ঢাকা, বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১ আপডেট : ৫ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

কানেক্টিভিটির কারণে সার্বভৌমত্ব-নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে: ফখরুল

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ৩০ জুন ২০২৪, ১৮:২৬

কানেক্টিভিটির কারণে সার্বভৌমত্ব-নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে: ফখরুল
গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বক্তব্য রাখছেন। ছবি: প্রতিবেদক

কানেক্টিভিটির নামে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের এক অংশ থেকে আরেক অংশ পর্যন্ত রেল যোগাযোগের নামে করিডোর প্রদানের মাধ্যমে যা করা হয়েছে তাতে আমাদের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর ফলে বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।

রোববার (৩০ জুন) গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর এবং এ সফরে সম্পাদিত চুক্তির বিষয়ে এ সংবাদ সম্মেলন ডাকে বিএনপি।

মির্জা ফখরুল বলেন, সম্প্রতি ভারত সফরে গিয়ে জনগণের ভোটাধিকার হরণকারী বর্তমান অবৈধ সরকারের প্রধান শেখ হাসিনা ভারতের সাথে যে ১০টি সমঝোতা স্মারক সই করেছেন তা গোলামীর নবতর সংস্করণ মাত্র।

ফখরুল বলেন, সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতীয় রেল ট্রানজিটের ফলে বাংলাদেশের জনগণ উপকৃত হবে।’ অথচ বিশেষজ্ঞরা রেল করিডোরের ফলে বাংলাদেশের লাভ নিয়ে দারুণ সংশয় প্রকাশ করেছেন। জানা যায়, এ ট্রেন বাংলাদেশের কোনো মানুষ ব্যবহার করতে পারবে না। একতরফাভাবে ভারতকে করিডোর সুবিধা দেয়ার জন্য এ চুক্তি করা হয়েছে। এতে বাংলাদেশের কোনো লাভ হবে না। অপরদিকে, এ রেল ট্রানজিটের কোনো সমীক্ষা জনসম্মুখে প্রকাশ করা হয়নি। নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞদের কারিগরি ও অর্থনৈতিক মূল্যায়ন এবং সামরিক বিশেষজ্ঞদের ইতিবাচক বিশ্লেষণ ছাড়া এ ধরনের রেল-করিডোর প্রদান আত্মঘাতী ও জাতীয় স্বার্থবিরোধী হবে মর্মে মন্তব্য করেন তারা।

‘সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা রেল-করিডোরকে ইউরোপের সাথে তুলনা করে বলেছেন, তারা পারলে আমরা পারবো না কেন। কথা হলো- ইউরোপের ক্ষেত্রে বিষয়টি বহুদেশীয়, আমাদের ক্ষেত্রে যা কেবলই দ্বিপক্ষীয়। তাছাড়া ইউরোপের সকল দেশে সুশাসন ও ন্যায়নীতি বিরাজমান, যা আমাদের দেশে অনুপস্থিত। ইউরোপের সীমান্তগুলোতে আমাদের মতো কাঁটাতারের বেড়া নেই, ঝুলন্ত ফেলানিও নেই। অতএব আমাদের বিষয়টি ইউরোপের সাথে তুলনীয় নয়।’

মির্জা ফখরুল বলেন, এ সফরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যে ১০টি চুক্তি-সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে, বরাবরের মতো এবারো এসবের বিশদ বিবরণ প্রকাশিত হয়নি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এএইচ/এমপি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত