ঢাকা, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

বাল

  রাজীব কুমার দাশ

প্রকাশ : ০৬ জুন ২০২৪, ১৬:১৬

বাল
রাজীব কুমার দাশ। ফাইল ছবি

মানুষের প্রতিকূল সময়ের নিজস্বী মানেই বাল। সমাজের এই দুষ্ট খোদগিরি মনের বালমার্কা বুয়া জীবন - সীমা পাইক জীবন যুদ্ধের সামনের সারিতে নেতৃত্ব দিয়ে দেখেছে। দেখেছে জীবন যুদ্ধে মানুষের বিশেষ শ্রেণির লোকজন। দেখেছে মানুষের ব্রিডার ছাগ ছাগি পাঁঠা খাসি গরুর মতন কত বিশেষণ। কত কত নাম উপনাম সর্বনাম। মানুষের মাঝে দেখেছে, এ বাল প্রজাতির সাধু দরবেশ পণ্ডিত। এ বাবা ও বাবা সে বাবা। কথিত শিক্ষিত মূর্খ নষ্টেশ্বর বালেশ্বর বালেষ্টর।

আরো দেখেছে; অমুক তমুক ভাইয়া সাহেব, স্যার, কাকা জ্যাঠা দুলাভাই দাদাবাবু খালু। স্বচ্ছল অস্বচ্ছল ধনী পরিবারের সকল বাল। বাল অপদেবতার সামনে সীমাকে দিনের পর দিন সাইবার বুলিং বলি দিয়ে রাতে পুরোপুরি জবাই করে জবাবদিহিতার নাই মনে যৌনভোজী করেছে। এ বছর ক'দিনের বুয়া জীবনে সীমা উপলব্ধির আঙিনায় এসে বুঝতে পেরেছে - বদ্বীপের সংসারে যৌবনবতী বুয়াদের কত ভয়ঙ্কর বিপদ। তারা রসুইঘর ডাস্টবিন সামলে বস্তামার্কা আমুদে অলস অজগর খালা মাসীদের চিৎ উপুড় করে স্পা করাতে হয়। নবরত্ন কিংবা জয়তুন তেল মাখিয়ে দুগ্ধপোষ্য শিশুর মতো হাতের আঙুল ফোটায়ে রূপের স্তুতি চামচামি মুখে মশারী টাঙিয়ে শোনাতে হবে - কিসসা কিংবা সুরেলা গান। খালা মাসী সুস্হ অসুস্হ বৌদি ভাবী ঘুমোলে শুরু হয় সীমার আসল বালের কাজকাম।

সে কাক ডাকা ভোরে উঠে সীমা সকলের জঠর যন্ত্রণা পুষিয়ে সারাদিন বৌদি ভাবী দিদি আপু ভাইয়া খালু খালামণিদের টানতে হয় - একগাদা উটকো ফরমান রেলগাড়ির মতোন। সারাদিনের ক্লান্তি পেটের পাঠ চোকায়ে ঢুলুঢুলু চোখে সীমারা যখন বিছানাতে গা এলিয়ে দেন; ভেসে আসে কিছু চিরচেনা মুখের একগাদা ফিসফিস প্রশ্ন যৌন রিমান্ড।

- সীমা

: খালু বলেন।

- এত দেরি করলি যে?

: খালাম্মাইত আসতে দেয়নি। জয়তুল তেল

মালিশ করে ঘুম পাড়িয়ে দিতে দেরি হয়ে গেল।

- সীমা। আমার বাড়ি আমার ঘর। তুই চলবি আমার কথামতোন। ওই মুটকি মাগির কথা শুনবিনা একদম। আমি থাকতে সে কে রে!? তোরে দরকার হইলে বিয়া করুম।

: হ। বহুত শুনছি,আপনার মিছা কথার রং ঢং। খালি হুদাই। বিয়েত আমাকে প্রতিরাতই করেন। আপনার সুখের বিশ্বমান বিশ্বাসে কনডম ছাড়া করে আপনার মুখোশ ভালোমানুষি রূপ প্রকাশ পাইবো দেইখ্যা ঔষধ খাইতে খাইতে আমার জরায়ুর বারোটা বেজে গেছে ভালোমতন। মাসিক না রক্ত টের পাইনা এখন । সকালটা হলে আমারে চিনবেননা একদম। নিজেই খালাম্মার পিছনে ঘুরঘুর করবেন।

- আরে কস কী মাগি? কী ভয়ঙ্কর সর্বনাশ। আমার জোয়ান পোলাটাও দেখি, তোর সাথে হাসাহাসি করে হরদম। তোরে এ বাড়িতে রাখুম না বেশিদিন।

বদ্বীপের গ্রাম শহরে চলছে বুয়া রিমান্ড। মুখোশ অফিসারের একগাদা প্রশ্নে আসামি বুয়া সীমা দিনের পর দিন উত্তর দিতে দিতে দিশেহারা। এ বুয়া রিমান্ড বলতে না পারা কান্নাখেকো কষ্টের দহন। যা করে যাচ্ছে প্রতিকূল সময়ের অপদেবতা বাল প্রতিদিন। জরায়ু মুখের বলতে না পারা ক্যান্সার কষ্ট সীমানা ঘেরা সীমা অধিকারের। সীমাদের যৌন রিমান্ড কষ্ট নিশ্চিত জন্মযোনি ভরসা তলপেটের চৌচির ফাটা চিরস্হায়ী বেদনার। এ রিমান্ড নাড়ি প্যাঁচানো ঝোপঝাড় খাল বিল পুকুর, সারমেয় মুখে ওঁয়া ওঁয়া ওঙ্কার ব্রহ্ম ডাস্টবিন চিৎকার।

মানবাধিকার নেতা নীলা। কথা কাজে চরম অমিল কাব্যবেশ্যা। মাঝে মাঝে স্বামী কেন আসামি মনে, মোহাম্মদপুর, তাজমহল রোড, সি ব্লক, গোশালা কোচিং সেন্টার কর্ণধার পি সরকার নিয়ে অধিকারের বাল কবিতা টবিতা লেখেন। আগের স্বামীর মানবাধিকার কেড়ে বর্তমানের পি সরকার নিয়ে বালের রং ঢং সঙ সংসারে কামাখ্যা বাল গোস্বামী রত্নেশ্বর এনে আগের স্বামী স্মৃতি ভোলাতে অপদেবতা বালের তুকতাক উপাসনা স্তুতি কাজে লাগিয়ে দেন।

গোশালা ফ্ল্যাটের ঈশান কর্ণার রুমে এ বাল বাবাজি উঠেছেন। নীলার হাত দেখে

আঁতকে উঠে বলেনঃ

- " সর্বনাশ! আপনি হলেন বাল সময়ের দ্রৌপদী। স্বামী পাল্টানো রীতি নীতিতে

বালের পৃথিবীতে আপনি অচিরেই প্রসিদ্ধ হবেন। যা চলমান বাল সময় বেদীতে আপনার মোহরাঙ্কিত ব্র্যান্ড ও ব্র্যান্ডিং জয়গান - আপনার বাবা মা আন্টি পরিবার পরিজন সেরে বালের অফিস

আদালতে পর্যন্ত করে চলেছেন। "

: বাবা দয়া করে আমাকে বাঁচান।

- ঠিক আছে পুত্রী! তোমার বাম ভুজ ডান মধ্যমা আঙুলে আমার দেয়া পাথরে হবে

কেল্লাফতে।

আজ বৃহস্পতিবার। বাল দেশের সরকারি বেসরকারি চাকরি বাজারে বাল সুখের উদোমবার। সীমার বাল জীবনের গল্প শোনে - কামাখ্যা গুরু রত্নেশ্বরের হাত পা কাঁপছে। গোশালা পরিবার প্রধান পি, সরকার বুয়া সীমার বাল দাদাবাবু দুলাভাই। অফিস হতে সবেমাত্র ফিরেছেন সীমার পরম বিশ্বাসের মানবাধিকার দিদি। সীমার তলপেটের বাম পাশে চাকার মত ফুলে ঢেউ দিচ্ছে বাল সময়ের ঘূর্ণিঝড় প্রতিবাদী নাঙ্গেলি।

ক্ষুধার বিনিময়ে খাদ্য শ্রমের পাশাপাশি বুয়া জীবনের বাড়তি সুবিধা স্তন যোনি খাজনা মেটাতে, সময় বালের পরতে পরতে এই বুয়া বালের জীবন। এই বালের সংসারের চাহিদা মেটাতে গোশালা কোচিং সাম্রাজ্যের চরম অসভ্য রাজা পি, সরকারের স্তনখাজনা যোনিখাজনা মেটাতে অপদেবতা বাল পোড়ায়ে জন্ম নেবে সময়ের এক একজন প্রতিবাদী নাঙ্গেলি।

আজ শুক্রবার। গোশালা পরিবারে সংসদের আদলে সীমা পরিবার বিচার চাইতে এসেছেন। বাল সময়ের কৌশলী মানাবাধিকার নেতা নীলা দিদি সবকিছু আগাম বুঝতে পেরে - নিজেই গোশালা পরিবার সংসার ছেড়ে সন্তান শোভন নিয়ে ওয়াকআউট করে নিজের বাবার বাড়ি চলে গেলেন। চিরায়ত অ্যাবারেশন লেবার ওয়ার্ডে কাতরাচ্ছে সীমা। বালের লেবার

ওয়ার্ডে জন্ম নিচ্ছে,কিছু অটিস্টিক নির্বোধ

কথা কাজের চরম অমিল বালেশ্বর কামেশ্বর বালেষ্টর লুটেশ্বর।

কামাখ্যা গুরু বাল গোস্বামী রত্নেশ্বর সীমার বাল গল্প জেনে - গোশালা পরিবারের উপর হতে আশীর্বাদের হাত সরিয়ে নিলেন। ভিসা প্রক্রিয়া জটিলতা দেখিয়ে চলে যাবেন শীঘ্রই। চলে যাবার সময় এগিয়ে আসছে। সীমাকে হাত তোলে গুরু কামাখ্যা রত্নেশ্বর কানে কানে বলে গেলেনঃ

' শোন সীমা। তুমি না চাইতে অনেক সার্ভিস দিয়েছো। তবে আমি অকৃতজ্ঞ নই। খ্রীস্টপূর্ব দুই বা ততোধিক কাল হতে আমি বাল দেবতা হয়ে তোমরা বেঢপ বোকাচোদা মানব প্রাণীর খোদা ঈশ্বর হয়ে তোমাদের মানুষ মানুষেতে যুদ্ধ-বিগ্রহ নিগ্রহ লাগিয়ে রেখেছি।

- আমি বিশ্বাস করিনা।

: হা হা হা। আমি যে তোমাদের সর্বেশ্বর

একেশ্বর খোদা শত্রু বাল। আমি শয়তান

ইবলিশের ভাই। জাহান্নামেও বসে আমি

তোমাদের নির্বোধ দুঃসময় দুঃখ কষ্টে নিত্যদিন হাসি।

- না,আমি বিশ্বাস করিনা। কোনোদিন কারোর মুখে মুখে শুনিনি। কেতাবগ্রন্হ পড়েও কেউ বলেনি।

: আহা! মানুষ কত কত বোকা। এই যে শত

শত বছর পেরিয়ে গেল। আমার বাল নাম নিয়ে প্রতিদিনই তোমরা গান্ধারী দ্রৌপদী অভিশাপের মতো নিজেরা নিজেদের মাঝে

গৃহ বিবাদের ধ্বংশের কারণ হলে এমন।

আমি অখ্যাত হয়ে ঘাপটি মেরে তোমাদের যৌনকেশের মাঝে বসে রইলাম। এমন ভাবে বসে রইলাম, আমায় খোঁজে বের করবে এমন দুঃসাহস কার আছে? '

তার আগেইত মানুষ মুখে মুখে আমার বাল নাম নেবার পরেই ভেঙে যায় প্রতিদিন, তোমাদের বিয়ে সম্পর্ক সংসার। মাথা ফেটে ঝরে পড়ে রক্তের উজানি ঝিরি। চলে যায় গর্দান। নাক ফেটে দাঁত হাত পা ভেঙে খুঁজে নাও চিরনিদ্রার কবর শ্মশান।

- তাহলে আপনি বাবা কামাখ্যা তান্ত্রিক রত্নেশ্বর নন?

: পুত্রী। শয়তান আমার পরম বন্ধু। বিভিন্ন নামে তার পাশে থাকি।

- কবি রাজীব কুমার দাশ এমন কী করেছেন? তাঁর চিত্ত বিভ্রাট ঘটিয়ে চলেছেন?

: বুয়া পুত্রী। সে এক নির্মম ইতিহাস।

- মানে?

: শত বছর ধরে কত কবি এলো গেলো। এ পর্যন্ত কোনো লেখক কবি ধর্মগুরু সাহস করে আমার অস্তিত্ব জানার চেষ্টা করেনি। তার কতবড় সাহস! সে একেশ্বরবাদের একক অস্তিত্ব দর্শনের সর্বজনীন একাকার মনে রাতদিন চিন্তা করেন; লেখেন গল্প কবিতা গদ্য গান।

- ক্ষমা করা যাবে না?

: না। সে শয়তান চোখে অপরাধী। আমার শয়তান বাল চোখে তার ক্ষমা নাই। আমি তোমাদের লিঙ্গ যোনির নিরাপদ আবাস বাল বনে - নারী পুরুষের বাল রাখা তোমাদের যৌন স্বাস্হ্য প্রজনন বিশেষ নিরাপদ প্রচারে থেকে প্রতিদিন যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে দিতাম। আমি না থাকলে

তোমরা হয়ে যাবে এক একজন মানব ফেরেশতা। গাইতে কবি রুমির সাম্য গান।

কেউ করতেনা মিছেমিছি আমি বালের

সততা গল্প। বাঁধবেনা স্তাবক কাব্য বেশ্যার

জারি সারি ভাটিয়ালি গান। গাইবে এক সুরে ঈশ্বর খোদা মনের বন্দনাগীত। মানুষের চেয়ে মহান সত্য কিছু নাই। মানুষেতে স্বর্গ নরক সুরাসুর। আর বাকী সব - ধুর বাল আমি মিথ্যা ছাই।

লেখক: কথাসাহিত্যিক প্রাবন্ধিক ও কবি পুলিশ পরিদর্শক, বাংলাদেশ পুলিশ। মেইল:[email protected].

  • সর্বশেষ
  • পঠিত