ছাত্রদলের পোস্টার লাগানোর প্রতিবাদে উত্তাল ঢাবি
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৩
৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এবং হলের বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার লাগিয়েছে। হলে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকলেও ছাত্রদল হলের ভিতরে এবং বাহিরে পোস্টারিং করে। ছাত্রদলের এমন কর্মকাণ্ডে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে শিক্ষার্থীরা।
বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। পরে এতে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, কবি জসীমউদ্দিন হল, হাজী মুহাম্মদ মু্হসীন হলসহ বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা যোগ দেয়।
শিক্ষার্থীরা বলছে, প্রশাসনের উদ্যোগে হল থেকে ছাত্রদলের পোস্টার সরানো না হলে বিক্ষোভ আন্দোলন বন্ধ করবে না।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মীর মো. আসিফ বলেন, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা স্বত্তেও ছাত্রদল ক্যাম্পাসে পোস্টার লাগিয়েছে। মূলত হলে ছাত্ররাজনীতি ঢুকানোর অপচেষ্টা করছে ছাত্রদল। আমরা এই অপচেষ্টা রোধ করতে আন্দোলন অব্যাহত রাখব।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ সমন্বয়ক মোসাদ্দিক আলি বলেন, 'সিন্ডিকেট কতৃক সাময়িক ভাবে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই হলে রাজনীতি করার পক্ষে নেই। তা স্বত্তেও কীভাবে কোনো রাজনৈতিক দল হলে পোস্টার লাগতে পারে। হল এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কী করে!
আন্দোলনকারীরা জানায়, 'জিয়া হলের ১৭-১৮ সেশনের ইংরেজি বিভাগের আবাসিক শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম পোস্টার ছিড়লে শিক্ষার্থীদের দেখে নিবে বলে হুমকি দেয়। শিক্ষার্থীরা হলের প্রোভোস্টের কাছে তার বহিষ্কারের দাবি জানায়। এছাড়া ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা অনলাইন এবং অফলাইনে পোস্টারিংএর বিরোধিতা করা শিক্ষার্থীদেরকে হুমকি দেয় বলে অভিযোগ করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
রাত ১১টায় প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ আসেন। তিনি বলেন, ছাত্ররাজনীতির চুড়ান্ত কাঠামো আমরা এখনো দিতে পারিনি।
৭ই নভেম্বর নিয়ে আমাদের কারো সমস্যা নাই। ছবিতে থাকা জিয়াউর রহমান নিয়েও কারো বিতর্ক নেই। পোস্টার তুলে নিলে ব্যক্তির মর্যাদা ক্ষুন্ন হবে। শিক্ষার্থীদের শান্ত করতে চাইলেও বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন অব্যাহত রাখে।
বিক্ষোভ মিছিলে 'পোস্টার থাকলে দেয়ালে, দুঃখ আছে কপালে' 'ছাত্র রাজনীতির ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না' 'টু জিরো টু ফোর,ছাত্ররাজনীতি নো মোর' ইত্যাদি স্লোগান দেয় শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ