ঢাকা, মঙ্গলবার, ০৯ জুলাই ২০২৪, ২৫ আষাঢ় ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

শিক্ষক ও কোটাবিরোধী আন্দোলনে গণতন্ত্র মঞ্চের সমর্থন

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২৪, ১৭:২৭

শিক্ষক ও কোটাবিরোধী আন্দোলনে গণতন্ত্র মঞ্চের সমর্থন
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক এবং কোটাবিরোধীদের চলমান দুই আন্দোলনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ঘোষণা করেছে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক জোট ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’। ছবি: প্রতিবেদক

সারাদেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক এবং কোটাবিরোধীদের চলমান দুই আন্দোলনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ঘোষণা করেছে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক জোট ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’।

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে মঞ্চের সমন্বয়কারী গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান জোনায়েদ সাকি এ ঘোষণার কথা জানান। গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে সম্পাদিত দেশের স্বার্থবিরোধী বিভিন্ন সমঝোতা স্মারকের প্রতিবাদে এ সমাবেশ হয়। সমাবেশের পর বিক্ষোভ মিছিল পুরানা পল্টন মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

সাকি বলেন, সরকার এক মরণ খেলায় নেমেছে। মানুষকে বন্দি করবার জন্য হত্যা করছে, গুম করছে, দেশ ধবংস করছে। ক্ষমতা তারা ছাড়বে না। এই যে ছাত্র-ছাত্রীরা নেমেছে কোঠা সংস্কারের জন্য, এই যে শিক্ষকরা আন্দোলনে নেমেছেন। এসব আন্দোলন ফুঁসে উঠছে বলে এখন আবার ছাত্রলীগের গুন্ডা বাহিনী, হেলমেট বাহিনী হলে হলে পাহারাদার বসিয়েছে এবং আন্দোলনটাকে দমনপীড়ন করে ধবংস করতে চাইছে।

‘আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, সমস্ত আন্দোলন আমাদের। এই ছাত্রদের আন্দোলনে বিরোধী দল কোনো ষড়যন্ত্র করছে না। আমরা পরিষ্কারভাবে ছাত্রদের আন্দোলনকে সমর্থন জানাই, শিক্ষকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানাই। এই শিক্ষক আমাদের, এই ছাত্র আমাদের, এই শ্রমিক আমাদের, এই দেশের কৃষক আমাদের, এই দেশের জনগণ আমাদের। তাদের প্রতিটি আন্দোলনে আমরা আছি, থাকব।’

গণতন্ত্র মঞ্চের সকল নেতারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের প্রতি তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেন।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সরকারের একটাই লক্ষ্য ক্ষমতায় থাকবে যেকোনো প্রকারে, যেকোনোভাবে। এই সরকারের সাথে আমাদের কোনো আপোষ হবে না। এই সরকারকে আমরা কোনো পারমিশন দেয়া, তাদেরকে কোনো অনুমোদন দেবো না। এই সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে।

তিনি বলেন, দুঃখের বিষয় হলো, এখানে যা কিছু বলেন না কেনো সরকারের কানে তো বাতাস যাবে না। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ট্রানজিট দিয়ে কি অন্যায় করলাম? আমি ওইরকম করে যদি পাল্টা প্রশ্ন করি ট্রানজিট দিয়ে কি পেলেন?

-সমঝোতা স্মারকে অসুবিধা কী'- প্রধানমন্ত্রীর এ কথার জবাবে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, বাংলাদেশের লাভটা কী? এর আগে আপনি ট্রানজিট দিয়েছেন, করিডোর দিয়েছেন। সেখানে সেখানে বাংলাদেশের লাভের জায়গাটা কী? আমাদের জাতীয় স্বার্থটা কী?

বাংলাদেশ জার্নাল/এএইচ/এমপি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত