আগামী বর্ষায় ১৫ মিনিটে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশিত হবে: তাপস
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৭:১৯ আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৭:৪৮
অতিবৃষ্টি হলেও আগামী বর্ষায় ১৫ মিনিটের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) আওতাধীন এলাকা হতে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার দুপুরে নগরীর ওয়ারী এলাকার র্যাংকিন স্ট্রিট সংলগ্ন সড়কের নর্দমা পরিষ্কার কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সাথে মতবিনিময়কালে শেখ ফজলে নূর তাপস এ কথা বলেন।
শেখ তাপস বলেন, প্রথম বছরে আমরা এক ঘণ্টার মধ্যে পানি নিষ্কাশনে সফল হয়েছি। গতবছর আমরা আধা ঘণ্টার মধ্যে পানি নিষ্কাশনে সফল হয়েছি ও সিত্রাং ঘূর্ণিঝড় হওয়ার পরেও ঢাকায় মাত্র নয়টি জায়গায় ব্যতীত আর কোথাও পানি জমে থাকেনি। এবার আমাদের লক্ষ্যমাত্রা হলো, অতিবৃষ্টি হলেও ১৫ মিনিটের মধ্যেই যেন ঢাকাবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত করতে পারি।
বাৎসরিক সূচি অনুযায়ী নিয়মিতভাবে খাল, নর্দমা ও বক্স কালভার্ট পরিষ্কার করার কারণে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন সহজ হয়েছে জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ওয়াসার কাছ থেকে হস্তান্তর হওয়ার পর থেকে বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগে জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য আমরা বাৎসরিক সূচি অনুযায়ী প্রত্যেক বছরই সকল নর্দমা, নালা পরিষ্কার করি। সে কার্যক্রম সরেজমিন পরিদর্শনে আজ আমরা ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে এসেছি। আমরা লক্ষ্য করি, এই নর্দমাগুলো প্রত্যেক বছরই একদম ভরে যায়। এখানে যেমনি বিভিন্ন ধরনের (গৃহস্থালি) সামগ্রী পাওয়া যায় তেমনি পয়ঃপ্রণালী সামগ্রী-বর্জ্যও পাওয়া যায়। আমরা নিয়মিত পরিষ্কার করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। যার সুফল আমরা গত দুই বছর ঢাকাবাসীকে দিতে পেরেছি। এই নর্দমা, বক্স কালভার্ট ও খালগুলো পরিষ্কার করার কারণে পানি নিষ্কাশন এখন সহজ হয়েছে।
জলাবদ্ধতা নিরসনে জনগণের সহযোগিতা ও সচেতনতা কামনা করে ঢাদসিক মেয়র বলেন, আমাদের নর্দমাগুলোতে আমরা কাঠের টুকরো, টাইলস, কমোড, বালিশ, ফুটবল, প্লাস্টিক সামগ্রী থেকে শুরু করে এমন কিছু নেই যা পাওয়া যায় না। আমাদের নর্দমাগুলো পানি নিষ্কাশনের জন্য। আমি এলাকাবাসীকে আরও সচেতন হওয়ার অনুরোধ করব। আপনারা দয়া করে এসব বস্তু আমাদের নর্দমায় ফেলবেন না।
এর আগে ঢাদসিক মেয়র ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডস্থ কাজলা খাল, ৩য় ঢাকা মেয়র কাপ আন্তঃওয়ার্ড ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৩ এর ক্রিকেট খেলার ফাইনাল ম্যাচ, আদি বুড়িগঙ্গার উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সরকার, ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সারোয়ার হোসেন আলো প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ জার্নাল/এ আর/আরকে