ঢাকা, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩০ ভাদ্র ১৪৩১ আপডেট : ৩ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

আশা করেছিলাম প্রধান উপদেষ্টা রোডম্যাপ দিবেন, সেটা শুনতে পাইনি: ফখরুল

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ২৬ আগস্ট ২০২৪, ১৯:০৪

আশা করেছিলাম প্রধান উপদেষ্টা রোডম্যাপ দিবেন, সেটা শুনতে পাইনি: ফখরুল
জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনায় বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বক্তব্য রাখছেন। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেছেন, এখনও আমি ধোঁয়াশায়, যে অবস্থাটা সেটা আমার পরিষ্কার হয়নি। আমরা আশা করেছিলাম যে, প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়, তিনি একটা রোডম্যাপ দেবেন… সেই রোডম্যাপ আমরা কিন্তু ‘ট্রানজিশন টু ডেমোক্রেসি’, এটা আমরা কিন্তু উনার বক্তব্যের মধ্যে পাইনি।

ফখরুল বলেন, ‘রিফর্মসের কথা বলেছেন, সেই রিফর্মগুলো কোন কোন বিষয়… সেটারও কিছু কিছু তিনি আভাস দিয়েছেন… আমি জানি, সেগুলো এই অল্প সময়ের মধ্যে সম্ভব না।’

সোমবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান কাজী জাফরের ৯ম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

নির্বাচন রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বলে ইউনূসের বক্তব্য নিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, উনি সঠিক বলেছেন। অবশ্যই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হবে। এই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য তো রাজনৈতিক নেতা, রাজনৈতিক দল, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।

তিনি বলেন, আমি আশা করব, আমাদের প্রধান উপদেষ্টা সেই প্রক্রিয়াটির দিকে খুব দ্রুত যাবেন এবং তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলবেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন ছাড়া তো সম্ভব নয়… নির্বাচন হতেই হবে। নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু অবাধ হয়, সবাই যেন ভোট দিতে পারে এবং এই নির্বাচনের ফলে এমন একটা অবস্থা তৈরি না হয় যে আবার সেই আগের অবস্থা ফিরে আসে তাহলে সেটা কখনই জনগণ মেনে নেবে না। সেজন্য ধৈর্য ধরে আমরা অপেক্ষা করছি, জনগণ অপেক্ষা করছে। কিন্তু সেটা অবশ্যই একটা যৌক্তিক সময় পর্যন্ত হতে হবে। আমি বিশ্বাস করি যে, সেই যৌক্তিক সময়ের মধ্যে অবশ্যই একটা নির্বাচন হবে, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে।

প্রধান উপদেষ্টার মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের প্রায় ৬০ লাখ লোকের বিরুদ্ধে মামলা হয়, সেগুলো প্রত্যাহার করতে হবে। পত্রিকায় দেখলাম প্রধান উপদেষ্টার মামলা ওঠানো হয়েছে। আরেকজন উপদেষ্টার মামলা তুলে নেয়া হয়েছে। আমরা চাই আমাদের এক লাক ৪৫ হাজার মামলা অবিলম্বে তুলে নিতে হবে।

আনসার সদস্যদের আন্দোলন নিয়ে তিনি বলেন, গতকাল সচিবালয় ঘেরাও করে আনসার সদস্যদের পোশাক ব্যবহারের মাধ্যমে একটা গোলযোগ সৃষ্টি করতে চেয়েছিলো। ছাত্ররা সেটা নস্যাৎ করে দিয়েছে। এটা কিন্তু অশনি সংকেত। অর্থাৎ যারা পরাজিত শক্তি তারা চায় বিভিন্নভাবে এই বিজয়কে নস্যাৎ করার জন্য। আমরা জনগণকে আহবান জানাবো এই বিষয়গুলোকে প্রশ্রয় না দেয়ার জন্য।

দেশের চলমান বন্যা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, বন্যা হতে পারে। অতি বৃষ্টিতে বন্যা হবে। কিন্তু এবারের বন্যা ক্রিমিনাল অপরাধ। ভারত যে বাধ খুলে দিয়ে তা ভাটিতে কি অবস্থা হবে সেটা তাদের অবহিত করা হয়নি। যা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। অপ্রস্তুত অবস্থায় পানির ঢলে ভেসে গেছে বহু মানুষ। মৃত্যুবরণ করেছে মানুষ। তারা এখন মানবেতর জীবন যাপন করছে। আমি তাদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করছি।

বিভিন্ন স্কুল কলেজে শিক্ষকদেরকে জোরপূর্বক পদত্যাগ করানোর যে প্রবণতা চলছে, সেটি নিয়ে তিনি বলেন, আমরা দেখলাম যে, কিছু স্কুল কলেজ বাধ্য করছে শিক্ষকদের রিজাইন করে চলে যাওয়ার জন্য। এটার তো ব্যবস্থা আছেই… অভিযোগ করেন, অভিযোগ প্রমাণ হলে চলে যাবে। কিন্তু তাকে কাজ করতে দিতে হবে। অযথা বল প্রয়োগ করে এমন অবস্থা তৈরি করবেন না যাতে প্রশাসন নষ্ট হয়ে যায়।

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় প্রশাসনে থাকা ব্যক্তিদেরকে দ্রুত অপসারণের দাবি করে ফখরুল বলেন, আমরা তাদের মুখও দেখতে চাই না।

জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব এএসএম শামীমের সঞ্চালনায় আলোচনায় ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় পার্টির একাংশের মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, প্রেসিডিয়াম সদস্য নবাব আলী আব্বাস খান, মাওলানা রুহুল আমিন, মজিবুর রহমার, সেলিম মাস্টার, হোসেনে আরা, প্রয়াত কাজী জাফরের বড় মেয়ে কাজী জয়া, ভাতিজা কাজী মো. নাহিদ বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত