হিন্দু-মুসলিম একসাথে লড়াই করে দিল্লির দাসত্বকে খানখান করবে: রিজভী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩:৩৯
দেশের জন্য সিরাজ-উদ-দৌলা ও মোহনলাল একসাথে লড়ায় করেছেন উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রয়োজনে হিন্দু-মুসলমান একইসাথে লড়াই করে দিল্লির দাসত্বকে খানখান করে দিবো। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সমাবেশ ও পদযাত্রায় পূর্বে তিনি এসব কথা বলেন। ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাই কমিশনারের অফিসে হামলার প্রতিবাদে এ মিছিল করে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট।
রিজভী বলেন, বিজেপি সরকার গোড়া হিন্দুত্ববাদকে পুজি করে ক্ষমতায় এসেছে। এদের আর কোন পুজি নেই। সুতরাং ক্ষমতায় থাকতে হলে হিংসা এবং ঘৃণা ছড়াতে হবে। এছাড়া নরেন্দ্র মোদি বাবুর ক্ষমতায় থাকা অনেক মুশকিল হবে। কারণ ভারতের স্বাধীনতায় তাদের উত্তরসূরীদের কোন অবদান নেই। এটি আমার নিজের ইতিহাস পাঠ নয়, একজন বিখ্যাত লেখক অন্নদা শংকর রায় তিনি তার এক লেখায় একথা বলেছেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমার কাছে অবাক লাগে, যে ভদ্র মহিলার (কলকাতার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ছিলো। অসাম্প্রদায়িক, সেকুলার হিসেবে যে রাজনীতিবিদকে চিনতাম তাকেও মনে হলো রাজনীতির জন্য মুখে অসাম্প্রদায়িকতার কথা বলতেন। ধর্ম নিরপেক্ষতার কথা বলতেন কিন্তু তার গভীরে ছিলো কট্টর হিন্দুত্ববাদ। যে কোন আদর্শের কট্টরবাদ মানবতার পরিপন্থী। যে কোন ধর্ম সম্প্রদায়ের কট্টরবাদ মানবতার বিরুদ্ধে যায়।
তিনি বলেন, এই দেশে যারা ইসলামী রাজনীতি করেন তারাও কিন্তু সাম্প্রদায়িক কথা বলেন না। অন্য ধর্মের প্রতি আক্রমণ করে কোন কথা বলেন না। এটাই আমাদের ঐতিহ্য। আপনারা আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনে ঢুকে আমাদের পতাকা টেনে নামিয়ে ছিড়েছেন, এটা তো প্রচন্ড আঘাত। করোনার আঘাতের চেয়ে বড় আঘাত দিয়েছেন ভারতের শাসকগোষ্ঠী। এটা আমরা কখনো ভুলে যাবো না।
ভারতের মিডিয়ার সমালোচনা করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, আপনারা আপনাদের মিডিয়ায় এক শোভন ভদ্র লোক মিথ্যা অপপ্রচার করে যাচ্ছেন। আমি তাকে ভদ্রলোকই মনে করতাম, দেখতেও সুন্দর কিন্তু মনটা এতো অসুন্দর। গোপালগঞ্জ আগুন লাগিয়ে ৫ জনকে মেরে ফেলেছে ঢালাওভাবে প্রচার করেছেন। গোপালগঞ্জে কাউকে আগুন লাগিয়ে মারা হয়েছে? এত বড় মিথ্যা, অপপ্রচার!
ভারত বলে সেকুলার দেশ, ধর্মনিরপেক্ষ দেশ, আজকে তাদের মিডিয়া খেয়ে না খেয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। সুবেন্দু বাবুদের তল্পিবাহক হয়েছে বলেও যোগ করেন রুহুল কবির রিজভী।
আমরা আমাদের স্বাধীনতা রক্ষায় অঙ্গিকারাবদ্ধ উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, আমরা ভারত সহ যত বড়, ক্ষুদ্র রাষ্ট্র আছে প্রত্যেকটা দেশের স্বাধীনতার মর্যাদা দেই। কিন্তু ভারতের শাসকগোষ্ঠী যদি মনে করে সম্প্রসারণ চালিয়ে বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান ও অন্যান্য দেশ আমরা কব্জা করে নিবো -এটা কিন্তু আপনারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন।
সংগঠনের সভাপতি অর্পুনা রায় দাসের সভাপতিত্বে, সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার বসুর সঞ্চলনায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। অন্যদের মধ্যে ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অমলন্দ দাস অমলেন্দু দাস অপু, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদ খান প্রমুখ।
বাংলাদেশ জার্নাল/আরএইচ/এএইচ