ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ আপডেট : ৬ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

ঈদ কেনাকাটা: আগেভাগেই ঠিক করতে হবে যেসব বিষয়

  ডেস্ক প্রতিবেদন

প্রকাশ : ২৬ মার্চ ২০২৪, ১৩:৫০

ঈদ কেনাকাটা: আগেভাগেই ঠিক করতে হবে যেসব বিষয়
ছবি: সংগৃহীত

আর দিন ১৫ বাদেই ঈদ-উল-ফিতর। প্রায় সারা বছরই মুসলিমরা এই বিশেষ দিনের জন্য অপেক্ষা করেন। এই দিনকে ঘিরে থাকে নানান পরিকল্পনা। সেই পরিকল্পনার বড় একটি অংশ ঈদের কেনাকাটা করা। ধনী হোক কিংবা দরিদ্র, কমবেশি সবাই নিজের এবং পরিবার পরিজনদের জন্য নতুন পোশাক কেনার চেষ্টা করেন।

কিন্তু সেসব কিছু কিনতে যাওয়ার আগে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি। নয়তো আপনার কষ্টের টাকা সঠিকভাবে খরচ নাও হতে পারে। সবকিছুরই একটি পরিকল্পনা থাকা ভালো। এতে সে অনুযায়ী কাজ শেষ করা সহজ হয়।

চলুন জেনে নেওয়া যাক ঈদের কেনাকাটার আগে কোন বিষয়গুলো খেয়াল করা জরুরি-

সঠিক পরিকল্পনা : কেনাকাটা করার আগে ঠিকভাবে তালিকা তৈরি করে নিতে হবে। আপনি কী কিনতে চান, কোনটি আপনার বেশি প্রয়োজন, কোনটি কম প্রয়োজন, সেই গুরুত্ব অনুযায়ী তালিকা সাজাতে হবে। তাহলে কেনাকাটা করতে সুবিধা হবে। অনেক সময় দেখা যায়, তাড়াহুড়োয় অপ্রয়োজনীয় জিনিসও কেনা হয়ে যায়। এভাবে তালিকা সাজিয়ে নিলে আর সেই ভয় থাকবে না।

বাজেট নির্ধারণ : কেনাকাটার জন্য আপনি কত বাজেট রাখবেন, সেটি আগে থেকেই নির্ধারণ করতে হবে। নয়তো পরে দেখা যাবে, অনেক অপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনা হয়ে গেছে, কিন্তু প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য আর টাকা নেই। তখন সমস্যায় পড়তে হবে। তাই আপনার সামর্থ্য বুঝে খরচ করুন। সামর্থ্যের বাইরে গিয়ে বাজেট করবেন না। অর্থের অপচয় না করা : ঈদে সবাই অনেক কেনাকাটা করে, এটা ঠিক। তবে এটাও মাথায় রাখতে হবে, অর্থের খুব বেশি অপচয় যেন না হয়। অন্যান্য বিষয়ের মত কেনাকাটার ক্ষেত্রেও আপনাকে সংযম ধরে রাখতে হবে।

কেনাকাটার জায়গা নির্ধারণ : সবার সব জায়গা থেকে কেনাকাটা করার সামর্থ্য থাকে না। তা ছাড়া প্রয়োজনীয় সব জিনিসও সব জায়গায় পাওয়া যায় না। তাই আপনার সামর্থ্য এবং প্রয়োজন অনুযায়ী কোন মার্কেট থেকে কী কিনবেন, তা আগেই ঠিক করে রাখবেন। এতে আপনার সময় বাঁচবে অনেকটাই। আপনাকেও রোজা রেখে এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করতে হবে না।

আরামদায়ক পোশাক কেনা : ঈদ উপলক্ষে কেনা হলেও সেই পোশাক আমরা সারা বছরই কমবেশি পরে থাকি। তাই পোশাকটা যেন আরামদায়ক হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অনেক টাকা দিয়ে ভারী জামা কিনে রেখে দিলে সেই পোশাক পরবর্তী সময়ে আলমারিতেই থেকে যাবে। তাই এমন পোশাক কিনুন, যা আরামদায়ক এবং সবসময় ব্যবহারের উপযোগী।

যাচাই করে কেনা : যেকোনো জিনিস কেনার সময় যাচাই-বাছাই করে কিনতে হবে এবং ক্রয়ের রসিদ সংগ্রহ করতে হবে। যাতে ঠিকঠাক জিনিস ক্রয় করা যায় কিংবা প্রয়োজনে বদলানো যায়। এই সুযোগ থাকলে আপনার পোশাক কিনে ঠকে যাওয়ার ভয় থাকবে না।

পোশাকের দাম সম্পর্কে ধারণা রাখা: ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটার আগে যা কিনবেন তার দাম সম্পর্কে ধারণা নিয়ে যাওয়াই ভালো। কারণ এ সময়টাতে সব কিছুর দামই অনেকটা বাড়িয়ে বলা হয়। তাই দাম সম্পর্কে ধারণা থাকলে কেনাকাটা করতে সহজ হবে।

আত্মীয় ও দরিদ্রদের জন্য কেনাকাটা : বাজেটের একটা অংশ রাখতে হবে নিকাত্মীয় ও দরিদ্রদের জন্য। উপহার আদান-প্রদানে সম্পর্ক আরও সুন্দর হয়ে ওঠে। আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী আত্মীয় ও দরিদ্রদের জন্য কেনাকাটা করুন। তাদের খুশি দেখে আপনার মনও ভালো থাকবে।

সতর্কতা অবলম্বন : ঈদের সময় মার্কেটে খুব ভিড় থাকে। এ সময় পকেটমার, ছিনতাইকারীর দৌরাত্ম্য বেড়ে যায়। তাই অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে যেন টাকাপয়সা, মোবাইল বা কোনো প্রয়োজনীয় জিনিস হারিয়ে না যায়।

বাংলাদেশ জার্নাল/ এমএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত