ঢাকা, রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত থেকে সরানো হলো র‌্যাবকে

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪:০৬  
আপডেট :
 ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪:০৮

সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত থেকে সরানো হলো র‌্যাবকে
ছবি: সংগৃহীত

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার ঘটনায় করা মামলার তদন্তে বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের টাস্ক ফোর্স গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তদেন্তর দায়িত্বে থাকা র‌্যাবকে সরিয়ে টাস্কফোর্স গঠনের এই আদেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এ সংক্রান্ত একটি রিট শুনানির পর এই আদেশ দেন আদালত।

এদিন হাইকোর্ট বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের তদন্তভার থেকে র‌্যাবকে সরানো হলো। এটি পাঠানো হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে, বিভিন্ন সংস্থার অভিজ্ঞ, যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্সের মাধ্যমে তদন্ত করাতে পারবে সরকার।

এর আগে, রোববার সাগর-রুনি হত্যা মামলায় প্রথমবারের মতো আইনজীবী শিশির মনিরকে নিয়োগ করেন মামলার বাদী ও রুনির ভাই নওশের আলী রোমান।

আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ক্রিমিনাল মামলার বিচারের দায়িত্ব রাষ্ট্রের। কিন্তু আইনে আছে কোনো ভুক্তভোগী কিংবা অভিযোগকারী চাইলেও ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৩ ধারা অনুযায়ী স্বাধীন আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় খুন হন। সে সময় পাঁচ বছর বয়সি তাদের একমাত্র ছেলে মাহির সারোয়ার মেঘ ওই বাড়িতে ছিল। হত্যাকাণ্ডে রুনির ভাই নওশের আলী রোমান শেরেবাংলা থানায় মামলা করেন।

মামলার পর শেরেবাংলা নগর থানাকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। তিন দিন পর মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তাদের ব্যর্থতার পর মামলাটি র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয় ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল।

মামলায় গ্রেপ্তার আটজনের মধ্যে দুজন জামিন পেয়েছেন। বাকিরা কারাগারে আছেন।

র‌্যাবের অতিরিক্ত এসপি খন্দকার মো. শফিকুল আলম মামলার সপ্তম তদন্ত কর্মকর্তা। ২০১৯ সালের ৭ জুলাই তাকে এই দায়িত্ব দেয়া হয়।

আলোচিত এই সাংবাদিক দম্পতি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ এখন পর্যন্ত ১১৩ বার পেছানো হয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত