মনমোহনের স্মৃতিসৌধর জায়গা দেয়া হবে, জানাল কেন্দ্র
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩:১১
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে তার স্মৃতিসৌধ স্থান বরাদ্দ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
কংগ্রেসের দাবি ছিল, এমন এক স্থানে মনমোহন সিংয়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন হোক যেখানে তাঁর সম্মানে একটি স্মৃতিসৌধ তৈরি করা যাবে। এই নিয়ে 'রাজনীতি করার' অভিযোগও ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে।
কংগ্রেসের জানিয়েছে, শনিবার সকাল ৮টা নাগাদ মনমোহন সিংয়ের দেহ নিয়ে যাওয়া হবে কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সেখানেই থাকবে তার মরদেহ। সাধারণ মানুষেরা সেখানেই তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা।
তারপর সাড়ে ৯টা নাগাদ কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে শুরু হবে মনমোহন সিংয়ের শেষযাত্রা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর বরাত দিয়ে আনন্দবাজার লিখেছে, শনিবার বেলা পৌনে ১২টা নাগাদ নিগমবোধ ঘাট শ্মশানে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার শেষকৃত্য হবে।
তবে এদিকে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের স্মৃতিসৌধ তৈরির জায়গা নিয়ে কংগ্রেস-বিজেপি বিবাদের মধ্যেই বিবৃতি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
তিনি বলেছেন, মনমোহন সিংয়ের ‘স্মৃতিসৌধ’ তৈরির জন্য জায়গা দেয়া হবে। কিন্তু সেই প্রক্রিয়া কিছুটা সময় সাপেক্ষ।
কংগ্রেস চায় যমুনার তীরে রাজঘাটের আশপাশের কোনও স্থানে শেষকৃত্য হোক। যেখানে ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী, অটলবিহারী বাজপেয়ীদের স্মৃতিসৌধ রয়েছে।
কংগ্রেসের দাবি, নিগমবোধ ঘাটে শেষকৃত্য হলেও ওই স্থান স্মৃতিসৌধ নির্মাণের উপযুক্ত নয়।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন এই ব্যাপারে।
পরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, “মনমোহন সিংয়ের স্মৃতিসৌধের জন্য একটি জায়গা বরাদ্দ করা হবে। কিন্তু সেই প্রক্রিয়ায় কিছুটা সময় লাগবে। তার আগে শেষকৃত্য এবং অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হোক। কারণ, এ ব্যাপারে একটি ট্রাস্ট তৈরি করা দরকার। সেই ট্রাস্টকে জায়গা বরাদ্দ করবে কেন্দ্র।”
এদিকে, কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা জয়রাম রমেশ বিজেপির নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেছেন, কেন্দ্র কেন স্মৃতিসৌধের জন্য কোনও জায়গা খুঁজে পাচ্ছে না তা মানুষ বুঝতে পারছে না। তিনি এটিকে ভারতের প্রথম শিখ প্রধানমন্ত্রীকে অপমান বলে অভিহিত করেছেন।
এদিকে বিজেপি বলেছে, মনমোহন সিংয়ের মৃত্যুতে কংগ্রেসের নোংরা রাজনীতি বন্ধ করা উচিত।
১৯৩২ সালে পাঞ্জাবের এক প্রত্যন্ত অঞ্চলে জন্ম নেয়া মনমোহন সিং প্রথম শিখ, যিনি ভারতের সরকারপ্রধান হয়েছিলেন। কেমব্রিজ ও অক্সফোর্ডের ডিগ্রিধারী এই অর্থনীতিবিদ ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের আগে অর্থমন্ত্রী ছিলেন। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে ৯২ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ