতার ফল। এফবিআই তদন্তে গুরুতর ভুল করেছে। তার মতে, ওই প্রতিবেদনটিতে একটি ‘ভুল’ এজেন্টের নাম ও ‘মৃত’ একজন আইনজীবীর কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যিনি বহু বছর আগে মারা গেছেন। তিনি এই বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে সংবাদমাধ্যমে একটি লিংকও শেয়ার করেছেন, যা ওই আইনজীবীর মৃত্যুর খবরের প্রমাণ দেয়।
এফবিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সজীব ওয়াজেদ জয় এবং তার স্ত্রী ক্রিস্টিনের সন্দেহজনক ব্যাংক লেনদেন সম্পর্কিত তথ্য পাওয়া গেছে ম্যাসাচুসেটস ও ভার্জিনিয়া রাজ্য থেকে। তদন্তে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, জয় আটটি বিলাসবহুল গাড়ির মালিক, যার মধ্যে ম্যাকলারেন ৭২০এস, মার্সিডিজ বেঞ্জ ও রেঞ্জ রোভার অন্তর্ভুক্ত। যদিও জয় দাবি করেছেন, এই গাড়িগুলোর বেশিরভাগই পুরোনো ও তারা বহু বছর আগে এগুলো বিক্রি করেছেন।
এফবিআই আরও জানিয়েছে, জয় ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ থেকে ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে। এছাড়া, রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, সজীব ওয়াজেদ জয় একটি মানি লন্ডারিং চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন। তাদের ওয়াশিংটন ডিসি, নিউইয়র্ক ও লন্ডনে অর্থ স্থানান্তরের বিষয়টি সন্দেহজনক।
সজীব ওয়াজেদ জয় তার ফেসবুক পোস্টে এ ব্যাপারে বলেন, তিনি এই তদন্তের বিরুদ্ধে থাকবেন এবং তার বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগগুলো প্রমাণিত হতে হবে। তিনি দাবি করেছেন, তার কোনো অফশোর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই এবং সব ধরনের লেনদেন বৈধভাবে পরিচালিত হয়েছে।
ফেসবুক স্ট্যাটাশের শেষ লাইনে জয় বলেন, ‘সবশেষে, ক্রিস্টিন ও আমি আর একসঙ্গে নেই। আমরা প্রায় তিন বছর আগে আলাদা হয়েছি।’
বাংলাদেশ জার্নাল/এনবি