ত্বকের যত্নে ময়েশ্চারাইজার
জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশ : ০৭ জানুয়ারি ২০১৯, ০৪:২৮
তকের যত্ন নিয়ে তরুণী-মহিলা-গৃহবধুদের দুশ্চিন্তার অন্ত নেই। সবাই চান সুন্দর মসৃণ কোমল ত্বক। ঠিক যেন কিশোরীর মত। ত্বকের ধরন বুঝে সামান্য যত্ন এবং প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেয়া গেলে ত্বক বিবর্ণ হওয়া, ত্বকে বাদামী স্পট পড়া, ত্বক কালো বর্ণ ধারণকরা, ত্বক রুক্ষ হওয়া ইত্যাদি কিছু সাধারণ সমস্যা থেকে রক্ষা করা যায়।
প্রয়োজন হয়না অত্যন্ত ব্যয়বহুল লেজার ও অন্যান্য কসমেটিক চিকিৎসা। আর ত্বক সুন্দর রাখতে ত্বকের ধরণ বুঝে নিয়মিত ময়েশ্চেরাইজার ব্যবহার করা উচিত। এতে ত্বকের শুষ্কতা-রুক্ষ্মতা রোধ করে এবং ত্বক মসৃণ ও কোমল হয়। তবে অবশ্যই ত্বকের ধরন বুঝে ময়েশ্চারাইজার বা লোশন ব্যবহার করা উচিত।
শুধু শুষ্ক তক বা তৈলাক্ত ত্বক বলাই যথেষ্ট নয়। ১৬ ধরনের ত্বক রয়েছে। আর ত্বক পরিচর্যায় শুধু নামী-দামী ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে তাই নয়, সামান্য অলিভ অয়েল বা সাদা ভ্যাসলিন বা ভ্যাসলিন লোশন ব্যবহার করতে পারেন। সামান্য পরিমাণ সাদা ভ্যাসলিন বা ভ্যাসলিন লোশন মুখ ও ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বক মসৃণ ও কোমল হয়। ভ্যাসলিনের সঙ্গে কিঞ্চিত পানি মিশিয়ে নিতে পারেন, যদিও ভ্যাসলিন-পানি একসঙ্গে মেশানো খানিকটা কঠিন।
বাজারে এই শীতের সময়ে খুব সহজেই পাবেন ভেজলিন, ডাব, পন্ডস, প্যারাসুট, নেভিয়া, বরোপ্লাস, ইয়ার্ডলিসহ নানা নামিদামি ব্র্যান্ডের বডি লোশন। তবে যাদের তৈলাক্ত ত্বক তাদের ক্ষেত্রে বডি লোশন ব্যবহার করাই ভালো। যাদের রুক্ষ ত্বক তাদের ক্ষেত্রে কিছুটা আলাদাভাবে বডি লোশনের ব্যবহার আপনার ত্বককে খুব অল্প সময়ের মধ্যে প্রাণবন্ত করে তুলতে পারে। সেই ক্ষেত্রে অর্ধের বডি লোশনের সঙ্গে গ্লিসারিন আর তার সমপরিমাণ পানি মিশিয়ে লোশন আর গ্লিসারিন মিশিয়ে ব্যবহার করলে বেশ চটপট সুফল পাওয়া যায়।
যারা বাইরে বেশ কিছুটা সময় কাজের ব্যস্ততার জন্য কাটান তাদের ক্ষেত্রে এটি বেশ উপকারী। আর যাদের ত্বক খুব রুক্ষ কিংবা তৈলাক্ত না তারা অনায়াসে অলিভ ওয়েল ব্যবহার করতে পারেন। সারা দিনের কাজের ব্যস্ততা আর তার সঙ্গে পাওয়া ত্বকের এই বেহাল দশা থেকে মুক্তি পেতে খুব সহজে আপনার হাতের নাগালেই পাবেন এসব প্রসাধনী। তবে কেনার আগে মেয়াদের উত্তীর্ণের সময় আর আপনার ত্বকের সঙ্গে কতখানি মানাচ্ছে তার দিকে নজর রাখুন।