ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ আপডেট : ৫ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

বন্ধ হয়ে যাচ্ছে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:১৪

বন্ধ হয়ে যাচ্ছে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ
ছবি: সংগৃহীত

বন্ধ হয়ে যাচ্ছে আলোড়ন সৃষ্টি করা মার্কিন আর্থিক বিনিয়োগ গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী নাথান অ্যান্ডারসন নিজেই এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর রয়টার্সের।

এ খবরে আজ ভারতের শেয়ারবাজারে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারের দাম ৯ শতাংশ বেড়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে বসার ঠিক আগে সংস্থা বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রতিষ্ঠাতা নাথান অ্যান্ডারসন।

হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ যখন তার অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে, তখন আর্থিক বিশ্ব তার শ্বাস বন্ধ করে রাখে। করপোরেট অপকর্মের সব তথ্য প্রকাশ এবং বাজারের উত্থান-পতন ঘটানোর জন্য পরিচিত এই ফার্মের প্রতিবেদনগুলো।

২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে আদানি গ্রুপের শেয়ার জালিয়াতির অভিযোগ তোলে এই হিনডেনবার্গ রিসার্চ। সেখানে গ্রুপের সংস্থার শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধির জন্য অনৈতিক পন্থা অবলম্বনের অভিযোগ তোলা হয় আদানির বিরুদ্ধে। সেই সময় বড়সড় ধাক্কা খেয়েছিল আদানি গ্রুপ। একাধিক সংস্থার শেয়ারের দর তলানিতে চলে গিয়েছিল। একধাক্কায় ১৫০ বিলিয়ন বা ১৫ হাজার কোটি ডলার মূল্যের শেয়ার বিক্রি হয়ে গিয়েছিল।

২০১৭ সালে হিন্ডেনবার্গ প্রতিষ্ঠা করেন নাথান অ্যান্ডারসন। এটি একটি ফরেনসিক আর্থিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান। যেটি সম্পত্তির মালিকানা, আর্থিক চুক্তি এবং আমানত বিশ্লেষণ করে থাকে। প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে বলা আছে, হিন্ডেনবার্গ ‘মনুষ্য সৃষ্ট বিপর্যয়’ যেমন— আর্থিক অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা এবং অপ্রকাশিত আর্থিক লেনদেনগুলোর খোঁজ করে থাকে।

হিন্ডেনবার্গ শর্ট সেলিং পদ্ধতির মাধ্যমে বিভিন্ন কম্পানির আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি এবং ব্যবস্থাপনার ত্রুটি প্রকাশ করতো। এরপর সংস্থাটি তাদের নিশানা করা কম্পানির শেয়ারের দাম কমে যাওয়ার পূর্বাভাসে বিনিয়োগ করতো। হিন্ডেনবার্গের প্রতিবেদন দেখে অনেক বিনিয়োগকারীও শেয়ার বিক্রি করে দিতেন। শর্ট সেলিং পদ্ধতিতে একজন বিনিয়োগকারী শেয়ার ধার নিয়ে বিক্রি করে এবং ভবিষ্যতে দাম কমে গেলে তা ফের কিনে নিয়ে লাভ করে।

তবে দাম বেড়ে গেলে তাদের বিপুল ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। গতকাল বুধবার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের ওয়েবসাইটে পোস্ট করা এক বার্তায় নাথান অ্যান্ডারসন বলেন, সাত বছরের যুগান্তকারী এবং বিতর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশের পর শর্ট-সেলিং ফার্মটি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আমি হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

অ্যান্ডারসন একটি ব্লগ পোস্টে লিখেছেন, আমি গত বছরের শেষে আমার পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং আমাদের দলের সঙ্গে বিষয়টি শেয়ার করি, আমি হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, পাইপলাইনে যেসব আইডিয়া ছিল—সেগুলোর সব কাজ শেষ হয়ে গেছে। আমাদের হাতে আর নতুন কোনো আইডিয়া নেই। মূলত এ কারণেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত