যুদ্ধ শুরুর পর নতুন করে হামাসে যুক্ত ১৫ হাজার যোদ্ধা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:০৩
ইসরায়েলের সঙ্গে লড়াই শুরুর পর থেকে নতুন করে হামাস (ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন) আরও ১০ থেকে ১৫ হাজার যোদ্ধা নিয়োগ দিয়েছে। মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য সম্পর্কে অবহিত মার্কিন কংগ্রেসের দুজন সদস্য এ তথ্য জানিয়েছেন। তাদের তথ্য অনুযায়ী, ইরান–সমর্থিত হামাসের এসব যোদ্ধা ইসরায়েলের জন্য স্থায়ী হুমকি হিসেবে রয়ে যাচ্ছেন। খবর- বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
তবে এই যুদ্ধে একই পরিমাণ হামাস যোদ্ধা নিহত হয়েছেন বলে আভাস দিয়েছে গোয়েন্দারা। গত রোববার (১৯ জানুয়ারি) থেকে যুদ্ধবিরতিতে যায় হামাস ও ইসরাইল। গেল ১৫ মাসের যুদ্ধে ধ্বংসস্তূপে রূপান্তরিত গাজা উপত্যকা, পুরো মধ্যপ্রাচ্য উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। আর ৪৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ এই সরকারি হিসাব এর আগে প্রকাশ করা হয়নি।
ওই মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, হামাস সফলভাবে নতুন সদস্য সংগ্রহ করলেও তাদের অনেকেই অল্প বয়সী ও প্রশিক্ষণহীন। এদের মূলত সাধারণ পাহারার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে রয়টার্সের জানানো মন্তব্যের অনুরোধে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালকের দপ্তর সাড়া দিতে রাজি হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ১৪ জানুয়ারি বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বাস হামাস ফিলিস্তিনি ছিটমহলটিতে যত যোদ্ধা হারিয়েছে প্রায় ততজন সদস্য সংগ্রহ করেছে। এটি ‘স্থায়ী বিদ্রোহ ও চিরস্থায়ী যুদ্ধের’ পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।
তবে হামাস কতোজন যোদ্ধাকে হারিয়েছে আর কতোজনকে নতুন করে যুক্ত করেছে, এ নিয়ে বিস্তারিত কোনো হিসাব প্রকাশ করেননি তিনি। কিন্তু ইসরায়েলের হিসাব অনুযায়ী, গাজা যুদ্ধে হামাসের প্রায় ২০ হাজার যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।
ব্লিঙ্কেন বলেছেন, প্রত্যেকবার ইসরায়েল তাদের সামরিক অভিযান সম্পন্ন করে ফিরে আসার পর হামাসের জঙ্গিরা আবার সংঘবদ্ধ হয়ে আবির্ভূত হয়।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল উভয়েই হামাসকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে কালো তালিকাভুক্ত করে রেখেছে।
রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধে হামাসের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, তিনি তাদের সংগঠনের সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে ‘পরীক্ষা করছিলেন’। জুলাইয়ে হামাসের সশস্ত্র শাখার মুখপাত্র আবু উবাইদা বলেছিলেন, তাদের সংগঠন কয়েক হাজার নতুন সদস্য নিয়োগ দিয়েছে।
ইসরায়েল হামাসকে ধ্বংস করে দেয়ার প্রত্যয় জানিয়ে ১৫ মাস ধরে গাজায় টানা নির্বিচার হামলা চালিয়ে গেলেও যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর দেখা যাচ্ছে তারা তেমনটি করতে পারেনি। হামাস দেখিয়েছে, গাজায় তাদের শেকড় অনেক গভীর।
বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি