কাজাখস্তানে উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে ৩৮ জনের প্রাণহানি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২৬
কাজাখস্তানে একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। আজারবাইজানের রাজধানী বাকু থেকে রাশিয়ার চেচনিয়ার গ্রোজনি শহরের উদ্দেশে যাত্রাকালে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় কমপক্ষে ৩৮ জন নিহত হয়েছেন। দুই শিশুসহ জীবিত উদ্ধার হয়েছেন ২৯ জন।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম সিএনএন। প্রতিবেদন বলছে, ৬৭ আরোহী নিয়ে আজারবাইজানের রাজধানী বাকু থেকে রাশিয়ার চেচনিয়ায় গ্রোজনি শহরের উদ্দেশে রওনা করেছিল উড়োজাহাজটি।
কাজাখস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী কানাত বোজুমবায়েভ বলেছেন, উদ্ধার অভিযানে ধ্বংস্তূপ থেকে ২৯ জনকে বের করে আনা হয়েছে। ১১ জনের অবস্থা গুরুতর।
স্থানীয় সময় বুধবার এমব্রেয়ার ১৯০ উড়োজাহাজের জে২-৮২৪৩ ফ্লাইটটি কাজাখ শহর আকতাও থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে জরুরি অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় উদ্ধারকারী দল। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিমান বিধ্বস্তের কারণ এখনও জানা যায়নি।
বিধ্বস্ত স্থানের ফুটেজে দেখা গেছে, আগুনে পুড়ে যাওয়া বিমান থেকে বের করা হচ্ছে কয়েকজনকে।
যারা বেঁচে গেছেন তাদের কেউই কাজাখ নাগরিক নন বলে জানিয়েছেন উপ–প্রধানমন্ত্রী বোজুমবায়েভ। তিনি বলেন, মরদেহগুলোর অবস্থা খুবেই খারাপ। বেশিরভাগই পুড়ে গেছে। এখন মরদেহ মর্গে থাকবে এবং শনাক্ত করা হবে।
তিনি জানান, জীবিত একজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তার জ্ঞান ফেরেনি। হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
আজারবাইজানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, একটি অনুসন্ধান দল উড়োজাহাজটির ব্ল্যাক বক্স খুঁজে পেয়েছে। কাজাখস্তান সরকার দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান এবং যাত্রীদের পরিবারকে সহায়তা করার জন্য একটি কমিশন গঠন করেছে।
রুশ গণমাধ্যম বলছে, গ্রোজনিতে কুয়াশার কারণে উড়োজাহাজটির যাত্রাপথ বদলে দেয়া হয়েছিল। কাজাখ পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আরোহীদের মধ্যে ৩৭ জন আজারবাইজারের নাগরিক, ১৬ জন রাশিয়ার, ৬ জন কাজাখ, ৩ জন কিরগিস্তানের নাগরিক।
এর আগে কাজাখস্তানের পরিবহন মন্ত্রণালয় মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে লেখেন, ‘বাকু-গ্রোজনি রুটে যাওয়া উড়োজাহাজটি আকতাউ শহরের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছে। উড়োজাহাজটি আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের ছিল।’
বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ