ভারতে বাংলাদেশি তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৪২
ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে নাজমা নামে বাংলাদেশি এক তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে রামমূর্তি নগরের কলকেরের এবটি লেক থেকে ২৮ বছর বয়সী ওই তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। খবর ডেকান হেরাল্ড ও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের।
সংবাদমাধ্যম ডেকান হেরাল্ড জানিয়েছে, ওই তরুণী ভারতে অবৈধভাবে বাস করছিলেন এবং তার কাছে বাংলাদেশের পাসপোর্ট বা অন্য কিছু পাওয়া যায়নি।
নাজমা বিবাহিত ছিলেন এবং স্বামী সুমনের সঙ্গে রামকৃষ্ণ নামক এলাকায় থাকতেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার স্বামী বৈধভাবে ছয় বছর ধরে ভারতে বসবাস করছেন। তার কাছে বাংলাদেশি পাসপোর্টও আছে। সেখানে সিটি করপোরেশনের ময়লা পরিশোধনের কাজ করেন তিনি।
এক জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যম ডেকান হেরাল্ডকে বলেছেন, “তার স্বামীর দেয়া তথ্যে নিশ্চিত হওয়া গেছে, নাজমার কাছে কোনো বৈধ কাগজপত্র ছিল না। নাজমার ভাইও তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। তিনিও এই শহরে থাকেন।”
এই দম্পতির ঘরে তিন সন্তান আছে। যারা বাংলাদেশে নিজ আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে থাকে।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, নাজমা কালকেরের একটি অ্যাপার্টমেন্টে সাহায্যকারী হিসেবে কাজ করতেন। তারা থাকতেন রামকৃষ্ণ নামক একটি এলাকায়। সেখান থেকে তার কর্মক্ষেত্রটি কাছেই ছিল। গত বৃহস্পতিবার ওই অ্যাপার্টমেন্টে কাজ শেষে বের হওয়ার পরই তিনি নিখোঁজ হন।
এরপর গতকাল শুক্রবার সকালে পথচারীদের কাছ থেকে জরুরি বার্তা পায় পুলিশ। যারা নাজমার মরদেহ লেকের একটি নির্জন জায়গায় পড়ে থাকতে দেখেন। পুলিশ গিয়ে দেখে, নাজমার মাথা ও মুখে আঘাত করা হয়েছে। এছাড়া তাকে শ্বাসরোধ করার চিহ্নও স্পষ্ট ছিল। এতে বোঝা যাচ্ছিল তার ওপর হামলা চালানো হয়েছিল।
নাজমার হত্যার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, তার মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। এছাড়া তার ওপর কতটা যৌন পাশবিকতা চালানো হয়েছে, সেটি ফরেনসিক রিপোর্টের মাধ্যমে জানা যাবে বলে জানিয়েছে তারা। এ মুহূর্তে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ।
সূত্র: ডেকান হেরাল্ড ও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের।
বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ