রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিমান বিধ্বস্ত, দাবি আজারবাইজানের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭:২৫
গত বুধবার কাজাখস্তানের আকতাও শহরে আজারবাইজানের যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় অন্তত ৩৮ জন নিহত হয়। এরপর থেকে এ দুর্ঘটনার পেছনের রাশিয়ার হাত রয়েছে বলে দাবি করেছে আজারবাইজান। খবর রয়টার্স।
বিভিন্ন প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ইউক্রেনের ড্রোন ভেবে উড়োজাহাজটিকে লক্ষ্যবস্ত করেছে রাশিয়া। যার কারণে এতো মানুষের প্রাণহানি। তবে রাশিয়ার বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের দাবি, বিমানটি সম্ভবত পাখির আঘাতের কারণে জরুরি পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিল।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দেশটির একটি সূত্র বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানায়, প্রাথমিক তদন্তে বিমান বিধ্বস্তের কারণ হিসেবে মিসাইলের আঘাতকে চিহ্নিত করেছেন তারা। আর এইদিকে অনুমানের ওপর নির্ভর করে করে দোষ চাপানোর ব্যাপারে সতর্ক করেছে মস্কো।
কাজাখস্তানের আকতাউয়ে গত বুধবার ফ্লাইট জে২-৮২৪৩ বিমানটি আজারবাইজান থেকে রাশিয়ার চেচনিয়ার গজনিতে যাচ্ছিল। তবে গজনিতে অবতরণ না করতে দিয়ে বিমানটিকে কাস্পিয়ান সাগর পাড়ি দিয়ে কাজাখস্তানে যেতে বলা হয়। ওই সময় বিমানটি চেচনিয়ার আকাশে ছিল, আর সেখানে রুশ বাহিনী ইউক্রেনের ড্রোন বিধ্বস্ত করার কাজে নিযুক্ত ছিল।
আজারবাইজানের এক কর্মকর্তা বলেছেন, বিমানটিতে আঘাত হেনেছিল রাশিয়ার পান্তসির-এস আকাশ প্রতিরক্ষা মিসাইল। গজনিতে যখন বিমানটি প্রবেশ করে তখন জ্যামারের কারণে এটির যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থগিত হয়ে পড়েছিল। তিনি আরও বলেছেন, কেউ বলছে না রাশিয়া এটি ইচ্ছাকৃতভাবে করেছে। কিন্তু তদন্তে যা পাওয়া যাচ্ছে, সেটি বিবেচনা করে আমরা প্রত্যাশা করি রাশিয়া বিষয়টি স্বীকার করবে।
রাশিয়া বলেছে, বিমানটির সঙ্গে হয়ত কোনো পাখি ধাক্কা খেয়েছিল। এতে এটি বিধ্বস্ত হয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, পাখির ধাক্কা লাগলে ইঞ্জিন বিকল হতে পারে। কিন্তু এভাবে বিমান মাটিতে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে না। গজনিতে বিমানটি ঘন কুয়াশার কারণে অবতরণ করতে পারেনি বলে জানিয়েছেন এক রুশ কর্মকর্তা। তাই এটিকে কাজাখস্তানের দিকে যেতে বলা হয়।
দুর্ঘটনাকবলিত বিমানটিতে ৬২ জন যাত্রী এবং পাঁচজন ক্রু ছিলেন। এরমধ্যে ৩৮ জন নিহত হন। অলৌকিকভাবে বেঁচে যান ৩২ জন।
বাংলাদেশ জার্নাল/এফএম