আইডিয়ালের সেই ছাত্রীকে নিরাপদ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ আগস্ট ২০২৩, ১৭:৪০ আপডেট : ১৭ আগস্ট ২০২৩, ১৮:১১
রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদের (গভর্নিং বডি) সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদকে বিয়ে করা আইডিয়ালের ছাত্রীকে নিরাপদ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি বিশেষজ্ঞদের দিয়ে বোর্ড গঠনের মাধ্যমে ওই ছাত্রীর বয়স নির্ধারণ করতে বলেছেন আদালত। এছাড়া মোশতাককে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ওই মামলায় আগাম জামিন চেয়ে মুশতাকের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেয়া হয়।
আদালত বলেছেন, আইডিয়ালের ছাত্রীর বয়স নিয়ে আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষ পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। তাই ভিকটিমের বয়স নির্ধারণ করা জরুরি। বয়স নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত ভিকটিম ছাত্রী নারী ও সমাজ সেবা অধিদপ্তরের অধীনে সেইফ হোমে (নিরাপদ হেফাজতে) থাকবে।
এর আগে এই মামলায় আগাম জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন মুশতাক, গতকাল হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ আবেদনটি ফেরত দেন। এ অবস্থায় মুশতাকের জামিন আবেদন ওই বেঞ্চে জমা দেন তার আইনজীবী। বৃহস্পতিবার বিকেলে আবেদনের ওপর শুনানি হয়। জামিন আবেদনের শুনানি থাকায় আদালতে হাজির হন খন্দকার মুশতাক। আদালত ছাত্রীরও বক্তব্য শোনেন। তিনি প্রাপ্তবয়স্ক এবং স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছেন বলে আদালতে বলেন।
আরও পড়ুন: বিচারপতিকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য: মেয়র জাহাঙ্গীরকে তলব
আদালতে মুশতাকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। মেয়ের বাবার পক্ষে ছিলেন ড. ইউনুছ আলী আকন্দ। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল হাশেম।
উল্লেখ্য, কলেজ ছাত্রীকে প্রলোভন ও ধর্ষণের অভিযোগে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদকে প্রধান আসামি করে ১ আগস্ট মামলা হয়। ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকেও মামলায় আসামি করা হয়। ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর বাবা এ মামলা করেন।
বাংলাদেশ জার্নাল/আরআই