ঢাকা, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩১ আপডেট : ৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

১২ বিচারপতিকে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখা হয়েছে: সুপ্রিম কোর্ট

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৪৯  
আপডেট :
 ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ১৩:০২

১২ বিচারপতিকে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখা হয়েছে: সুপ্রিম কোর্ট
ছবি: সংগৃহীত

সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা জানিয়েছেন, ‘দলবাজ, দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিস্টের দোসর’ বিচারকদের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে আপাতত হাইকোর্ট বিভাগের ১২ জন বিচারপতিকে কোনো বেঞ্চ দেয়া হচ্ছে না। তবে তিনি তাদের নাম প্রকাশ করেননি।

এদিকে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে রোববারের জন্য প্রকাশিত কার্যতালিকায় ১২ বিচারপতির নাম নেই।

সেই বিচারপতিরা হলেন বিচারপতি আতাউর রহমান খান, বিচারপতি নাইমা হায়দার, বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ, বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার, বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস, বিচারপতি খিজির হায়াত, বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান, বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান, বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন, বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান, বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম, বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলন।

গত ১৫ অক্টোবর রাতে ‘দলবাজ, দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিস্টের দোসর’ বিচারকদের পদত্যাগের দাবিতে হাইকোর্ট ঘেরাও করতে ফেসবুকে ঘোষণা দেন সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম। ১৬ অক্টোবর দুপুরে মিছিল নিয়ে হাইকোর্ট চত্বরে আসেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহর নেতৃত্বে দক্ষিণ গেট দিয়ে ঢুকে তারা হাইকোর্টের অ্যানেক্স ভবনের সামনে অবস্থান নেন। সঙ্গে ছিলেন আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম।

আদালত প্রাঙ্গণে হাসনাত-সারজিসসহ অন্য শিক্ষার্থীদের নানা স্লোগান দিতে শোনা যায়। আগে থেকেই সেখানে অবস্থান করে শিক্ষার্থীদের আরেকটি অংশ। এর সঙ্গে হাইকোর্ট বিভাগের ‘দলবাজ ও দুর্নীতিবাজ’ বিচারপতিদের পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকে বৈষম্যবিরোধী আইনজীবী সমাজ।

পরে সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, বিচারপতি অপসারণের সংশোধনী নিয়ে মামলাটি চলমান। আগামী ২০ তারিখ ওই মামলায় যদি সমাধান চলে আসে, তাহলে বিচারপতি অপসারণের দায়িত্ব হচ্ছে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের। তাহলে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিচারপতিদের পদত্যাগ করতে হবে। অপসারণ করা হবে। এখন রোববার বিকেল পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করবো। আমরা অবজার্ভ করব। তাদের অপসারণের জন্য কী রায় আসে। তারপর হচ্ছে আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ।

বিচারপতি অপসারণের বিষয়ে রেজিস্ট্রার জেনারেল বলেন, বিচারপতিদের পদত্যাগে আপনাদের যে দাবি, আসলে বিচারপতিদের নিয়োগকর্তা হচ্ছেন রাষ্ট্রপতি। পদত্যাগ বা অপসারণ; সেই উদ্যোগও রাষ্ট্রপতির দপ্তর থেকে হয়ে থাকে। এখানে প্রধান বিচারপতির যেটা করণীয় উনি সেটা করেছেন। আপাতত ১২ জন বিচারপতিকে প্রাথমিকভাবে কোনো বেঞ্চ দেয়া হচ্ছে না। বেঞ্চ না দেয়ার অর্থ হলো, আগামী ২০ (অক্টোবর) তারিখ যে কোর্ট খুলবে, তারা বিচার কাজে অংশ নিতে পারবেন না। এই মামলাটার শুনানি আছে ২০ তারিখে। অ্যাটর্নি জেনারেল প্লেস করবেন বলে আশা করছি। এর মাধ্যমে পরবর্তী প্রক্রিয়াগুলো শুরু হবে। আর বিচারপতি অপসারণের সঙ্গে এককভাবে সুপ্রিম কোর্ট জড়িত না। রাষ্ট্রপতি, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাও জড়িত আছে। আপাতত ১২ জনকে বেঞ্চ দেয়া হচ্ছে না। পর্যায়ক্রমে শুনানির মাধ্যমে বাকিগুলো আপনাদের সামনে আসবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত