শনিবার থেকেই কানাডা, মেক্সিকো ও চীনের ওপর শুল্ক আরোপ হবে: হোয়াইট হাউস
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৯
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার থেকেই মেক্সিকোর ওপর ২৫ শতাংশ, কানাডার ওপর ২৫ শতাংশ এবং চীনের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) হোয়াইট হাউজে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব বিষয়ে জানানো হয়।
হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট বলেছেন, এগুলো প্রেসিডেন্টের দেয়া প্রতিশ্রুতি এবং সেই প্রতিশ্রুতিই রক্ষা করা হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
তবে শুক্রবার ট্রাম্প বলেন, কানাডার তেলের ওপর শুল্ক কমিয়ে ১০ শতাংশ রাখা হবে। আর এই শুল্ক পরে, ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হতে পারে।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুবিচার করেনি- দাবি করে ভবিষ্যতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ওপরও শুল্ক আরোপের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন ট্রাম্প।
ক্যারোলিন লেভিট বলেন, কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর শুল্ক আরোপের কারণ হলো, ‘আমাদের দেশে তাদের সরবরাহ করা এবং ছড়িয়ে দেওয়া অবৈধ ফেন্টানিল। যা কয়েক লাখ মার্কিনীর প্রাণ নিয়েছে।’
ট্রাম্প একাধিকবার বলেছেন, এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য যুক্তরাষ্ট্রে আসা বিপুলসংখ্যক অবৈধ অভিবাসী ও প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতির সমাধান করা।
নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর ৬০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন। তবে দ্বিতীয় দফায় হোয়াইট হাউসে ফিরেই তাৎক্ষণিক কোনো পদক্ষেপ নেননি।
২০১৮ সালের পর থেকে চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য আমদানির পরিমাণ কমেছে। ট্রাম্পের প্রথম দফার ধারাবাহিক শুল্ক বৃদ্ধির ফলে এটি হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ট্রাম্প ক্ষমতায় ফেরায় বিশ্বের বৃহত্তম দুই অর্থনীতির মধ্যে নতুন করে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হওয়ার ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। চলতি মাসের শুরুর দিকে একজন শীর্ষ চীনা কর্মকর্তাও ট্রাম্পের শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে সতর্কবার্তা দেন, যদিও তিনি সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের নাম উল্লেখ করেননি।
চীন, কানাডা ও মেক্সিকো যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান তিন বাণিজ্য অংশীদার। গত বছর মার্কিন বাজারের মোট আমদানির ৪০ শতাংশের জোগান দিয়েছে এ দেশ তিনটি। ফলে নতুন এই চড়া শুল্ক আরোপ বাণিজ্য যুদ্ধ শুরুর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে পণ্যমূল্য বাড়িয়ে দিতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
যদিও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো শুক্রবার বলেছেন, 'আমরা এটা চাই না। তবে ট্রাম্প যদি এগিয়ে যান, আমরাও জবাব দেব।'
কানাডা ও মেক্সিকো ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কারোপের পাল্টা ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। পাশাপাশি ওয়াশিংটনকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করছে যে তারা সীমান্তসংক্রান্ত উদ্বেগ মোকাবিলায় পদক্ষেপ নিচ্ছে।
বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ