ঢাকা, রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ আপডেট : ২১ মিনিট আগে
শিরোনাম

পেশাজীবীদের সঙ্গে বিএনপির প্রথম দিনের বৈঠক

আন্দোলনে হবে একদফা, অন্য অপশন নেই

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০২১, ২১:২৭  
আপডেট :
 ০৮ অক্টোবর ২০২১, ২১:৫৩

আন্দোলনে হবে একদফা, অন্য অপশন নেই

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি এবং সরকার পতনে বিএনপিকে একদফার ভিত্তিতে আন্দোলনে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা। এছাড়া অন্য কোন অপশন দেখছেন না তারা। এজন্য তারা তাদের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব লিখিত আকারে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের কাছে দেন।

দলের কেন্দ্রীয় ও অঙ্গ-সংগঠনের সাথে দু’দফা বৈঠকের পর শুক্রবার পেশাজীবী সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে পেশাজীবী নেতৃবৃন্দরা এসব কথা বলেন বলে সূত্রে জানা গেছে।

টানা দু’দিনের বৈঠক প্রথম দিনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম দিনের বৈঠকে ২০টি পেশাজীবী সংগঠন অংশ নেয়। দু‘দিনে এই বৈঠকে ৩২টি পেশাজীবী সংগঠনের নেতা ও প্রতিনিধিরা মতবিনিময়ে অংশগ্রহণ করবেন।

বৈঠকের শুরুতেই পেশাজীবী নেতৃবৃন্দদের উদ্দেশ্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাবন্দি, গণতন্ত্রের যে সংকট, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এর থেকে উত্তরণে আপনাদের মতামত রাখার আহ্বান করছি।

সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে পেশাজীবী নেতৃবৃন্দরা বলেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, এই লক্ষ্যে বিএনপি কঠিন সংকল্প নিয়ে একদফা আন্দোলনে জন্য রাজপথে নামতে হবে। মূলত এক দফার ভিত্তিতে আন্দোলন হবে। অন্য কোনো বাড়তি অপশন দেয়া যাবে না।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বৈঠকে উপস্থিত এক পেশাজীবী নেতা বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, বৈঠকে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা বলেছেন, একাধিক দাবি থাকলে আন্দোলনে মূল দাবি দুর্বল হয়ে যায়। তখন নেতা কর্মীদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তখন বিক্ষিপ্ত হয়ে আন্দোলনের স্রোত ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে হয়ে একসময় হারিয়ে যায়। আর দাবি মানতে বাধ্য করাতে পারলে অন্যান্য দাবিগুলো যথাসময়ে পুরণ হতে থাকবে।

সূত্রটি জানায়, বৈঠকে পেশাজীবীরা বলেছেন, দেশের মানুষ বিশ্বাস করে যে, গণতন্ত্র ও তাদের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন ও সংগ্রামে বিএনপিকেই নেতৃত্ব দিতে হবে।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বৈঠকে উপস্থিত আরেক পেশাজীবী নেতা বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, পেশাজীবী নেতারা বিএনপিকে পরামর্শ দেন যে, আন্দোলন ও সংগ্রামে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সকল সদস্যকেই রাজপথে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ থাকতে হবে। আর ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অন্যান্য সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোকে আন্দোলনের মাঠে সক্রিয় ও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। আন্দোলন কিছুতেই বিক্ষিপ্তভাবে করা যাবে না। তাই সকল অঙ্গ-সংগঠন এবং সকল পর্যায়ের নেতা কর্মীদের নিয়ে আলাদা আলাদা সেল তৈরি করতে হবে। এই একেকটি সেলের দায়িত্বে থাকবেন একেকজন কেন্দ্রীয় নেতা।

বৈঠকে মির্জা ফখরুল ছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও সেলিমা রহমান উপস্থিত ছিলেন।

পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠকে অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, আহমদ আযম খান, ফজলুর রহমান, ফরহাদ ডালিম ডোনার, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট আবেদ রেজা, অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার, ব্যারিষ্টার রাগীব রউফ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট তৌহিদুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ, ডা. মো. আব্দুস সালাম, ডা. মো. আব্দুস সেলিম, ডা. শহিদুল আলম, ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম, ডা. শফিকুল হায়দার পারভেজ, প্রকৌশলী মাহবুল আলম, রিয়াজুল ইসলাম রিজু, অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, শামীমুর রহমান শামীম, অ্যাডভোকেট আবদুল জব্বার ভূইয়া, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক ফারুকী, অ্যাডভোকেট আজিজুল ইসলাম খান, কৃষিবিদ রাশি দুল হাসান হারুন, কৃষিবিদ জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান, কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ আল ফারুক, অধ্যাপক গোলাম হাফিজ কেনেডি, অ্যাডভোকেট খন্দকার মোহাম্মদ হজরত আলী, অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান আনিস, অ্যাডভোকেট তাসলিমা আক্তার, অ্যাডভোকেট রমিজ উদ্দিন আহমেদ, প্রকৌশলী ইবনে ফজল সাইফুজ্জামান সেন্টু, প্রকৌশলী মুসলিম উদ্দিন, জাকির হোসেন, মওলানা দেলোয়ার হোসেন, অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান, অধ্যক্ষ নিজাম উদ্দিন তরফদার, অধ্যাপিকা কামরুন নাহার লিজি, জাহানারা সিদ্দিকী, শেখ মনিরউদ্দিন, কামরুল হাসান সদ্দার, ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ডা. মো. ফখরুজ্জামান, জিয়াউল হায়দার পলাশ, সৈয়দ জাহিদ হোসাইন, প্রকৌশলী ফখরুল আলম, প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন, রোকেয়া চৌধুরী বেবি, পারভিন কাওসার মুন্নী, সুমনা আক্তার স্মৃতি, শাহনাজ আক্তার রফিকুল ইসলাম, একেএম মুসা লিটন, মামুনুর রশীদ, কামরুজ্জামান কল্লোল, ডা. মির্জা লিটন, ডা. আমিনুল বারী কাকনসহ ১০২ জন উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে শোক প্রস্তাব উপস্থাপন করছেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, পরিচালনা করেন প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী এবং সহযোগিতায় ছিলেন বিএনপির তথ্য গবেষণা সম্পাদক রিয়াজুদ্দিন নসু, সহ দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, মনির হোসেন ও বেলাল আহমেদ।

এছাড়া বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার।

আরও পড়ুন: পেশাজীবীদের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি

বাংলাদেশ জার্নাল/এমএম/কেএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত