ঢাকা, মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

৭ নভেম্বর ইতিহাস মুছে দিতে চেয়েছিল পতিত স্বৈরাচার: ডা. জাহিদ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ১৪:৫৩

৭ নভেম্বর ইতিহাস মুছে দিতে চেয়েছিল পতিত স্বৈরাচার: ডা. জাহিদ
ছবি: প্রতিবেদক

৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস মুছে দিতে চেয়েছিল পতিত স্বৈরাচার সরকার বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, বিগত সরকার ৭ নভেম্বর বইয়ের পাতা থেকে মুছে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু জনগণের মন থেকে মুছে দিতে পারেনি। কারণ তাদের ভালোবাসা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

সোমবার (৪ নভেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে আগামী ৮ নভেম্বর ঢাকায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের র‌্যালি উপলক্ষে ঢাকা মহানগরের নেতৃবৃন্দ ও অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে যৌথ সভা করেন ডা. জাহিদ হোসেন।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার আন্দোলনে ব্যর্থ হলে জিয়াউর রহমানের ফাঁসি হতো। বন্দি অবস্থায় তাকে সারাদেশের সিপাহি-জনতা মুক্ত করেছে। কিন্তু আত্মসমার্পন করেনি। তার হাতে দেশ পরিচলানার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। যদের স্বাধীনতার ডাক দেওয়ার কথা ছিল তাদের খুজে পাওয়া যায়নি। দেশে জাতীয় ঐক্য তৈরি করেছিলেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, গত ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বিএনপির নেতাকর্মীরা অংশগ্রহন করা জনস্রোত নেমেছিল। ৭৫-এর মতো আবারও নভেম্বর র‍্যালি জনস্রোতে পরিণত করবো।

ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, আজকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। অন্তর্বর্তী সরকার যাতে দায়িত্ব পালন না করতে পারে সেজন্য ষড়যন্ত্রকারীরা থেমে নেই। তারা তাদের লুষ্ঠিত অর্থ ও বিভিন্ন অবৈধ অস্ত্র নিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছে। বিভিন্ন নামে ও বেনামে ষড়যন্ত্র করে চলেছে।

ডা. জাহিদ জানান, নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে র‍্যালি শুরু হয়ে ঢাকার বিভিন্ন সড়ক প্রদিক্ষন করেন। ঢাকার পাশের জেলা নারায়ণগঞ্জ মুন্সিগঞ্জ, গাজিপুর, টাঙ্গাইল ও নরসিংদী জেলার নেতাকর্মীরাও কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে অংশ নিবেন।

ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলা মহানগরীর তাদের মতো করে র‍্যালি করবে। এছাড়াও কর্মসূচির মধ্যে আসছে বুধবার (৬ নভেম্বর) আলোচনা সভা, ৭ নভেম্বর বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজার (কবর) জিয়ারত এবং ৮ নভেম্বর জাতীয় র‍্যালি করবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।

যৌথ সভায় বলা হয়, র‍্যালিতে পোস্টার ও ব্যানারে বিএনপির শীর্ষ তিন নেতার বাইরে কারো ছবি ব্যবহার না করা, সবাইকে সুশৃঙ্খলভাবে র‍্যালিতে অংশ নিতে হবে। জাসাসের আয়োজনে ব্যান্ড পার্টির বাইরে কোনো ঢোল, হাতি ও ঘোড়ার ব্যবহার না করতে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেয়া হয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরএইচ/এএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত