সুদানের সেনাপ্রধানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪:১৪
সুদানের সেনাবাহিনীর প্রধান এবং ডি ফ্যাক্টো প্রেসিডেন্ট জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির সেনাবাহিনী ও আধা-সামরিক বাহিনীর দেশজুড়ে সংঘাতের মধ্যে বেসামরিক নাগরিক হত্যার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, আল-বুরহানের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী দেশের নাগরিকদের ওপর প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে সুরক্ষিত অবকাঠামোর ওপর বিমান হামলা, যেমন স্কুল, বাজার এবং হাসপাতাল।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সুদানের সেনাবাহিনী মানবিক সহায়তার প্রবেশাধিকারের নিয়মিত ও ইচ্ছাকৃত অস্বীকৃতির জন্য দায়ী। খাদ্য সংকটকে যুদ্ধের একটি কৌশল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।
এর আগে সুদানের আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) নেতা মোহাম্মদ হামদান দাগালো (হেমেদতি)-এর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।
সুদানের সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস ১৮ মাসেরও বেশি সময় ধরে সংঘর্ষে লিপ্ত রয়েছে, যা একটি মানবিক সংকট সৃষ্টি করেছে। এ পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যর্থতার মুখোমুখি হচ্ছে। সুদানের সশস্ত্র বাহিনী এবং আরএসএফের মধ্যে ক্ষমতা নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দিলে ২০২৩ সালের এপ্রিলে এই যুদ্ধ শুরু হয়।
মোহাম্মদ হামদান দাগালোর নেতৃত্বে আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) দেশটির ডি ফ্যাক্টো শাসক আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের অধীনে থাকা সুদানের সেনাবাহিনীর সাথে লড়াই করছে। অর্থাৎ দীর্ঘ ২১ মাসের এই গৃহযুদ্ধে দুই পক্ষের একটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন সুদানের সেনাবাহিনীর প্রধান।
এই সংঘাতে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন এবং ১ কোটি ২০ লাখেরও বেশি মানুষ তাদের ঘরবাড়ি থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এছাড়া রক্তক্ষয়ী এই সংঘাত দেশকে দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এফএম