ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

হামলায় গুরুতর আহত ছাত্রদল নেতা রাশেদ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯:৩৯

হামলায় গুরুতর আহত ছাত্রদল নেতা রাশেদ
গুলশান থানা ছাত্রদলের ১নং সহ-সভাপতি রাশেদ রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ছবি: প্রতিবেদক

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির ডাকা গণসমাবেশে এসে হামলার গুরুতর আহত হন গুলশান থানা ছাত্রদলের ১নং সহ-সভাপতি রাশেদুল ইসলাম রাশেদ। আহত অবস্থায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেখানে একাধিক অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে। তার অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।

গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার নয়াপল্টনে সমাবেশ করে বিএনপি। গণসমাবেশ চলাকালে ঢাকা ব্যাংকের গলিতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় রাশেদের গলায় গুরুতর জখম হয়। মুর্মূষু অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। হত্যার উদ্দেশ্যে এ হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে আহত রাশেদের স্বজনরা।

জানা যায়, বনানী থানা ছাত্রদল নেতা শাকিল আহমেদের নেতৃত্বে এ হামলা হয়। শাকিলসহ হামলায় অংশ নেয়া সবাই ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি রাজীব আহমেদের অনুসারী।

সূত্র জানায়, গতকাল বিকেলে এই ঘটনার পর থেকে এখন পর্যন্ত আহত রাশেদের কোন খোঁজ নেয়নি ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কেউই। এমনকি কেন্দ্রীয় নেতাদের একাধিকবার জানানোর পরেও এখনো পর্যন্ত শাকিলসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে কোন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের একাধিক নেতা জানান, হামলায় সরাসরি অংশ নেয়া শাকিল ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবের আস্থাভাজন ও বিশ্বস্ত সহযোগী। তাই রাকিবের হস্তক্ষেপেই শাকিলের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। ছাত্রদলের কোনো পদে শাকিল নেই। কিন্তু অদৃশ্য ক্ষমতাবলে কমিটি বাণিজ্যসহ নানা সংগঠন বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত শাকিল।

অভিযোগের বিষয়ে বনানী থানা ছাত্রদল নেতা শাকিল আহমেদের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়েও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, হামলার ঘটনা আমরা গতকালই জানতে পেরেছি। ঘটনা জানার পরপরই তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। একদিনের মধ্যে তারা রিপোর্ট দিবেন। রিপোর্ট পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। কেউ অপরাধ করে ছাড় পাবে না। দলের মধ্যে শৃঙ্খলা ধরে রাখতে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর ১০০ এর তদন্ত কমিটি করেছি আমরা। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় অনেকের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে। এ ঘটনাও এর ব্যতিক্রম ঘটবে না।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সারাদেশে ছাত্রদলের লাখ লাখ নেতাকর্মী। অনেকেই অনেকের অনুসারী, কে কার অনুসারী এটা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ না। অপরাধ করলে শাস্তি পাবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এএইচ/এমপি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত