ঢাকা, সোমবার, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩ মাঘ ১৪৩১ আপডেট : ৬ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

২০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিল ইসরাইল

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২২:৪৯  
আপডেট :
 ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩:০০

২০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিল ইসরাইল
খান ইউনিসে মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিকে নিয়ে জনতার উল্লাস। ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনি ২০০ বন্দির বিনিময়ে ৪ ইসরাইলি সেনাকে মুক্তি দেয়া হলো। আন্তর্জাতিক সংস্থা রেড ক্রসের মাধ্যমে চার নারী জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। মুক্তিপ্রাপ্তদের তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।

যুদ্ধবিরতি চুক্তি হওয়ার পর এ নিয়ে দ্বিতীয় দফায় চার জিম্মিকে মুক্তি দিলো হামাস। ২০২৩ সালের সাতই অক্টোবর হামাস ইসরাইলের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে হামলা করার পর যাদের জিম্মি করে নিয়ে এসেছিলো তাদের মধ্যে এই চারজনও ছিলো।

শনিবার এক বিবৃতিতে আইডিএফ জানায়, ফেরত আসা চার জিম্মি বর্তমানে আইডিএফের বিশেষ বাহিনীর সঙ্গে ইসরাইলে ফিরছেন। সেখানে প্রথমে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হবে। বিবিসি।

এদিকে জিম্মি ওই চারজন এবং তাদের পরিবারের গোপনীয়তাকে সম্মান জানাতে সবার প্রতি অনুরোধ করেছে আইডিএফের এক মুখপাত্র। সেখানে ইসরাইল প্রতিরক্ষা বাহিনীর কমান্ডার এবং সৈন্যরা ফেরত আসা জিম্মিদের স্বাগত জানায়। তারা এখন ইসরাইলে তাদের পরিবারের কাছে ফিরে যাচ্ছেন।

মুক্তি পাওয়া চার নারী সেনা হলেন লিরি আলবাগ (১৯), কারিনা আরিয়েভ (২০), ডেনিয়েলে গিলবোয়া (২০) এবং নামা লেভি (২০)। ইসরাইলের সরকারি সম্প্রচার মাধ্যম কান জানিয়েছে, তাদের ইসরাইলি আইডিএফের একটি বিশেষ সামরিক ইউনিটের যোদ্ধাদের সঙ্গে রেইমের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হবে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজার কাছে নাহাল ওজ সামরিক ঘাঁটি থেকে ইসরাইলের একটি সামরিক নজরদারি ইউনিটের এই চার নারী সদস্যকে আটক করে নিয়ে যায় হামাস। এর আগে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে দ্বিতীয় দফায় ইসরাইলি চার নারী সেনাকে মুক্তি দেওয়ার কথা জানিয়েছিল হামাস।

অন্যদিকে ইসরাইলি দুই কারাগার থেকে ফিলিস্তিনিদের দুই গ্রুপকে মুক্তি দেওয়া হবে। বন্দি বিনিময় সম্পন্ন হলে গাজার নেটজারিম করিডোর থেকে সরে যাবে ইসরাইলি বাহিনী। এর ফলে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের গাজার উত্তরে তাদের নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যাওয়ার পথ সুগম হবে। আল জাজিরা জানিয়েছে, উদ্বাস্তু ফিলিস্তিনিরা এরই মধ্যে তাদের জিনিসপত্র গুছিয়ে নিচ্ছে এবং নেটজারিমের বাইরে লাইনে দাঁড়িয়ে যাত্রার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও কাতারের কয়েক মাসের মধ্যস্থতায় টানা ১৫ মাসের সংঘাতের পর গত সপ্তাহে গাজায় দ্বিতীয়বারের মতো যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে একমত হয় ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। পাঁচদিন পর স্থানীয় সময় রোববার বেলা সোয়া ১১টায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।

চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম দফায় ওইদিন তিন ইসরাইলি বন্দিকে মুক্তি দেয় হামাস। বিপরীতে ৯০ ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি দেয় ইসরাইল। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরাইলে আক্রমণ করে।

ইসরাইল সরকারের তথ্য মতে, অতর্কিত হামলায় ওইদিন প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয় এবং ২৫১ জনকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়।

কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় ওই বছরের নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে প্রথম যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়। সাতদিনের যুদ্ধবিরতিকালে ১১০ জন বন্দিকে মুক্তি দেয় হামাস। বিপরীতে ইসরাইল ২৪০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়, যাদের সবাই নারী ও শিশু। প্রায় ১৫ মাস পর গত সপ্তাহে দ্বিতীয় যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। চুক্তি অনুযায়ী ছয় সপ্তাহের মধ্যে হামাসের হাতে থাকা ৩৩ ইসরাইলি জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে ইসরাইল তাদের হাতে আটক কয়েকশ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে। সেই হিসাবে হামাস আগামী পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে আরও ২৬ জন বন্দি মুক্তি দেয়ার কথা।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত