ঢাকা, শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ আপডেট : ৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনের রোডম্যাপ দিতে বলেছি: মির্জা ফখরুল

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১৬:৫৬  
আপডেট :
 ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১৭:১৭

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনের রোডম্যাপ দিতে বলেছি: মির্জা ফখরুল
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন মির্জা ফখরুল। ছবি: প্রতিবেদক

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার (৫ অক্টোবর) বিকাল ৪টার দিকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণে সংলাপ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

ফখরুল বলেন, সংলাপে নির্বাচন কমিশন সংস্কার ও রোডম্যাপ দিতে বলেছি। নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন স্থগিত করে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমতের ভিত্তিতে অনতিবিলম্বে নির্বাচন কমিশন নিয়োগ করার বিষয়ে কথা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ বাতিলের দাবি জানিয়েছি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের কারণে বিচারপতি খায়রুল হকের বিরুদ্ধে আইনিব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছি।

এছাড়া বিতর্কিত কেউ যাতে সংস্কার কমিশনে আসতে না পারে সেই কথাও জানিয়েছেন বলে জানান তিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রশাসন থেকে স্বৈরাচারের নিয়োগকৃত দোসররা এখনো রয়েছে। তাদের অবিলম্বে সরিয়ে নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে বসানোর কথা বলেছি। ডিসি নিয়োগে যে দুর্নীতির খবর বের হচ্ছে তা উদ্বেগের। আমরা নতুন ফিটলিস্ট তৈরির কথা বলেছি। প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের বিষয়ে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন বলে জানান বিএনপি মহাসচিব।

তিনি আরও বলেন, এ ছাড়াও শেখ হাসিনার পতনের পর যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে এবং গ্রেপ্তার হচ্ছেন তাদের আবারও জামিন দেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছি। দুর্গাপূজা উপলক্ষে নিরাপত্তা জোরদার ও নিশ্চিতকরণে প্রস্তাব করেছি।

বিতর্কিত কোনো ব্যক্তিকে যেন নির্বাচন সংস্কারে গঠিত কমিটিতে রাখা না হয় তারও দাবি জানিয়েছে বিএনপি। মির্জা ফখরুল বলেন, ভোটার আইডি কার্ড স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেয়ার আইন করা হয়েছিল, তা অধ্যাদেশ জারি করে বাতিলের দাবি জানিয়েছি।

২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের ভুয়া, বিতর্কিত ও পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সাবেক তিন নির্বাচন কমিশনের সব কমিশনারদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল।

এছাড়া, ২০০৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সাজানো সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছি। সাবেক এমপি মন্ত্রীসহ বিভিন্ন ব্যক্তিরা দেশ ছেড়ে কীভাবে পালাচ্ছে সে বিষয়ে গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানিয়েছি।

কথিত ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনা ভারতে বসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে ক্যাম্পেইন চালাচ্ছেন সেগুলো নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে ভারতের সাথে আলোচনার করার আবদেন জানিয়েছি। এর পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার কারণ উদঘাটন করে এই বিষয়ে সুরাহা করার কথাও আমরা উত্থাপন করেছি।

এদিন বিএনপির ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করতে যান। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান ও সালাউদ্দিন আহমেদ।

এর আগে গত ২৯ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেশের সমসাময়িক ইস্যুতে বৈঠক করে বিএনপির প্রতিনিধি দল।

এছাড়াও আজ বিকাল ৫টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাইয়ের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিতব্য সংলাপে ৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল যোগ দেবে। এরপর বিকাল সাড়ে ৫টায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এবি পার্টির প্রতিনিধি দলের বৈঠক ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এএইচ/কেএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত