প্যারিসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংহতি সমাবেশ, আমি ও আমরা
আবু জুবায়ের
প্রকাশ : ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬:০৮
বাংলাদেশে ছাত্র জনতার উপর নির্বিচারে গুলি করে শেখ হাসিনার পেটোয়া সন্ত্রাসী বাহিনী নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটায়। সারা পৃথিবীজুড়ে এর প্রতিক্রিয়া ছড়িয়ে পড়ে। প্রবাসীরা এই বর্বর ঘটনা দেখে হতবাক হয়ে যায়। ১৬ জুলাই আমি সিদ্ধান্ত নিই প্যারিসে একটি প্রতিবাদ ও সংহতি সমাবেশের আয়োজন করতে হবে। প্রবাসে আমি প্যারিসের শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিক কর্মীদের একত্রিত করার চেষ্টা করি। অধিকাংশই আমাকে এড়িয়ে যান এবং যাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়, তারা কেউ কেউ সংশয়বাদী এবং কেউ কেউ সক্রিয়ভাবে কিছু করার আগ্রহ দেখান।
১৭ জুলাই ২০২৪ তারিখে একটি অনলাইন সভা করে সিদ্ধান্ত নিই যে প্যারিসের রিপাবলিক চত্বরে সমাবেশ হবে। যদিও আগে কোথাও সমাবেশের কথা ঘোষণা করা হয়নি, আমি পোস্টার তৈরি করে বিতরণ করি এবং স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করি। প্রশাসন জানায় যে, কয়েকজন প্রতিবাদ করতে পারবেন।
আমি সিদ্ধান্ত নিই, লুক্সেম্বার্গ উদ্যানে ছোট আকারে শুরু করব এবং রিপাবলিক চত্বরে বড় সমাবেশের জন্য আবেদন করব। কারণ রিপাবলিক চত্বরে অনুমতি নিয়ে কোনো সমাবেশের পরিকল্পনা করা হয়নি এবং সবার দ্বিধা ছিল যে প্রতিবাদীদের একত্রিত হওয়া সম্ভব হবে কিনা।
১৮ জুলাই ২০২৪ লুক্সেম্বার্গ উদ্যানে প্রথম আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এই সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন- আবৃত্তিকার মুনির কাদের, লেখক মুহাম্মদ গোলাম মোরশেদ, নাট্যাভিনেতা সোয়েব মোজাম্মেল, সংগীত শিল্পী ইসরাত ফ্লোরা, অধিকার কর্মী মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, সমাজকর্মী তাহমিনা আকতার, সমাজকর্মী ফারজানা জুবায়ের, সমাজকর্মী অনামিকা প্রিয়া, সমাজকর্মী আয়েশা, সাংস্কৃতিক কর্মী আনাহিতা, সাংস্কৃতিক কর্মী রামিছা বাতুল,কবি আবু জুবায়ের প্রমুখ।
প্রতিবাদী বক্তব্যে বক্তারা কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের পরিবার ও স্বজনদের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানান। তারা হত্যাযজ্ঞের তীব্র নিন্দা করেন এবং দোষীদের শাস্তির দাবি জানান। তারা উল্লেখ করেন যে, এই আন্দোলন দেশের তরুণদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের সংগ্রাম এবং তাদেরকে নির্যাতন ও হত্যা করে আন্দোলন থামানো যাবে না।
২০ জুলাই ২০২৪ রিপাবলিক চত্বরে বড়ো সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এখানে স্টুডেন্ট ফোরামের এই সমাবেশে প্রথমবারের মতো জনবিস্ফোরণ ঘটে। হাজার হাজার প্রবাসী এই সমাবেশে অংশ নেন। অনুমোদনকে সকলের সমাবেশের অনুমোদন হিসেবে গণ্য করা হয়। ফ্রান্সে প্রবাসীরা এখানে যুক্ত হন। ব্যাপক জনসমাগম ঘটে।
২১ জুলাই ২০২৪ প্যারিসের রিপাবলিক চত্বরে খিয়াং এবং তার এসোসিয়েশন একটি সমাবেশ আহ্বান করেন। সেখানে আমি শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি করি এবং কবিতা পাঠ করি। এখানেও বিপুল জন সমাবেশের সৃষ্টি হয়।
২৩ জুলাই ২০১৪ প্যারিসের সাইন্স সিটি পার্কে বাসদ সমর্থিত একটি সাংস্কৃতিক সমাবেশ হয়। নাট্যাভিনেতা সোয়েব মোজাম্মেল এবং রকিবুল ইসলাম এই সমাবেশের আয়োজন করেন। আমি উপস্থিত থাকি, কিন্তু বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে আমার অসন্তোষ ছিল। বক্তারা শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগকে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি হিসেবে উপস্থাপন করেন, যা আমি প্রকাশ্যভাবে প্রতিবাদ করি।
২২ জুলাই ২০২৪ বিএনপি একটি সমাবেশ আয়োজন করে রিপাবলিকে। সেখানে আমি উপস্থিত হই। অন্যান্য সমাবেশগুলো আগে হয়ে গেলেও বিএনপি অনেকটাই শেষের দিকে এসে এই সমাবেশ এর আয়োজন করে। দুপুরের দিকে সমাবেশটি শুরু হওয়াই ঠিক আগের সমাবেশগুলোর মতো জনসমাগম হয়নি। খুব সম্ভবত ২৪ জুলাই জামাত সমর্থকরা একটি সমাবেশ করে। সেখানে জামাতের সমর্থকেরা ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের ব্যক্তিবর্গ বক্তব্য প্রদান করেন। ২৫ জুলাই ২০২৪ বাস্তিলে স্টুডেন্ট ফোরাম আরেকটি সমাবেশ করে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক পিনাকী ভট্টাচার্য এখানে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে ব্যাপক জনসমাগম দেখতে পাওয়া যায়।
৩১ জুলাই ২০২৪ আয়েশা সুলতানা এবং উইমেনস ফেডারেশন ফ্রান্সের উদ্যোগে একটি প্রতিবাদ সমাবেশ হয় লা কর্নভ পার্কে। সেখানে প্রতিবাদী গান, কবিতা পাঠ এবং বক্তব্য প্রদান করা হয়। উপস্থিত ছিলেন- আবু জুবায়ের, ইসরাত ফ্লোরা, ফারজানা জুবায়ের, জেসমিন সুলতানাসহ অনেকেই।
৪ আগস্ট ২০২৪ নয়ন খিয়াংয়ের বই প্রকাশনার অনুষ্ঠানে আমি অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত হই। অনুষ্ঠানটিতে ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে পরিচিত অনেক সাংস্কৃতিক ও মিডিয়া কর্মী উপস্থিত ছিলেন। আমি বাংলাদেশের পরিস্থিতি তুলে ধরার চেষ্টা করি, কিন্তু প্যারিসের মিডিয়া আমার বক্তব্য প্রচার করা থেকে বিরত ছিল। উক্ত অনুষ্ঠানে আমিই একমাত্র বক্তা যে গণহত্যার প্রতিবাদ এবং ফরাসি রাজনীতিবিদদের কাছে আবেদন করি বাংলাদেশ পরিস্থিতিতে অবদান রাখার জন্য। কিন্তু প্যারিসের ফ্যাসিবাদীদের দোসর অনেক মিডিয়াই আমার বক্তব্য তুলে ধরেনি। অনেক ক্ষেত্রে আমার নাম কিংবা ছবিও প্রচার করেনি।
৫ আগস্ট ২০২৪ বাংলাদেশ কমিউনিটি ফ্রান্সের মোঃ নুর এক দফার একটি সমাবেশ আয়োজন করেন, যা পরবর্তিতে আনন্দ উৎসবে পরিণত হয়।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি ও সংগঠকরা যাদেরকে আমি দেখেছি এই আন্দোলনে তাদের নাম আমি উল্লেখ করছি। এখানে অনেকের নাম হয়তো ভুল বশত কিংবা তথ্য না থাকার কারণে প্রদান করা হলো না বলে দুঃখিত। ( সিনিয়রিটি অনুসরণ করে নয়) কবি আবু জুবায়ের (লেখক), কবি ও রাজনীতিবিদ এডভোকেট আবদুল্লাহ আল মামুন, সাংস্কৃতিক কর্মী ও সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম রনি, লেখক মুহাম্মদ গোলাম মোর্শেদ, কবি ও সাংবাদিক মোহাম্মদ মাহবুব হোসেন, সংগীত শিল্পী নাট্যকার শোয়েব মোজাম্মেল, সাংস্কৃতিক কর্মী রফিকুল ইসলাম, সংগীত শিল্পী ইসরাত ফ্লোরা, সাংস্কৃতিক কর্মী আয়েশা সুলতানা, সাংস্কৃতিক কর্মী ফারজানা আকতার, সাংস্কৃতিক কর্মী রামিছ৷ বাতুল, সাংস্কৃতিক কর্মী আনাহিত৷ জাহারা, আবৃত্তিকার শম্পা বড়ুয়া, আবৃত্তিকার শর্মিষ্ঠা বড়ুয়া, ছড়াকার লোকমান আহমেদ আপন, আবৃত্তিকার মুনির কাদের, সাংস্কৃতিক কর্মী রাফিদ, সাংস্কৃতিক কর্মী খালেদ মাহমুদ, সাংস্কৃতিক কর্মী অনামিকা প্রিয়া, সাংস্কৃতিক কর্মী মাও সাগর, সাংস্কৃতিক কর্মী নোরা, সাংস্কৃতিক কর্মী জাহিদাসহ অনেকেই। সামাজিক ব্যক্তিত্বগণ-নয়ন খিয়াং (সভাপতি, সাফ)।
এছাড়াও এমডি নুর (সভাপতি, বিসিএফ), রব্বানী খান (সভাপতি, অফিওরা), আইনজীবী আকাশ হেলাল, নারী নেত্রী তৌফিকা শাহেদ, সমাজকর্মী হাবিবা জেসমিন, ফরাসী প্রশাসনিক কর্মকর্তা দিয়ান আশরাফুল, ফ্রান্স স্টুডেন্ট ফোরামের ইসরাত মনি, ফ্রান্স স্টুডেন্ট ফোরামের সাইফুল আলম সবুজ, ফ্রান্স স্টুডেন্ট ফোরামের রাইসা, ফ্রান্স স্টুডেন্ট ফোরামের রাব্বি রাজসহ অনেকেই।
সমাজকর্মী আরিফ খান রানারাজ, সংগীত শিল্পী শান্ত, সমাজকর্মী মোহাম্মদ শাহীন আহমেদ সাংবাদিক মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, সমাজকর্মী সাইফুল ইসলামসহ অনেকেই এবং কবি আবু জুবায়ের।
এছাড়া আরও কিছু সমাবেশ ও উদ্যোগের কথা আমি পরে জেনেছি। ফ্রান্স স্টুডেন্ট ফোরামের উদ্যোগে আইফেল টাওয়ারের সামনে একটি মানববন্ধন হয় ১৭ জুলাই ২০২৪ তারিখে। অন্যদিকে অফিওরার সভাপতি রব্বানী খানও মেরির দ্য স্থার মাধ্যমে ফরাসি প্রশাসনে চিঠি প্রদানের ব্যবস্থা করেন।
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুস চত্বরে ২৯ জুলাই আমি প্রতিবাদী কবিতা পাঠ করি এবং শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবী করি। আমি প্রায় প্রতিটি সংহতি ও প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ছিলাম। এই লেখাটির সীমাবদ্ধতা রয়েছে কারণ আমি অনেককেই ব্যক্তিগতভাবে চিনি না যারা আন্দোলনে যুক্ত হয়েছিলেন। কারণ ব্যপক এই সমাবেশগুলোতে অনেকের ভূমিকায় প্রশংসনীয় যা আমার এই লেখায় বাদ পড়তে পারেন। আমার এই সীমাবদ্ধতার জন্য আগাম দুঃখ প্রকাশ করছি। তবে যে যেভাবেই উদ্যোগ নিই না কেন আমাদের সমাবেশগুলোতে স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণ বলে দিয়েছে এই আন্দোলন কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর আহ্বানের থেকেও শেখ হাসিনার শাসনের উপর বীতশ্রদ্ধ হয়ে সবাই একযোগে পথে নেমেছিল।
এছাড়া আমার, আবু জুবায়ের উদ্যোগে জাতিসঙ্ঘের মহাসচিবকে চিঠি প্রদান করি গণহত্যা বন্ধ এবং শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জাতি সঙ্ঘের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেয়ার জন্য। ঠিক এমন আরও দুইটি চিঠি আমি প্রেরণ করি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট এবং ভারতের কংগ্রেসের নেতা শশী থারুরের কাছে। আমার চিঠিটি পাওয়ার পর শশী থারুর দিল্লীতে একটি প্রেস কনফারেন্স করেন বাংলাদেশ প্রসঙ্গে। আমার সমন্বয়ে গনহত্যার প্রতিবাদে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কবি শিল্পী সাহিত্যিকদের সমন্বয়ে একটি ফোরাম তৈরি করি। উক্ত ফোরাম থেকে আমরা একটি যৌথ বিবৃতি প্রদান করি। ২ আগস্ট প্রদান করা উক্ত বিবৃতিটি নিম্নরূপ -
প্রবাসী বাংলাদেশি বিশিষ্ট কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী, সাংবাদিক, শিক্ষক, সংস্কৃতিকর্মী এবং মিডিয়াকর্মীগণ বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সরকারের দমন, নির্যাতন ও গণহত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা অবিলম্বে এই গণহত্যার দায় গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারকে পদত্যাগের দাবী জানিয়ে এক যুক্ত বিবৃতি দিয়েছেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, এই সরকার জনগণের ম্যান্ডেট বিহীনভাবে সামরিক কৌশলে সরকার পরিচালনা করছে। মানুষের বাকস্বাধীনতা, রাজনীতি করার স্বাধীনতা, প্রতিবাদ করার স্বাধীনতা, সমাবেশ করার স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সম্পূর্ণভাবে ভুলুণ্ঠিত। বর্তমান সরকার একটি তাবেদার সরকারে পরিণত হয়েছে এবং এই সরকারের কারণে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এখন হুমকির সম্মুখীন। সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যা করার মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে ভয়াবহতম ছাত্র গণহত্যার কালো অধ্যায় সৃষ্টি করেছে। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ একটি স্বৈরাচারী, সন্ত্রাসী এবং জঙ্গি-চেহারার দেশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি, শিক্ষাব্যবস্থা, মানবাধিকার ভুলুণ্ঠিত করা সহ সকল নাগরিক অধিকার ও প্রয়োজনকে তোয়াক্কা না করে ফ্যাসিবাদী কায়দায় দেশ পরিচালনা করছে।
বর্তমানে বাংলাদেশে এহেন অরাজক পরিস্থিতি বিরাজমান থাকলে আমরা আশঙ্কা করি দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোতে তা ছড়িয়ে পড়ে অঞ্চলটিতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিনষ্ট হতে পারে। পরিস্থিতিকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে যে ১৯৭১ সালে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা আজ ধ্বংসের প্রান্তে উপনীত। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আজ একটি গোষ্ঠীর পণ্যে পরিণত করা হয়েছে।
আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন আজ গণআন্দোলনে রূপ নিয়েছে এবং দেশকে শত্রুমুক্ত করতে মুক্তিযুদ্ধের মতো আবারও সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়া ছাড়া উপায় নেই। নতুন আঙ্গিকের এই মুক্তিযুদ্ধে সকল রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও সচেতন বাংলাদেশিকে আহ্বান করছি ঐক্যবদ্ধভাবে এই স্বৈরাচারী সরকারকে হটাতে রাজপথে নেমে আসুন।
বিবৃতি প্রদানকারী- মাহমুদ রেজা চৌধুরী (লেখক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক, আমেরিকা), সৈকত রুশদী (সাংবাদিক, লেখক, কানাডা), সজল আশফাক ( চিকিৎসক, ছড়াকার, আমেরিকা), অধ্যাপক আনিস পারভেজ (কবি, গবেষক, নরওয়ে), শাকিল রিয়াজ (কবি, সাংবাদিক, সুইডেন), কাজী জেসিন ( কবি, সাংবাদিক, আমেরিকা), মাকসুদ আল-কবীর (মানবাধিকার, পরিবেশ ও বিশ্বশান্তী কর্মী, সিডনী, অস্ট্রেলিয়া), ফারুক নওয়াজ খান (সাংবাদিক, গবেষক, আইনজীবী, ইংল্যান্ড), হাবিব বাবুল (সাংবাদিক, সম্পাদক শুদ্ধস্বর.কম, জার্মানী)।
পাওয়ার পর শশী থারুর দিল্লীতে একটি প্রেস কনফারেন্স করেন বাংলাদেশ প্রসঙ্গে। এছাড়াও আমার সমন্বয়ে গনহত্যার প্রতিবাদে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কবি শিল্পী সাহিত্যিকদের সমন্বয়ে একটি ফোরাম তৈরি করি। উক্ত ফোরাম থেকে আমরা একটি যৌথ বিবৃতি প্রদান করি।
বাংলাদেশ জার্নাল/এফএম