বঙ্গবন্ধুর খুনিদের কবর সংসদ চত্বরে থাকতে পারে না
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৭:৪৭
বঙ্গবন্ধুর খুনি ও স্বাধীনতাবিরোধীদের কবর মহান জাতীয় সংসদ চত্বরে থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
শুক্রবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত ‘ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা: সমস্যা ও প্রতিকার’ শীর্ষক এক সেমিনারে এ মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এ দেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। বাংলার মানুষ মুক্তি পেয়েছে। তার কবর থাকবে টুঙ্গিপাড়ায় আর পাকিস্তানীদের দোসর যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে, ত্রিশ লক্ষ মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা ও দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রম নষ্ট করেছে। তাদের কবর জাতীয় সংসদসহ গৌরবোজ্জ্বল জায়গায় থাকতে পারে না। এগুলো আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ করে।
তাজুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও স্বাধীনতার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তখনই বাস্তবায়ন করতে পারব যখন এসব কুলাঙ্গারদের কবর জাতীয় মর্যাদাপূর্ণ স্থান থেকে অপসারণ করতে পারবো। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার জীবদ্দশায় দেশ ও মানুষের জন্য কি করে গেছেন। আর পাকিস্তান দীর্ঘ ২৫ বছর এবং বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর পরবর্তী ২১ বছর জিয়াসহ শাসকরা দেশে কি করেছেন, সেটা সবারই জানা আছে। তারা দেশকে ধ্বংস করা ছাড়া কিছুই করতে পারেনি।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জাতির পিতার খুনি, একথা ধ্রুব সত্য। তাকে খুনি প্রমাণ করার জন্য সকল ধরনের দলিলাদি রয়েছে। রাষ্ট্রপতিকে নিরাপত্তা প্রদানের দায়িত্ব নিশ্চিত করার কথা ছিলো জিয়াউর রহমানের। কিন্তু তিনি তা না করে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সব ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করে পরিকল্পিতভাবে জাতির পিতাকে হত্যা করে।
জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বলা অবান্তর উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার অধিকার বাঙালি জাতি একমাত্র বঙ্গবন্ধুকেই দিয়েছে। আর কেউ স্বাধীনতার ঘোষক হতে পারে না, সুযোগও নেই। মুখে ঘোষণা করলেই স্বাধীনতার ঘোষক হওয়া যায় না।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে সফলতার সর্বোচ্চ শিখরে নিয়ে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিভিন্ন উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করায় জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা স্বীকৃতি দিচ্ছে। বিভিন্ন সম্মাননায় তাকে ভূষিত করছে। যা জাতি হিসেবে আমাদেরকে গৌরবাণ্বিত করে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য প্রফেসর ড. মো. হোসেন মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুর সবুর বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েটের অধ্যাপক মো. মফিজুর রহমান।
কেএস/আর