দয়া করে আমার প্রতি একটু ইহসান করুন: মিজানুর রহমান আজহারী
জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশ : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৮
জনপ্রিয় ইসলামী আলোচক মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী বলেছেন, আমি কুরআনের একজন নগন্য ছাত্র। আপনাদের দ্বীনি ভাই। দয়া করে আমার প্রতি একটু ইহসান করুন।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্টের মাধ্যমে এ অভিজ্ঞতার কথা জানান। সম্প্রতি দেশে ফিরে কক্সবাজারে একটি তাফসির মাহফিলে যোগ দিতে যান। তবে সেখানে গিয়ে তাকে মুখোমুখি হতে হয় অন্য রকম এক অভিজ্ঞতার। সেই অভিজ্ঞতার কথা বলেতে গিয়ে উপরোক্ত মন্তব্য করেন তিনি।
মিজানুর রহমান আজহারী লিখেছেন, কক্সবাজারে পেকুয়ার প্রোগ্রামে লক্ষ জনতার ভিড় ঠেলে, স্টেজে উঠতে প্রায় ঘন্টাখানেক সময় লেগেছিল। প্রোগ্রাম শেষেও হয়েছিল ঠিক একই অবস্থা। এভাবে চলতে থাকলে হয়তো নিরাপত্তার স্বার্থে আমার পক্ষে বড় পাবলিক ইভেন্টগুলোতে যোগদান করা সম্ভব হবে না।
তিনি আরও লিখেছেন, সর্বশেষ দেশে ২০১৯-২০২০ সালেও ক্রাউড সামলাতে গিয়ে একাধিকবার ইনজুরির শিকার হয়েছিলাম। এবারও এ রকম দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছি। দয়া করে স্টেজে যাওয়ার পথে কিংবা ফেরার পথে মুসাফাহা করার জন্য বা ছবি তোলার জন্য ভিড় করবেন না। আলোচনা চলাকালীন সময়ে স্টেজের দুই পাশে দাঁড়িয়ে ধাক্কাধাক্কি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবেন না।
জনপ্রিয় এই ইসলামী আলোচক আরও লিখেছেন, প্রতিটি প্রোগ্রামেই মূল প্যান্ডেলের বাইরে আলাদা মাঠে একাধিক সুবিশাল এলইডি স্ক্রিন থাকবে। আমাকে সরাসরি দেখতে না পেলেও এলইডিতে দেখার সুযোগ থাকছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে অযথা ঝামেলায় জড়াবেন না। সেইফ এন্ট্রি এবং সেইফ এক্সিট নিশ্চিতকরণে, আয়োজকদের সকল দিক নির্দেশনা মেনে চলুন।
অতি আবেগী হয়ে কুরআনের মাহফিলের পরিবেশ নষ্ট করা কাম্য নয় জানিয়ে তিনি লিখেছেন, কুরআনপ্রেমীরা স্মার্টলি সবকিছু হ্যান্ডেল করতে পারে। দয়া করে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিন। আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতা ছাড়া এতো বড় আয়োজনগুলো সফলভাবে সম্পন্ন করা অসম্ভব।
আজহারী লিখেছেন, আমি আল্লাহর জন্য আপনাদেরকে ভালোবাসি এবং এটা বিশ্বাস করি, নিশ্চয়ই আপনারাও আল্লাহর জন্যই আমাকে ভালোবাসেন। আপনাদের এই উষ্ণ ভালোলাগা আমি দূর থেকে ভীষণ অনুভব করি, কিন্তু আমরা সবাই যদি কাছে এসে মুসাফাহা করতে চাই, কথা বলতে চাই, ছবি সংরক্ষণ করতে চাই, তাহলে আল্লাহর জন্য ভালোবাসার এই দাবি পূরণ করা আমার জন্য কষ্টকর হয়ে যাবে। আমার এই সীমাবদ্ধতাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি।
সবশেষে তিনি লিখেছেন, আগামী প্রোগ্রামগুলোতে আমরা অনেক বেশি সচেতন ও সুশৃঙ্খল থাকবো এই প্রত্যাশা রইলো। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। শিগগিরই আপনাদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে আপনাদের প্রাণের বিভাগে ইনশাআল্লাহ।
প্রসঙ্গত, ১৯৯০ সালের ২৬ জানুয়ারি ঢাকার ডেমরায় জন্মগ্রহণ করেন মিজানুর রহমান আজহারী। তার পৈতৃক নিবাস কুমিল্লার মুরাদনগরের পরমতলা গ্রামে। ২০২০ সালে দেশ ছাড়ার প্রায় সাড়ে ৪ বছর পর চলতি বছরের ২ অক্টোবর দেশে ফিরেছিলেন মিজানুর রহমান আজহারী। তবে মাত্র ৯ দিন দেশে অবস্থান করে ১১ অক্টোবর আবারও মালয়েশিয়া চলে যান তিনি।
বাংলাদেশ জার্নাল/কেএইচ