ট্রাম্পের আদেশে বন্ধ হচ্ছে জীবনরক্ষাকারী ওষুধ সহায়তা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৫৬
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বব্যাপী বিদেশি সহায়তা বরাদ্দের ক্ষেত্রে আমেরিকা প্রথম নীতি অনুসরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে বিশ্বজুড়ে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) সব প্রকল্পের কার্যক্রম স্থগিতের নির্দেশ দেয়ার পর বিভিন্ন দেশে এইচআইভি, যক্ষ্মা ও ম্যালেরিয়ার মতো রোগের জীবনরক্ষাকারী ওষুধ এমনকি নবজাতকদের জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ বন্ধ হওয়ার মুখে পড়েছে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স একটি স্মারকলিপি (মেমো) পর্যালোচনা করে একথা জানিয়েছে। সোমবার ট্রাম্প প্রশাসন ইউএসএআইডি এর প্রায় ৬০ জন জ্যোষ্ঠ কর্মকর্তাকে ছুটিতে পাঠিয়েছে। এরপর স্থানীয় সময় মঙ্গলবারই ইউএসএআইডি এ কাজ করা ঠিকাদার ও অংশীদার প্রতিষ্ঠানগুলো তাৎক্ষণিকভাবে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ সম্বলিত স্মারকলিপি পেতে শুরু করেছে।
ইউএসএআইডি এর সঙ্গে কাজ করা শীর্ষ পর্যায়ের মার্কিন পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান কেমোনিক্স এমন একটি স্মারকলিপি পেয়েছে। কেমোনিক্স ইউএসএআইডি এর সঙ্গে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন রোগের ওষুধ সরবরাহে কাজ করে।
ইউএসএআইডি এর এক বর্তমান ও এক সাবেক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, স্মারকে এই প্রতিষ্ঠানটির এইচআইভি/এইডস, ম্যালেরিয়া এবং যক্ষ্মার পাশাপাশি গর্ভনিরোধক, প্রসূতি ও শিশুস্বাস্থ্য সরঞ্জাম সরবরাহের কাজ বন্ধেরও নির্দেশ আছে।
চলতি মাসে ইউএসএআইডি এর বিশ্ব স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান পদ থেকে সরে দাঁড়ানো অতুল গাওয়ান্দে বলেন, এটি বিপর্যয়কর। ওষুধ সহায়তা সরবরাহের মাধ্যমে এইচআইভি আক্রান্ত ২ কোটি মানুষকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হচ্ছিল। তা আজ বন্ধ হয়ে গেল।
তিনি বলেন, চিকিৎসা বাধাগ্রস্ত হওয়ার মানে রোগীরা অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকবে। আর বিশেষ করে এইডস/এইচআইভির ক্ষেত্রে অন্যদের মধ্যে তা ছড়ানোর আশঙ্কা বেড়ে যাবে। তাছাড়া রোগগুলোর ওষুধ-প্রতিরোধী নতুন ধরনের প্রাদুর্ভাবও হতে পারে।
গাওয়ান্দে জানান, একই ধরনের নোটিশ অন্য অংশীদার প্রতিষ্ঠানগুলোও পেয়েছে। যার মানে, ওষুধের মজুত থাকার পরও এই প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন ক্লিনিকে তা সরবরাহ করতে পারবে না। আর ক্লিনিকগুলো যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে চললে সেগুলো চালুও থাকতে পারবে না। এইসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এমন সংগঠনও রয়েছে, যারা ২৩টি দেশে ৬৫ লাখ এতিম ও এইচআইভি সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকা শিশুদের নিয়ে কাজ করছে।
গত ২০ জানুয়ারি ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর বিশ্বজুড়ে মার্কিন সহায়তা ও অর্থায়ন ৯০ দিনের জন্য স্থগিতের নির্বাহী আদেশ দেন। সেই আদেশের আওতায়ই ওষুধ সরবরাহ বন্ধের এই নির্দেশ দেয়া হয়।
বাংলাদেশ জার্নাল/আরএইচ
