ভারতে বাংলাদেশি তরুণীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ মে ২০২১, ১৯:৪৬
গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরছে এক তরুণীকে বিবস্ত্র করে শারীরিক ও যৌন নিপীড়ন করার একটি ভিডিও। ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যায়, তিন চারজন যুবক মিলে ২০-২২ বছর বয়সী একটি মেয়েকে বিবস্ত্র করে অমানবিক নির্যাতন করছে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের কেরালায়। তবে নির্যাতিত মেয়েটি বাংলাদেশি ও নির্যাতনকারী এক তরুণও বাংলাদেশের।
বৃহস্পতিবার (২৭ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. শহীদুল্লাহ এ কথা বলেন।
উপ-পুলিশ কমিশনার শহীদুল্লাহ বলেন, ভাইরাল হওয়া ভিডিওর ঘটনাটি ঘটেছে ভারতে। তবে, ভুক্তভোগী বাংলাদেশি। যে কয়েকজন যুবক মেয়েটিকে নির্যাতন করেছে তাদের মধ্যে একজনকে বাংলাদেশি হিসেবে শনাক্ত করা গেছে। তার নাম রিফাতুল ইসলাম হৃদয় যিনি স্থানীয়ভাবে ‘টিকটক হৃদয় বাবু’ নামে পরিচিত। হাতিরঝিলের মগবাজার এলাকায় বসবাস করত হৃদয়।
হৃদয়ের মা ও মামা জানিয়েছেন, উচ্ছৃঙ্খল কর্মকাণ্ডের কারণে গত চার মাস আগে হৃদয়কে বাসা থেকে বের করে দেন তারা।
তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার আরো বলেন, কৌশলে হৃদয়ের মামার হোয়াটস অ্যাপ নাম্বার থেকে যোগাযোগ করা হলে হৃদয় জানায়- সে তিনমাস আগে ভারতে চলে গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি ১৫-১৬ দিন আগের এবং ভুক্তভোগী বাংলাদেশি। মেয়েটির বাসাও হাতিরঝিল এলাকায়।
হৃদয়ের দেয়া তথ্যমতে, ভুক্তভোগীর পরিবারের খোঁজ আমরা পেয়েছি। তারা মেয়েটিকে শনাক্তও করেছে।
হৃদয়ের বাসা তল্লাশি করে তার জাতীয় পরিচয়পত্র, জেএসসি পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড, রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও রমনা থানায় তার নামে দায়ের করা একটি ডাকাতি প্রস্তুতি মামলার এজাহার ও এফআইআর কপি জব্দ করা হয়েছে।
হৃদয় সম্পর্কে পুলিশের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, সে বর্তমানে ভারতের পুনেতে অবস্থান করছে জানালেও তার প্রকৃত অবস্থান শনাক্তের পাশাপাশি সে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছে কি না তা যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। তার সহযোগী হিসেবে নির্যাতনে যারা অংশ নিয়েছে তাদের পরিচয় শনাক্তেরও কাজ চলছে।
উপকমিশনার শহীদুল্লাহ বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি সংঘবদ্ধ মানবপাচারকারী চক্র, যারা প্রেমের ফাঁদে ফেলে অসহায়/বিদেশগমনে ইচ্ছুক নারীদের প্রলুদ্ধ করে পাচার করে। ভারতীয় পুলিশ ও ইন্টারপোলের সহযোগিতায় এই নৃশংস ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হবে।
তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় জড়িত হৃদয় বাবুর বাবা-মা ও মামাকে হাতিরঝিল থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এফজেড/ওয়াইএ