ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
পরীক্ষা দিতে আসা ছাত্রলীগ নেতাকে মারধর, থানায় সোপর্দ
প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:৪৩
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) মানোন্নয়ন পরীক্ষা দিতে এসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েছেন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের এক নেতা। পরে প্রক্টরিয়াল বডি, বিভাগের শিক্ষক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা তাকে ক্যাম্পাসস্থ থানায় সোপর্দ করেন।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। তোপের মুখে পড়া ওই ছাত্রলীগ নেতা ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মামুন অর রশিদ। তিনি শাখা ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি।
জুলাইয়ের আন্দোলনে প্রকাশ্যে বিরোধিতা ও শিক্ষার্থীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া সে আন্দোলন পরবর্তীসময়েও বিভিন্ন অপপ্রচারে লিপ্ত ছিল।
জানা যায়, সকাল সাড়ে ৯টায় বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মানোন্নয়ন পরীক্ষা শুরু হয়। ছাত্রলীগ নেতা মামুনুর রশীদ পরীক্ষায় অংশ নেন। পরে শিক্ষার্থীরা তার বিষয়টি টের পেয়ে পরীক্ষার হলের সামনে জড়ো হয় এবং ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়।
পরে প্রক্টরিয়াল বডি ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়করা তাকে পরীক্ষার হল থেকে বের করে থানায় নিয়ে যান। এসময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তাকে মারধর, কিল-ঘুসি ও চড়থাপ্পড় দেয়।
বিভাগের শিক্ষকরা জানান, সে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিল। পরে আমরা আসতে নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু আজ সে কখন এসে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে তা বুঝতে পারিনি। প্রক্টরিয়াল বডি, ছাত্র উপদেষ্টা ও সমন্বয়কদের হাতে তাকে তুলে দেওয়া হয়।
প্রক্টরের দায়িত্বে থাকা সহকারী অধ্যাপক ড. ফকরুল ইসলাম বলেন, ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ওই শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে এসেছে বলে মনে করি। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ থাকায় পরীক্ষায় আসতে নিষেধ করা হয়েছিল। এরপরও সে এসেছে। এর পেছনে কারও ইন্ধন রয়েছে কি না বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। তাকে পুলিশি হেফাজতে দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে পুলিশে দিয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এফএম