ডেঙ্গুতে আরও ৭ জনের মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৭:৪৭
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও সাতজনের প্রাণ গেছে। এ সময় ৮৩৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৭ জনের মধ্যে ২ জন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, ১ জন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ২ জন ঢাকার বাসিন্দা। এছাড়া ১ জন বরিশাল বিভাগের (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ও ১ জন খুলনা বিভাগের (সিটি করপোরেশনের বাইরে)।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৮৫ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২২১, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১৭১, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১১৫, খুলনা বিভাগে ১০৯ জন রয়েছেন। এছাড়াও রাজশাহী বিভাগে ৩২ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১৮ জন, রংপুর বিভাগে ১০ জন এবং সিলেট বিভাগে ৪ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ৯০ হাজার ৪৪০ জন। যাদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ২০ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৮০ শতাংশ নারী। এছাড়াও এখন পর্যন্ত মৃত ৪৮২ জনের মধ্যে ৫১.৫ শতাংশ নারী এবং ৪৮.৫ শতাংশ পুরুষ।
প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গেল বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিন লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর এক হাজার ৭০৫ জন মশাবাহিত এই রোগে মারা গেছেন, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু।
এর আগে, ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
এছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই বছর মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জন মারা যান।
বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি