আজারবাইজানের উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত, ক্ষমা চাইলেন পুতিন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:৪৯
রাশিয়ার আকাশসীমা থেকে আজারবাইজানের একটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ ভূপাতিত করার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।
ইউক্রেইনীয় ড্রোনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করার সময় আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়। কাজাখস্তানে বিধ্বস্ত হওয়া আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজটি রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাই ভূপাতিত করেছে আর ‘দুঃখজনক ঘটনাটির’ জন্য ক্ষমা চেয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
রয়টার্স লিখেছে, ইউক্রেইনীয় ড্রোনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করার সময় আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়। এই ‘দুঃখজন ঘটনার’ জন্য প্রেসিডেন্ট পুতিন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের প্রতি ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।
বৃহস্পতিবার এই বিপর্যয়ের তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চারটি সূত্র প্রাথমিক অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্যেরভিত্তিতে রয়টার্সকে জানান, রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ভুল করে উড়োজাহাজটিকে গুলি করে ভূপাতিত করেছে।
শনিবার এক বিবৃতিতে ক্রেমলিন বলেছে, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়ার আকাশসীমায় ঘটা দুঃখজনক ঘটনাটির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। এ ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারের প্রতি আবারও তার গভীর ও আন্তরিক সমবেদনা প্রকাশ এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন।
ক্রেমলিন বলেছে, ওই সময়, গ্রোজনি, মোজদোক ও ভ্লদিকাভকাজে ইউক্রেইনীয় মানুষবিহীন আকাশযানের হামলা চলছিল আর রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা পদ্ধতি ওই হামলাগুলো প্রতিরোধ করে।
ক্রেমলিন জানিয়েছে, পুতিনের অনুরোধেই এ আহ্বান জানানো হয়েছে।
আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট দপ্তর জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ উল্লেখ করেছেন, উড়োজাহাজটি রাশিয়ার আকাশসীমায় বাহ্যিক শারীরিক ও প্রযুক্তিগত প্রতিবন্ধকতার শিকার হয়েছে, এতে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কাজাখ শহর আকতাউয়ের দিকে চলে যায়।
এমব্রেয়ার কোম্পানির তৈরি যাত্রীবাহী বিমানটি আজারবাইজানের বাকু থেকে ৬৯ জন আরোহী নিয়ে চেচনিয়ার গ্রজনিতে যাচ্ছিল।
ফ্লাইট জে২-৮২৪৩ বুধবার আজারবাইজানের রাজধানী বাকু থেকে প্রতিবেশী রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় চেচনিয়া প্রজাতন্ত্রের রাজধানী গ্রজনিতে যাচ্ছিল। কিন্তু রাশিয়ার ওই অঞ্চলের কয়েকটি শহরে ইউক্রেইনীয় ড্রোন হামলা চালাচ্ছে এমন খবরের ভিত্তিতে উড়োজাহাজটিকে অন্য দিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেটি পাশের কাস্পিয়ান সাগর পার হয়ে কয়েকশ মাইল দূরের কাজাখস্তানের আকতাউ বিমানবন্দরের দিকে যায়, কিন্তু শহরটির কয়েক কিলোমিটার উড়োজাহাজটি আগুনের একটি বল হয়ে বিধ্বস্ত হয় আর তাতে অন্তত ৩৮ জনের মৃত্যু হয়।
বাংলাদেশ জার্নাল/আরএইচ