ঢাকা, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ আপডেট : ১১ মিনিট আগে
শিরোনাম

জনগণ নয়, শেখ হাসিনার সঙ্গে বন্ধুত্ব চায় ভারত

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭:৫৭

জনগণ নয়, শেখ হাসিনার সঙ্গে বন্ধুত্ব চায় ভারত
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী পল্লী চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এক অনুদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি: প্রতিবেদক

বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে নয়, শেখ হাসিনার মতো একজন স্বৈরশাসকের সঙ্গে ভারত বন্ধুত্ব চায় বলে মনে করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণকে তারা পছন্দ করে না। জনগণের সঙ্গে তারা বন্ধুত্ব চায় না। তাদের পছন্দ শেখ হাসিনা। কারণ, শেখ হাসিনা থাকলে ভারত বাংলাদেশে আধিপত্য বিস্তার করতে পারে।

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী পল্লী চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত সংগঠনটির ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির বিগত আন্দোলনে গুম, খুন হওয়া ব্যক্তিদের আর্থিক অনুদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ইলিশ মাছ রপ্তানি প্রসঙ্গে রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমাদের একজন উপদেষ্টা বলেছেন ‘ভারতে ইলিশ রপ্তানি করা হয়। এখানে আবেগে কথা বললে হবে না।’ বাঙালি জনগোষ্ঠী ভারতেও আছে, দুর্গাপূজার সময়ে ইলিশ তাদের কাছে একটি বড় উপাদান। সেটা আমরা জানি। আমরা কোনোদিনই ইলিশ রপ্তানিতে বাধা দিইনি। কিন্তু ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যখন বলেন, ‘বাংলাদেশি অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের উল্টো করে ঝুলিয়ে সোজা করা হবে’ তখন তো আমাদের মধ্যে আবেগ তৈরি হবেই।

তিনি আরও বলেন, আমাদের গোটা জাতিই তো নিজ দেশ নিজ রাষ্ট্রের ব্যাপারে অত্যন্ত আবেগপ্রবণ। ভারতে ইলিশ রপ্তানি হতেই পারে। কিন্তু ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের পর আমি কেন বলবো না- আমরা ইলিশ মাছ দেবো না। দু’দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সবসময় হয়ে এসেছে। কিন্তু আবেগ তখনই আসে যখন আমাদের হেয় করে আমাদের সঙ্গে ক্রীতদাসের মতো আচরণ করা হয়। আমরা ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করি, কিন্তু তাদের সংকট হলে রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। রপ্তানির ওপর শুল্ক বৃদ্ধি করে দেয়। তারা কিন্তু আমাদের এক ইঞ্চিও ছাড় দেয় না।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ভারত যদি বাংলাদেশের মানুষকে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক মনে করে তখন তো আমাদের মধ্যে আবেগ চরম আকার ধারণ করবেই। বাংলাদেশের মানুষের আবেগ ছিল বলেই এখানে বারবার গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আমরা বিজয়ী হয়েছি। বাংলাদেশের মানুষের আবেগ ছিল বলেই এক রক্তাক্ত যুদ্ধের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জন করেছি।

প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কার শেষ করে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে বেশি সময় লাগার কথা নয় বলেও মন্তব্য করেন রিজভী।

বাংলাদেশ জার্নাল/এএইচ/কেএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত