চীনের মধ্যস্থতায় মিয়ানমারে যুদ্ধবিরতি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮:৩৫
চীনের মধ্যস্থতায় মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ও মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ) যুদ্ধবিরতির একটি আনুষ্ঠানিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে বলে জানিয়েছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গত শনিবার থেকে কার্যকর হওয়া এ যুদ্ধবিরতির ফলে চীন ও মিয়ানমামের মধ্যবর্তী সীমান্তের কাছে লড়াই বন্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। খবর রয়টার্স।
সোমবার চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং জানান, যুদ্ধবিরতি নিয়ে গোষ্ঠী দুটি চীনের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কুনমিংয়ে বৈঠকে বসে আলোচনা করেছিলেন, সেখানে তারা বেইজিংকে তাদের শান্তি স্থাপনের প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের পরিস্থিতি ঠাণ্ডা করা এবং চীন ও মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকাগুলোর নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নে অবদান রাখা মিয়ানমারের সকল পক্ষ ও এই অঞ্চলের সবগুলো দেশের এক সাধারণ স্বার্থ। এর মধ্যে চীন মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের শান্তি প্রক্রিয়ায় সহায়তা ও সমর্থন দিয়ে যাবে এবং সক্রিয়ভাবে শান্তি ও সংলাপের প্রচার চালিয়ে যাবে।
রয়টার্স জানায়, মিয়ানমারের যে বেশ কয়েকটি ক্ষুদ্র জাতির সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো তাদের নিজেদের বলে বিবেচিত অঞ্চলগুলো থেকে সামরিক বাহিনীকে হটিয়ে দিতে লড়াই করছে, এমএনডিএএ তাদের অন্যতম।
এমএনডিএএ তথাকথিত ‘থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সে’ এর অংশ। এই বিদ্রোহী জোটের অপর দুই সদস্য হল আরাকান আর্মি (এএ) ও তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ)। এই জোট ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে মিয়ানমারের শাসক জান্তার বিরুদ্ধে একযোগে আক্রমণ শুরু করার পর থেকে চীনে সীমান্তের কাছে বিশাল এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
মিয়ানমারের জাতিগত চীনাদের নিয়ে গঠিত এমএনডিএএ গত জুলাইয়ে জানায়, তারা চীনের সীমান্তের কাছে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর একটি হেডকোয়ার্টারের দখল নিয়েছে।
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী বাহিনীগুলো সামরিক বাহিনীকে গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত অঞ্চলগুলো থেকে হটিয়ে দিয়ে মধ্যাঞ্চলীয় শহর মান্দালয়ের দিকে দিকে এগিয়ে যাচ্ছে; তাদের এ অগ্রগতিতে চীন উদ্বিগ্ন। মিয়ানমারের বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করে দেশটির সামরিক বাহিনী ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ক্ষমতা দখল করার পর থেকে দেশটিতে গভীর সঙ্কট চলছে।
চীনের সঙ্গে মিয়ানমারের ২০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত আছে। এই সীমান্ত বরাবর বিশৃঙ্খলার আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন চীন। এই বিশৃঙ্খলা বিনিয়োগ ও বাণিজ্যকে ঝুকিতে ফেলতে পারে, এমন আশঙ্কায় শঙ্কিত তারা।
বাংলাদেশ জার্নাল/এফএম