ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ আপডেট : ১৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

খ্রিস্টান ধর্মালম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন আজ

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ২৫ ডিসেম্বর ২০২২, ০০:১১  
আপডেট :
 ২৫ ডিসেম্বর ২০২২, ০৯:৪৯

খ্রিস্টান ধর্মালম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন আজ
প্রতিকী ছবি।

খ্রিস্টান ধর্মালম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শুভ বড়দিন রোববার (২৫ ডিসেম্বর)। খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্ট এই দিনে বেথলেহেমে জন্মগ্রহণ করেন। খ্রিস্টধর্মাবলম্বীরা এ দিনটিকে তাই ‘শুভ বড়দিন’ হিসেবে উদযাপন করে থাকেন।

বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীসহ সারাদেশের গীর্জাগুলো জাকজমকপূর্ণভাবেই সাজানো হয়েছে। রাজধানীর কাকরাইলের রমনা সেন্ট ম্যারিস ক্যাথিড্রাল চার্চ, তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রানীর গির্জা ও মোহাম্মদপুরের সেন্ট ক্রিস্টিনা চার্চে বিশেষ প্রার্থনাসভার আয়োজন করা হয়েছে। কৃত্রিম ‘ক্রিসমাস ট্রি’ দিয়ে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। গির্জা প্রাঙ্গণে রংবেরঙের বাতি দিয়ে আলোকসজ্জা করা হয়েছে।

এদিকে, বড়দিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতে এবং ঈশ্বরের মহিমা প্রচারে যিশু খ্রিষ্ট এইদিনে পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশের খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরাও ধর্মীয় আচার, প্রার্থনা ও আনন্দ-উৎসবের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করবেন।

খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ধর্মীয় নেতারা জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে উৎসব উদযাপন অনেকটা অনাড়ম্বরভাবে হয়েছিল। তবে বড়দিনের আয়োজনে এবার চাকচিক্য বেড়েছে। ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানার নির্দেশনা শিথিল থাকায় এ আয়োজন আরও চমকপূর্ণ হবে বলে।

অন্যদিকে বড়দিনকে ঘিরে রাজধানীর বিভিন্ন পাঁচ তারকা হোটেলগুলোও সাজানো হয়েছে। রঙিন আলোকসজ্জায় ‘ক্রিসমাস ট্রি’সাজানোর পাশাপাশি ব্যবহার করা হয়েছে রংবেরঙের আলোকসজ্জা।

বড়দিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খ্রিস্টধর্মাবলম্বীসহ সকলের শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে পৃথক বাণী দিয়েছেন

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, জাগতিক সুখের পরিবর্তে যীশুখ্রিস্ট ত্যাগ, সংযম ও দানের মাধ্যমে পারমার্থিক সুখ অর্জনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সম্প্রীতি ও ঐক্য স্থাপনসহ অশান্ত বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যীশুখ্রিষ্টের শিক্ষা ও আদর্শ অনুসরণীয়।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উপলক্ষ্যে রোববার বঙ্গভবনে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, সকল শ্রেণি-পেশা, সম্প্রদায়ের জনগণের উন্নয়নই সরকারের প্রধান লক্ষ্য। এ লক্ষ্য অর্জনে তার সরকার সকল সম্প্রদায়ের মানুষের মর্যাদাপূর্ণ ও নিরাপদ জীবনযাপন নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সংবিধানে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমানাধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি- ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। আওয়ামী লীগ সরকার অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে সমুন্নত রাখতে বদ্ধপরিকর।

বড়দিন উপলক্ষে রোববার সরকারি ছুটি । অপরদিকে দিনটি উপলক্ষে অনেক খ্রিস্টান পরিবারে কেক তৈরি করা হবে, থাকবে বিশেষ খাবারের আয়োজন। এছাড়াও দেশের অনেক অঞ্চলে আয়োজন করা হযেছে কীর্তনের পাশাপাশি ধর্মীয় গানের আসর। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের অনেকেই আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার জন্য বড়দিনকে বেছে নেন। পরিবারের সদস্যদের সাথে আনন্দ ভাগ করে নিতে অনেকেই রাজধানী ছেড়ে গিয়েছেন গ্রামের বাড়িতে।

রাজধানীর তারকা হোটেলগুলোতে আলোক সজ্জার পাশাপাশি হোটেলের ভিতরে কৃত্রিমভাবে স্থাপন করা হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি ও শান্তাক্লজ। বড়দিনের প্রক্কালে শনিবার রাতে বিভিন্ন গির্জায় বিশেষ প্রার্থনাও অনুষ্ঠিত হবে। আর রোববার সকাল থেকে শুরু হবে বড়দিনের প্রার্থনা।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত