ঢাকা, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪, ৬ কার্তিক ১৪৩১ আপডেট : ২ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

বন্যাদুর্গতদের পুনর্বাসনে বিএনপির ৬ দাবি

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২০ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৫৭  
আপডেট :
 ২০ অক্টোবর ২০২৪, ১৩:০০

বন্যাদুর্গতদের পুনর্বাসনে বিএনপির ৬ দাবি
ছবি: প্রতিবেদক

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সম্প্রতি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার, কৃষক ও খামারীদের তালিকা তৈরি করে দ্রুত পুনর্বাবাসনসহ ৬ দফা দাবি জানিয়েছে বিএনপি।

রোববার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বিএনপির ৬ দাবি হল- বন্যার পানিতে যাদের জমির ফসল বিনষ্ট হয়ে গেছে তাদের সঠিক তালিকা প্রনয়ন করে আগামী ফসল না উঠা পর্যন্ত তাদেরকে সর্বাত্মক ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা এবং আগামী ফসলের জন্য সুদমুক্ত কৃষি ঋণ প্রদান এবং বিনা মূল্যে সার, রবি শষ্যের বীজ, কীটনাশক, সেচের তেলের ব্যবস্থা করা।

বন্যার পানিতে যে সব মৎস্য ঘের, হাঁস-মুরগী, গবাদী পশুর খামার বিনষ্ট বা ধ্বংস হয়ে গেছে তাদের সঠিক তালিকা ও ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করে পুনরায় খামার প্রতিষ্ঠার জন্য সুদমূক্ত ঋণসহ অন্যান্য সহায়তা প্রদান করা। বন্যার পানিতে যাদের বাড়ি-ঘর আংশিক ও পুর্নাঙ্গ ধ্বংস হয়ে গেছে তাদের তালিকা তৈরি করে ঘর-বাড়ী পুনঃনির্মাণে সহায়তা প্রদান এবং গ্রাম/পাড়া/মহল্লা যারা বন্যায় বর্তমানে উদ্বাস্ত হয়ে গেছে তাদেরকে সরকারী খাস জমিতে বা আশ্রয়ন প্রকল্পে স্থানান্তরিত করতে হবে। যে সকব বাঁধ, রাস্তা, মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দিরসহ অন্যান্য ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আংশিক ও পুর্নাঙ্গ ধ্বংস হয়ে গেছে সেগুলো সংস্কার ও পুণঃনির্মাণ করতে হবে।

বন্যার পানিতে যে সব ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা সামগ্রী নষ্ট হয়ে গেছে তাদেরকে সরকারি উদ্যোগে শিক্ষা সামগ্রী ও সহায়তা প্রদান করতে হবে। বন্যার পানি নামার সাথে সাথে রোগ-বালাইগ্রস্ত মানুষের জন্য সরকারী হাসপাতালে বিনামূল্যে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং প্রয়োজনে এলাকাভিত্তিক মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করে চিকিৎসা দিতে হবে।

রিজভী বলেন, বাজারে চাল-ডাল-সবজি ও মাছ-মাংস-ডিমের সরবরাহ ঠিক রাখতে হলেও সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। সার, কীটনাশক ও বীজের সরবরাহ বাড়িয়ে কিংবা প্রণোদনা দিয়ে কৃষক ও খামারীদের পাশে দাঁড়াতে হবে।

জীবনযাত্রার মান স্বাভাবিক রাখতে ক্ষতিগ্রস্ত আবাসন পুননির্মাণ, পয়ঃনিস্কাশন, বিদ্যুৎ ও পুষ্টির মতো অতি প্রয়োজনীয় সেবাগুলোর ঘাটতি যাতে না হয়, সেটি বিবেচনা করে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এই বন্যাজনিত সংকটে শিশুরা যাতে অপুষ্টিতে না ভোগে সেজন্য সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বন্যা পরবর্তী অসুস্থতা ও পানিবাহিত রোগ নিরাময়ে পর্যাপ্ত ঔষুধ সরবরাহের বিষয়ে সরকারকে কর্মতৎপর হতে হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরএইচ/এএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত