ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

আমি আয়নাঘরের মূলহোতা নই: আইনজীবীর উদ্দেশে জিয়াউল আহসান

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১৯:৪৪

আমি আয়নাঘরের মূলহোতা নই: আইনজীবীর উদ্দেশে জিয়াউল আহসান
জিয়াউল আহসান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপিপন্থি আইনজীবীর উদ্দেশে সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান বলেছেন, আয়নাঘরের মূলহোতা আমি? এসব কিভাবে বানান। আমি আয়নাঘরের মূলহোতা নই। এসব আমার নামে বানানো মিথ্যা অভিযোগ।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) আদালতে তিনি এসব কথা বলেন। আজ নিউমার্কেট থানায় দায়ের করা একটি গুম ও অপহরণের মামলায় সাবেক এই সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আদালতে তোলা হলে জিয়াউল আহসানের ব্যাপারে বিচারক সাইফুর রহমান জিজ্ঞাসা করেন, উনি কি অব্যাহতিপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা? তখন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, না অব্যাহতিপ্রাপ্ত নন, মূলত অবসরপ্রাপ্ত।

এরপর বিচারক মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে বলেন, ওনার নামের পাশে অব্যাহতিপ্রাপ্ত লেখা আছে, এটা ঠিক করে দেবেন।

তখন বিএনপিপন্থি আইনজীবী বলেন, উনি মূলত অব্যাহতিপ্রাপ্ত। আয়নাঘরের মূলহোতা তিনি। বিগত সরকারের গুম-খুনের কারিগর।

প্রতিবাদে আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, আয়নাঘরের হোতা বললেই হলো? এসব কই পান। তখন বিচারক বলেন, এখন তো শুনানির সময় না। আপনারা চুপ করেন।

এরপর নিউমার্কেট থানার মামলায় জিয়াউল আহসানকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিচারক এজলাস ত্যাগ করেন।

পরে বিএনপিপন্থি ওই আইনজীবীকে উদ্দেশ করে জিয়াউল আহসান বলেন, আয়নাঘরের মূলহোতা আমি? এসব কিভাবে বানান। আমি আয়নাঘরের মূলহোতা নই। এসব আমার নামে বানানো মিথ্যা অভিযোগ। পরে তাকে হেলমেট পরিয়ে হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালে জিয়াউল আহসান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। তিনি সেনাবাহিনীর একজন প্রশিক্ষিত কমান্ডো ও প্যারাট্রুপার। পরে ২০০৯ সালের ৫ মার্চ র‍্যাব-২’র উপ-অধিনায়ক এবং একই বছর লে. কর্নেল পদে পদোন্নতি পেয়ে র‍্যাব সদর দফতরের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পান। পরবর্তীতে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদে পদোন্নতি পেয়ে ২০১৬ সালের এপ্রিলে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা পরিদপ্তরের (এনএসআই) পরিচালক হন। পরের বছরের মার্চে তাকে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) পরিচালক করে সরকার।

তবে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরদিন আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এনটিএমসি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এরপর ১৬ আগস্ট রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে জিয়াউল আহসানকে গ্রেপ্তার করার কথা জানায় পুলিশ। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় দোকান কর্মচারী শাহজাহান আলীকে (২৪) হত্যার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত