ঢাকা, বুধবার, ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩১ আপডেট : ১২ মিনিট আগে
শিরোনাম

ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার সাক্ষী হলো দক্ষিণ কোরিয়া

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩:২৯

ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার সাক্ষী হলো দক্ষিণ কোরিয়া
সংগৃহীত ছবি

ইতিহাসে দেশটির সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার সাক্ষী হলো দক্ষিণ কোরিয়া। মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে পাশের একটি দেয়ালের সঙ্গে ধাক্কা লেগে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এ সময় বিমানটিতে ১৮১ জন আরোহী থাকলেও ধারণা করা হচ্ছে দু’জন ছাড়া বাকি সবাই নিহত হয়েছে। খবর বিবিসি, এএফপি।

স্থানীয় সময় সকাল ৯টার দিকে দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় ওই দুর্ঘটনা ঘটে। এসময় বিমানটিতে মোট ১৭৫ জন যাত্রী ও ছয়জন ক্রু ছিল। যাত্রীদের মধ্যে ১৭৩ জন দক্ষিণ কোরিয়ার আর দুজন থাইল্যান্ডের নাগরিক।

এক বিবৃতিতে দেশটির জাতীয় দমকল সংস্থা জানিয়েছে, দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া ১২০ জনের মৃত্যুর বিষয়টিও নিশ্চিত করা হয়েছে। সেখানে উদ্ধার ও তল্লাশি অভিযান এখনও চলছে।

ধারণা করা হচ্ছে, দক্ষিণ কোরিয়ার মাটিতে এটাই সবচেয়ে মারাত্মক বিমান দুর্ঘটনা। এর আগে দেশটিতে সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছিল ২০০২ সালে। সে সময় এয়ার চায়নার একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১২৯ জন নিহত হয়।

এক দমকল কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার পর দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে বলে জানানো হয়েছে। বিমানটি থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক থেকে ফিরছিল। এটি রানওয়েতে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়েছে।

ইয়োনহাপ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত এক যাত্রী ও এক ফ্লাইট সহকারীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে এবং উদ্ধার তৎপরতা এখনও চলছে। বিমানবন্দরের একজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, উদ্ধারকর্মীরা বিমানটির পেছনের দিক থেকে যাত্রীদের উদ্ধারের চেষ্টা করছেন।

মাঝারি আকারের এই বিমানবন্দরটি ২০০৭ সালে চালু করা হয়। এখান থেকে এশিয়ার বিভিন্ন গন্তব্যে বিমান চলাচল করে। ওই বিমানটি কেন দুর্ঘটনায় পড়লো বা রানওয়ে থেকে ছিটকে গেল তা এখনো জানা যায়নি। তবে পাখির কারণে ল্যান্ডিং গিয়ার অকার্যকর হয়ে এটি হতে পারে বলে ইয়োনহাপের খবরে বলা হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার দমকল বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই মুহুর্তে ফায়ার সার্ভিসের ৩২টি গাড়িসহ অন্তত ৮০ জন দমকল কর্মী ঘটনাস্থলে কাজ করছে। এয়ারলাইন জিজু এক বিবৃতিতে এই দুর্ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে।

এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মুয়ান এয়ারপোর্টের দুর্ঘটনায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের সবার কাছে আমরা ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমরা যা যা করার দরকার সব করব। এই ঘটনার জন্য আমরা দুঃখিত। এই বিমান সংস্থাটির ইতিহাসে এটাই প্রথম কোনো দুর্ঘটনা। এটি দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে বড় কিন্তু কম বাজেটের এয়ারলাইন্স।

দেশটির দমকল বিভাগের ধারণা পাখির আঘাত এবং খারাপ আবহাওয়ার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তবে প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের প্রধান লি জিয়ং-হুন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এফএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত