ঢাকা, সোমবার, ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২২ পৌষ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

সিংহ-হাতির আবাসস্থলে যেভাবে ৫ দিন বেঁচে ছিল শিশুটি

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২১:৩৭  
আপডেট :
 ০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২১:৪৫

সিংহ-হাতির আবাসস্থলে যেভাবে ৫ দিন বেঁচে ছিল শিশুটি
জিম্বাবুয়ের একটি জঙ্গলে হারিয়ে যায় ৭ বছরের তিনোতেন্ডা পুদু নামের শিশুটি। পাঁচ দিন বুনো ফল খেয়ে বেঁচে ছিল সে। ছবি: সংগৃহীত

জিম্বাবুয়ের মাতুসাডোনা গেম পার্ক নামে একটি জঙ্গলে হারিয়ে যায় ৭ বছরের এক শিশু। ওই জঙ্গল সিংহ এবং হাতি দিয়ে ভরা। সেখান থেকে পাঁচ দিন পর তাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। জিম্বাবুয়ের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত অভয়ারণ্যে সম্প্রতি এ ঘটনা ঘটে।

জিম্বাবুয়ের ম্যাশোনাল্যান্ড পশ্চিমের পার্লামেন্ট সদস্য (এমপি) মুতসা মুরোম্বেদজি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, তিনোতেন্ডা পুদু নামের এক শিশু বাসা থেকে বের হয়ে হেঁটে প্রায় ২৩ কিলোমিটার দূরে ‘বিপজ্জনক’ মাতুসাডোনা গেম পার্কে ঢুকে পড়েছিল। এরপর তার বেঁচে থাকার ভাগ্যপরীক্ষা শুরু হয়েছিল।

স্থানীয় নায়ামিনিয়ামি সম্প্রদায়ের সদস্যরা অনুসন্ধান শুরু করে। অনুসন্ধান দল তিনোতেন্ডার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য পার্কের বাইরে প্রতিদিন ড্রাম বাজাতো।

মাতুসাডোনা গেম পার্কে প্রায় ৪০টি সিংহ রয়েছে। আফ্রিকান পার্কস অনুসারে, এক সময়ে সেখানে আফ্রিকার সর্বাধিক সিংহ ছিল।

পঞ্চম দিনে তিনোতেন্ডা পার্কের ভেতরে রেঞ্জারদের গাড়ির শব্দ শুনতে পেয়ে সেদিকে দৌঁড়ে যায়। তবে অল্পের জন্য সে গাড়িটিকে হারিয়ে ফেলে। সৌভাগ্যবশত, রেঞ্জাররা ফিরে আসেন এবং তারা মাটিতে শিশুর তাজা পায়ের ছাপ দেখতে পান। দলটি এবার নতুন উদ্যমে তিনোতেন্ডাকে খুঁজতে শুরু করে। খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত এলাকাটি অনুসন্ধান করেন।

মুতসা মুরোম্বেদজি জানান, ছেলেটি তার বন্য জ্ঞান এবং বেঁচে থাকার দক্ষতা ব্যবহার করে পাঁচ দিন টিকেছিল। এই কয়দিন সে বন্যফল খেয়েছিল এবং পানির জন্য একটি লাঠি দিয়ে শুকনো নদীর তলদেশে ছোট কূপ খনন করেছিল। রাতে সে পার্কে থাকা উঁচু পাথরের খাঁজে ঘুমিয়ে থাকতো। তার চারপাশে সিংহ ছিল, পাশ দিয়ে হেঁটে গেছে হাতি।

জিম্বাবুয়ে পার্ক অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ ম্যানেজমেন্ট অথরিটি বিবিসির কাছে মাতুসাডোনা গেম পার্কের ঘটনার কথা নিশ্চিত করেছে। তবে শিশুটির বয়স আট নয়, সাত বছর বলে জানিয়েছে তারা। এমপি মুরোম্বেদজি শিশুটির বয়স আট বছর বলে জানিয়েছিল।

এই ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাড়া ফেলেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা এই শিশুর দুর্দান্ত মনোভাবের প্রশংসা করেছেন।

একজন এক্সে লিখেছেন, ‘এটা বোঝা মানুষের সাধ্যের বাইরে।’

আরেকজন লিখেছেন, ‘যখন সে স্কুলে যাবে, তখন বলার মতো একটি ভয়ানক গল্প তার ভান্ডারে জমা হয়েছে।’

সূত্র: বিবিসি।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত